Sunday, September 13, 2015

সাফল্যর পিছনে...

ইংরেজিতে একটা কথা আছে- Nothing succeed like success, অর্থাৎ সাফল্যর চেয়ে বেশী সফল আর কিছুই নয়। কিন্তু মুশকিল হল যে সাফল্যটাই সবার নজরে পরে, সেই সাফল্যের পিছনে যে নিরলস পরিশ্রম থাকে, যা কালে কালে সাধনার রুপ নেয়, সেটা অনেক মধ্য মেধার লোকের নজরেই আসেনা। ফলশ্রুতি হিসাবে হয় তারা সাফল্যকে হিংসে করে অথবা নিজেদের অসফলতা কে ঢাকার প্রচেষ্টায় অন্যের সাফল্যকে হেয় করার চেষ্টা করে।

আজ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু সংহতি যেটুকু অঞ্চলে সাফল্য অর্জন করে তার পরিণতি হিসাবে সেই সব জায়গায় হিন্দুরা জিহাদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারছে। এতে হিন্দু বিরোধীদের যত না গায়ে জ্বালা ধরছে তারচেয়েও বোধহয় বেশী জ্বালা ধরছে তাদের যারা এতদিন এই রাজ্যে হিন্দুত্বের ঠিকা নিয়ে বসেছিল। মনে হয়তো আশঙ্কা জাগছে এই বুঝি দোকানের কিছু খরিদ্দার চলে গেল। কিন্তু ভাই, নিজেদের কে একটু প্রশ্ন করে দেখতো, তোমরা যদি সঠিক পথেই চলতে তাহলে কি আজ হিন্দু সংহতি স্থাপনের প্রয়োজন পরতো? কোথাও না কোথাও, কিছু না কিছু ভুল তো নিশ্চয় হয়েছিল যে কারনে আজ সেই হিন্দু সংহতি, খুব ক্ষুদ্র জায়গায় হলেও, সাফল্য পাচ্ছে।

ভাইসব, এখনও সময় আছে, সেই ভুলগুলোর সংশোধন করে যুদ্ধে নেমে পরো। জিহাদি সন্ত্রাস আজ আমাদের উঠোনে এসে দাঁড়িয়েছে, এখনও যদি ভাড়াটে সৈন্য লাগিয়ে তু তু ম্যায় ম্যায় চালিয়ে যাও তাহলে কিন্তু ইতিহাস ক্ষমা করবে না।

ধর্মনিরপেক্ষতার নমুনা

ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র আর সেই রাষ্ট্রের অংশ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য। ধর্মনিরপেক্ষতার মানে হল রাষ্ট্রের নিজস্ব কোন ধর্ম থাকবেনা, সে কোন বিশেষ ধর্মের প্রতি ভেদভাব করবে না বা কোন ধর্মের প্রতি বিশেষ প্রেম প্রদর্শন করবে না।

এই কারনেই মহামান্য দিদির পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঈদ উপলক্ষে দূর্গাপূজার বিসর্জনের দিন পরিবর্তন করেছিলেন যাতে সংখ্যালঘুরা মনে আঘাত না পায়। জন্মজাত সেকুলার হিন্দুরাও তাদের মুসলিম ভাইদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত বিনা প্রতিবাদে মেনে নিয়েছিল। এবার পূজার সময় পিছিয়ে যাওয়ায় ঈদের সাথে সংঘাত এড়ানো গেছে কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্যের পুরোধা হিসাবে এবার কি দিদি দূর্গাপূজার চারদিন এই রাজ্যে গোহত্যা তথা গোমাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করার হিম্মত দেখাতে পারবেন।

রাহুল সিনহা, রুপা গাঙ্গুলী, লকেট চ্যাটার্জী ও শমীক ভট্টাচার্যর পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি কি তাদেরই পার্টী পরিচালিত মহারাষ্ট্র, রাজস্থান বা ছত্তিসগড় সরকারের প্রদর্শিত পথে দূর্গাপূজার চারদিন এই রাজ্যে গোহত্যা তথা গোমাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করার দাবীতে পথে নামবেন নাকি সেক্ষেত্রেও সংখ্যালঘু ভোটের সুরসুরিটা থেকেই যাবে?

Sunday, September 6, 2015

মৃতের ধর্ম

সমুদ্রপাড়ে ভেসে আসা একটি শিশুর নিথর দেহ কাঁপিয়ে দিয়েছে সারা পৃথিবীর মানবিক সত্বাকে। সিরিয়ান রিফিউজি পরিবারের এই শিশুটির এই মর্মান্তিক পরিনতির কারন সিরিয়াতে IS কর্তৃক ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা। ইংল্যান্ড থেকে কানাডা- সম্পূর্ণ উত্তর গোলার্ধের রাজনৈতিক পট বদলে দিয়েছে আলিয়ানের নিথর দেহ।

এবার দেখুন দ্বিতীয় ছবিটি। এটিও একটি নিষ্পাপ শিশুর নিথর দেহ। এক্ষেত্রেও এর মৃত্যুর জন্যে দায়ী ইসলামিক সন্ত্রাস। তবে এক্ষেত্রে বদ্ধভূমিটা সিরিয়া নয়, কাশ্মীর আর মৃত শিশুটি কাশ্মীরী পন্ডিত পরিবারভুক্ত হিন্দু। তাই বোধহয়, সারা পৃথিবী তো ছাড়, খোদ এই দেশেরই অধিকাংশ মানুষ এর খবর রাখেনি। এদেশে মুসলিমের হাতে হিন্দুর মৃত্যু যেন খুবই স্বাভাবিক।

তবে কি 'সন্ত্রাসবাদীদের কোন ধর্ম নেই'-র মত 'মৃতের কোন ধর্ম নেই' কথাটাও নেহাতই আক্ষরিক? হায় ইন্দ্রনাথ, ভাগ্যিস আজ তুমি বেঁচে নাই।

 

Monday, August 31, 2015

Hypocrisy of West Bengal Pollution Control Board

We all are aware that West Bengal Pollution Control Board (WBPCB) becomes very active against sound crackers during Diwali & Chatt Puja but goes into hibernation during Sab-e-Barat. It claims it’s jihad against sound crackers for pollution free state and no wonder, they get support from some cheer leaders, who never question it’s inaction during Muslim festivals, in this mission to save the planet. Now, let’s see how serious the West Bengal Pollution Control Board itself in its own activities.

I filed a RTI to WBPCB which was received at their office on 3rd of March, 2015. I waited for some time for them to respond and finally got an acknowledgement letter dated 27th March, 2015. After that, there was no communication for months. After waiting for 3 months for them to respond, I finally approached the Appellate Authority with my letter dated 3rd June, 2015. Only after my letter to the Appellate Authority, they bothered to respond and after going through the data provided by them, I could easily understand what they were trying to hide.

WBPCB which seize sound crackers during Diwali & Chatt Puja has their 61 out 70 rooms in the Paribesh Bhawan, their head office at Salt Lake, air conditioned. 9 out of 27 rooms in their Kankinara office and 6 out of 20 rooms in their Durgapur office are also air conditioned. 

WBPCB must have knowledge that the refrigerant chemicals inside of air conditioners can destroy the ozone layer when released, yet it could not stop buying 6 (six) new ACs within the span of 1st April 2010 to 31st March 2015 under Capacity Building for Industrial Pollution Management Project despite having the following – 


At Paribesh Bhawan – 
1TR x 02 Nos. 1.5TR x 24 Nos. 2TR x 23 Nos. 3TR x 11 Nos. 30TR x 01 Nos. and 60TR x 02 Nos.

At Kankinara Office –
2TR x 01 Nos. and 11TR x 02 Nos.

At Durgapur office – 
1.5TR x 04 Nos. and 11TR x 02 Nos.

I expect that WBPCB is aware that air conditioners consume a large amount of electricity, which is usually powered by burning coal that releases greenhouse gases, causes acid rain, and has been mined in a way that isn't good for the environment, yet there is no effort on their side to minimize it. The electricity bill for the Paribesh Bhawan for last 04 (four) years have always has upward trend. It was Rs.39,06,894.00 in the year 2011-12, Rs.55,44,505.00 in the year 2012-13, Rs.62,74,073.00 in the year 2013-14 and Rs.64,67,159.00 in the year 2014-15. Now, consider the trend of another office at Kankinara which has air conditioned rooms. It was Rs.2,11,499.00 in the year 2010-11. Rs.4,09,199.00 in the year 2011-12. Rs.4,90,982.00 in the year 2012-13. Rs.5,82,180.00 in the year 2013-14 and Rs.22,39,375.00 in the year 2014-15. Almost four times increase in a year, can you believe? This is not the only branch office which has made such huge leap, all the offices have made such grand performance and that’s why the total amount paid towards electricity across the was Rs.88,09,868.00 in the year 2013-14 and for the year 2014-15, the amount was Rs.3,64,55,717.00

I can provide you a few more information that will further bewilder you but at the end of the day, can we still believe that the over-activism by the WBPCB to seize sound crackers during Diwali & Chatt Puja is having the solely intended for a pollution free environment or do they also have turned themselves into a puppet in the hands of their political bosses just like their counterparts in police? Talking of police, in my next post, I shall expose that police is also involved in this dirty game of seizing sound crackers during Hindu festivals.
 

জুমলা

নেতাজীর অন্তর্ধান সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ করতে ফের অস্বীকার করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। জনৈক সুভাষ আগরওয়ালের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিজেদের পেশ করা হলফনামায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে যে এই ফাইল প্রকাশ করলে বিদেশী রাষ্ট্রগুলির সাথে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ২০১৪ সাধারন নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর দল বিজেপি তৎকালীন ক্ষমতাশীল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের কাছে বারংবার নেতাজীর ফাইল প্রকাশের দাবী জানিয়েছিল এবং তারা সেটা না করায় ইউপিএ-র প্রবল সমালোচনা করেছিল। বিজেপির দাবী ছিল যে গান্ধী আর নেহেরুর ইমেজ বাঁচাতেই তৎকালীন সরকার নেতাজীর ফাইল প্রকাশ করছেনা।

আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পেশ করা হলফনামার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কি উচিত নয় যে হয় তিনি দেশবাসীর সাথে মিথ্যাচার করার জন্যে তাদের কাছে ক্ষমা চান অথবা ইউপিএ সরকারকে অযথা দায়ী করার জন্যে ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষমা চান?

Friday, July 17, 2015

ভোট বড় বালাই

ভাবা যায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যে সব নেতারা দুদিন আগেও টুকটুকি মন্ডলের নাম শুনে ভুরু কুঁচকাচ্ছিল, হিন্দু সংহতি ও জন অধিকার মঞ্চের আহ্বানে টুকটুকিকে উদ্ধারের দাবীতে আন্দোলনে সামিল হতে অস্বীকার করছিল আজ তারা টুকটুকির গ্রামের বাড়ির সামনে তার মুক্তির দাবীতে ধর্ণায় বসছে, থানায় দৌড়াচ্ছে আর সেই ছবি ফেসবুক আর টুইটারে দিচ্ছে এটা দেখাতে যে তারা কত সক্রিয়।

কিন্তু আচমকা এই ভোলবদলের কারনটা কি?

কারন একটাই, হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক। আজ তপন ঘোষের নেতৃত্বে হিন্দু সংহতি, হিন্দুদের একজোট করে, টুকটুকি মন্ডলের উদ্ধারের দাবীকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে বিজেপির নেতারা বুঝে গেছে যে এই শক্তিকে আর অগ্রাহ্য করা যাবে না। তাই যে রাহুল সিনহা দুদিন আগেই শ্রীমতী নির্মলা সীতারামনের সফরের অজুহাত দেখিয়ে জন অধিকার মঞ্চ আয়োজিত প্রতিবাদ সভাতে উপস্থিত হতে অস্বীকার করেছিলেন, আজ সেই রাহুল সিনহাই তাঁর চেলাচামুন্ডাদের মগরাহাটে ধর্ণা দিচ্ছেন আর মশার কামড় খেয়ে রাত কাটাবার কথা প্রচার করছেন। যদিও কিছু দুষ্টু লোকেরা বলে বেড়াচ্ছে যে এতদিন পরে ধর্ণা যদি দিতেই হত তাহলে সেটা মগরাহাটে কেন, নবান্নের সামনে কেন নয়! তবে দুষ্টুলোকেদের কথায় আমরা কান দেবোনা কারণ কান দিলে আবার শুনতে হবে যে জন অধিকার মঞ্চের সভায় যোগ দেবার অনুরোধের প্রেক্ষিতে রাহুল বাবু আর রুপা দিদির উত্তর সর্বসমক্ষে ফাঁস হয়ে যাবার পরেই নাকি বিজেপির ভোলবদল।

তবে কিনা বলে, স্বভাব যায় না মলে। এতদিন ধরে মোল্লাতোষন করে আসার অভ্যাস কি আর তপন ঘোষের গুঁতোয় একদিনে বদলায়? তাই কাল বিকাল থেকে ফেসবুক আর টুইটারে ঘনঘন আপলোড করা ছবি ও বার্তাতে (ভাই সুমন্ত্র মাইতির ভাষায়, কিলিক কিলিক) অপহরণকারীর মুসলিম পরিচয় লুকানোর চেষ্টা করা হল। কিন্তু তাতেও বিধি বাম। গত ৭৩ দিন ধরে গড়ে ওঠা হিন্দু জনমত এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল। প্রথমে বিজেপি থেকে দাবী করা হল যে ধর্ণামঞ্চ থেকে নাকি অপহরণকারীর প্রকৃত পরিচয় ঘোষণা করা হচ্ছে কিন্তু অবশেষে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাধ্য হয়েই বাবুসোনা গাজীর নাম উল্লেখ করতে বাধ্য হল।

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ রাহুল বাবুর ধর্ণামঞ্চের পিছনে টানানো ফ্লেক্স দেখে আপনারা যদি অপহরণকারীর নাম 'দুষ্কৃতি' ভেবে বসেন তাহলে সেটার দায় লেখকের নয়।


True story behind Rumeli Kar's recovery

Well, once West Bengal BJP led by Rahul Sinha is done with their rejoice for rescuing Rumeli Kar, let me put a few facts which have, otherwise, been kept away from people in general. So, let me put these chronologically -

Today, early in the morning, Tapan Ghosh, President of Hindu Samhati went to Nabanna, for making a representation to the Chief Secretary regarding abduction of Rumeli Kar. 

Later, somebody from the corridor of power established contact with Raj Kumar Pandey, district level influential leader of TMC.Raj Kumar Pandey, along with local TMC leader Gora Pathak, who has been in touch with the family since the day of abduction, called local police station and insisted on recovery of Rumeli Kar.

By then, Tapan Ghosh also called the local police station and demanded recovery of the victim. Under pressure from the ruling party and Hindu Samhati, police pulled his socks up and applied pressure over the family of the abductor to track the girl.

Later in the evening, father of the abductor called the family of the victim and the girl was returned to the family.

Reading so far, you must be wondering, if this has been the case, how can West Bengal BJP can claim credit for the recovery of the girl! Here is the twist - as per police record, Rajib Bhowmik, district president of BJP, has called the police station only on single occasion and as per family of the victim, neither Rajib Bhowmik nor anybody from BJP, has ever established any communication with them.
Now, two basic questions - 1) Why ruling party helped in the recovery? 2) Why BJP tried to take the credit for the recovery?

The answer of the first question is the way Hindu Samhati has mobilized support of Hindus all over the world for recovery of Tuktuki Mandal, TMC apprehended occurrence of such case shall be detrimental to their political game plan. Hence, they engaged their machinery - both at admin & political level for recovery of the girl.

And the answer of the second question is easier than the first one. West Bengal BJP was pushed to the sideline over their apathetic attitude regarding the Tuktuki Mandal abduction case. State BJP leaders, on record, refused to be part of ‪#‎SaveTuktuki4mGazi‬ movement as they were busy to appease minorities at Parui and Sattor. After consolidation of Hindu sentiments mobilized by Hindu Samhati, they were forced to make some gesture. Yesterday and even today morning, they claimed to meet the Governor regarding Tuktuki's case and went to Magrahat - village of Tuktuki Mandal. In the mean time, High Court took cognizance of the petition filed by Subhas Mandal, the father of Tuktuki Mandal, as per advise of Tapan Ghosh. After hearing of the case, the court directed the police to find and produce the victim before the court on 27 July. This judgement left Rahul Sinha & his team totally shattered. They realized that they had missed the opportunity. So, they cancelled the meeting with the Governor, as that would not yield any result, and started dharna at Mograhat. Though during dharna, at first, they tried to hide the identity of the abductor as revealing his identity could have become a blot on their SECULAR charecter but later, under pressure of social media, they were compelled to mention the name. In such circumstances, they were left with no choice at all but cheap publicity to save their face. That led them to claim the credit for the recovery so that they can get automatic support of consolidated Hindus mobilized by Hindu Samhati.

The best part of the story is the realization of power of Hindu unity. This is an epoch making moment in the history of West Bengal when consolidated Hindu votes have forced political parties to act in their favour.

বন্ধু

উৎসবে ব্যসনে চৈব; দুর্ভিক্ষে রাষ্ট্রবিপ্লবে,
রাজদ্বারেশ্মশানেচ য: তিষ্ঠোতি স: বান্ধব:।

চাণক্য নীতি অনুসারে যে ব্যক্তি উৎসবে, বিপদে,দুর্ভিক্ষে, রাজনৈতিক আন্দোলনে, আদালতে এবং শ্মশান যাত্রায় সঙ্গ দেয়, সেই প্রকৃত বন্ধু। 

আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে স্ত্রীরূপে এমনই একজন প্রকৃত বন্ধুকে পেয়েছি। আমার অনেক বন্ধুই আমাকে উৎসবে, বিপদে বা শ্মশানযাত্রায় সঙ্গ দিয়েছে কিন্তু বর্তমান সমাজব্যবস্থা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বিপরীতে হাঁটার যে আন্দোলনে আমি শরীক হয়েছি, তাতে আমাকে প্রকাশ্যে সঙ্গ বা সমর্থন দেবার সাহস কোন বন্ধুরই হয়নি।

কিন্তু আমার এই আন্দোলনে, পারিবারিক নানা দায়বদ্ধতা থাকা সত্বেও, অর্পিতা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, সাহস যুগিয়েছে। গত ১০ই জুলাই হাজড়া মোড়ে টুকটুকি মন্ডলের উদ্ধারের দাবীতে সভা করার সময় পুলিশ যখন সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনিভাবে অন্যান্য প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে আমাকেও আটক করে তখন অর্পিতা পুলিশের চোখে চোখ রেখে বলে যে "সবাইকে গ্রেপ্তার করলে, আমাকেও করতে হবে" এবং মহিলা হিসাবে তাকে গ্রেপ্তার করার পুলিশি আপত্তি ফুঁৎকারে উড়িয়ে দেয়। অর্পিতার ব্যক্তিত্ব ও প্রত্যয়ের সামনে কলকাতা পুলিশ ঝুঁকতে বাধ্য হয় এবং তাকে ডিটেনশনে নেয়।


Saturday, July 11, 2015

আরএসএসের দুরদৃষ্টি

মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সভানেত্রী হিসাবে রুপা গাঙ্গুলীকে মেনে নিতে এই রাজ্যের আরএসএসের কোনো আপত্তি নেই। এই রিপোর্ট সত্যি না মিথ্যা সেটা সময়ই বলবে তবে এই রিপোর্ট পরে যারা বিজেপি বা আরএসএসের মুন্ডুপাত করছেন, আমি তাদের দলে নই। আমি বরং বিজেপি ও আরএসএসের এই সিদ্ধান্তে খুশীই হয়েছি। 

২০১১ জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২৭%। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষন স্থির করা সংক্রান্ত মামলায় স্বয়ং রাজ্য সরকার সুপ্রীম কোর্টে হলপনামা দিয়ে বলেছিল যে রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ লোকের ভাবাবেগকে আহত করে রমজান মাসের সময় ভোট নেয়া সমীচীন হবে না। এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৩%। তারমানে ২০১১ থেকে ২০১৩ - এই দুই বছরের মধ্যে রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যার হার বেড়েছে প্রায় ৬% অর্থাৎ ফি বছর ৩% হারে। এই অনুপাতে, আজ রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যার হার প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি, তাই নয় কি? এমতাবস্থায়, এই রাজ্য মুসলিমবহুল হতে আর মাত্র তিন থেকে চার বছর বাকি।

এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের আরএসএস ও বিজেপি যে গুজরাট দাঙ্গার মুখ কুতুবুদ্দিনের হাতে রাখী বেঁধে দেয়া রুপা গাঙ্গুলীকেই দলীয় মুখ হিসাবে তুলে ধরবে এটাই তো স্বাভাবিক। মাসখানেক আগে আরএসএসের পক্ষ থেকে মুসলিমদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠিয়ে আরএসএসে সম্পর্কে তাদের ধারণা বদলানোর যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল সেটাও তো আগামী দিনের পরিস্থিতির কথা ভেবেই। 

এই কারণেই রুপা গাঙ্গুলীকে গত ১০ই জুলাই টুকটুকি মন্ডলের উদ্ধারের দাবীতে জন অধিকার মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগদান করার আমন্ত্রণ জানালে তিনি সেটা গ্রহণ করেন না, কারণ টুকটুকির অপহরণকারীর নাম যে বাবুসোনা গাজী। তাই তিনি মল্লিকপুর, কালীগঞ্জ, সমুদ্রগড় বা পঞ্চগ্রাম না গিয়ে ছুটে যান পাড়ুই বা সাত্তোরে। 

আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি কি হবে সেটা ভেবে বঙ্গ আরএসএস ও বিজেপি যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সবার উচিত সেটাকে সাধুবাদ জানানো। টুকটুকি মন্ডল উদ্ধারের মত ছোটখাটো বিষয়ে নিজের সাংগঠনিক ক্ষমতার অপচয় না করার জন্যে আরএসএসের দুরদৃষ্টির প্রশংসা করা উচিত কারণ এই রাজ্যে সেই দিন আর বেশী দূরে নয় যখন প্রতিটা হিন্দু বাড়িতেই টুকটুকির জন্ম হবে।


Thursday, July 9, 2015

টুকটুকি মন্ডল

খুব বেশীদিন নয়, মাত্র মাস দুয়েক আগের ঘটনা। গত ১৯শে এপ্রিল, মুসলিমদের আক্রমনের শিকার হল দক্ষিন ২৪ পরগনার মল্লিকপুর। তৃণমূল কংগ্রেসের লাটাউল হোসেন আর সিপিএমের মোশারফ শেখ দল বেঁধে আক্রমণ করলো হিন্দুদের। লুট করা হল হিন্দুদের বাড়ি, পুড়িয়ে দেয়া হল তাদের সম্পত্তি। গ্রামের মহিলারাও তাদের হাত থেকে ছাড় পেলনা, তাদেরও শ্লীলতাহানি করল মুসলিম দুষ্কৃতীরা।

খোদ কলকাতার নাকের ডগায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনার খবর পশ্চিমবাংলার, প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক, কোন সংবাদমাধ্যমই প্রচার করল না। বরাবরের মত এবারেও তারা চেপে যেতে চাইল হিন্দুদের উপর মুসলিমদের আক্রমনের জ্বলন্ত দলীল পাছে সংখ্যালঘুরা ও প্রশাসন বিরূপ হয়। কেবলমাত্র হিন্দু সংহতি বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই অত্যাচারের খবর ছড়িয়ে দিয়েছিল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে।
গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে আজও চোখের জল ফেলে চলা এই রাজ্যের মিডিয়াগুলি ঘরের কাছে হিন্দুদের উপর মুসলিমদের লাগাতার অত্যাচার নিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে নীরব। এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধেই জন অধিকার মঞ্চ (JAM) গত ১লা মে, কলেজ স্কোয়ারে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে এবং মল্লিকপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম আক্রমনের ঘটনাগুলিকে প্রকাশ করে জনসমক্ষে না আনার জন্যে মিডিয়ার তুমুল সমালোচনা করে। খুব বেশী নয়, মেরেকেটে শ'খানেক লোকের জমায়েত ছিল ঐ সভাতে কিন্তু সেই সভারই ফলশ্রুতি হিসাবে সেই রাতেই NewsX নামক একটি জাতীয় চ্যানেলে মল্লিকপুরের ঘটনা সম্প্রচার করা হয়। সেই সভায় যদি শ'খানেকের বদলে হাজার খানেক লোকের জমায়েত হত তাহলে তার প্রভাব কি আরও বেশী হত না?

মগরাহাটের এক দরিদ্র ব্যাক্তি সুভাষ মন্ডলের মেয়ে টুকটুকি মন্ডল, বয়স মাত্র ১৪ বছর। গত ৪ঠা মে গভীর রাতে টুকটুকিকে তার বাড়ি থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যায় এলাকার কুখ্যাত সমাজবিরোধী সেলিমের স্নেহধন্য বাবুসোনা গাজী ও তার পরিবারের লোকেরা। সেই অভিশপ্ত রাতের পর থেকে স্থানীয় মগরাহাট থানায় বারবার আবেদন করেছেন সুভাষ মন্ডল, কিন্তু পুলিশ তার আবেদনে সাড়া দেয়নি। পরে তিনি হিন্দু সংহতির সভাপতি শ্রী তপন ঘোষের পরামর্শ অনুসারে তিনি প্রশাসনের উচ্চপর্যায়েও আবেদন করেন কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারনে প্রশাসনের উপরওয়ালারাও টুকটুকিকে উদ্ধার করার প্রচেষ্টাতে তেমন আগ্রহী হন না। আজ ৬৫ দিন হয়ে গেল, টুকটুকি আজও ঘরে ফেরেনি। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে চিহ্নিত সংবাদমাধ্যমও এরকম প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ নীরব।

টুকটুকি মন্ডলকে বাবুসোনা গাজীর কবল থেকে উদ্ধার করতে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা এবং সংবাদমাধ্যমগুলির দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, ব্যাঙ্কক, দিল্লী সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় সচেতন নাগরিক সমাজ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। সেই সচেতন সমাজের অন্যতম অঙ্গ হিসাবে জন অধিকার মঞ্চ (JAM) আগামী ১০ই জুলাই, শুক্রবার সন্ধ্যে ৬টা থেকে হাজরা মোড়ে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। আপনি এই সভায় যোগদান করে প্রশাসনিক নৈরাজ্যতার বিরুদ্ধে আপনার প্রতিবাদ ব্যক্ত করবেন নাকি নিজের বাড়ির মেয়েটির টুকটুকির মত পরিণতি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন সে সিদ্ধান্ত একান্তই আপনার।

সুবিচার

বানতলা হোক বা ধানতলা, কামদুনি হোক বা মগরাহাট, অপরাধী যখন মুসলিম আর আক্রান্ত যখন হিন্দু তখন এই রাজ্যে সুবিচারের আশা রাখাটাই অন্যায়।

মধ্যমগ্রাম বা রানাঘাট ধর্ষনকান্ডে প্রশাসনের যে তৎপরতা দেখা যায় সেটা উপরের ক্ষেত্রগুলিতে দেখা যায়না। তাই কামদুনির শিপ্রার পরিবার হোক বা মগরাহাটের টুকটুকির পরিবার, পুলিশ ও প্রশাসন এদের পাশে দাঁড়ায় না। এরা এ রাজ্যের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক তাই এদের ন্যায় বিচার পাওয়ার কোন অধিকার নেই।

অবশ্য শুধু প্রশাসনকে দোষ দেয়াও ঠিক নয় কারণ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক শক্তি যারা দিনের শেষে ভোটের আশায় সেই আম জনতার কাছেই হাত পেতে থাকে সেই জনতাই যখন এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় তখন খামোখা রাজশক্তিকে দোষারোপ করে কি লাভ? 

আজ টুকটুকি নামের যে মেয়েটিকে বাবুসোনা গাজী আর তার দলবল অপহরণ করেছে কাল সেই মেয়েটি টুকটুকি না হয়ে আমার নিজের মেয়ে বা বোনও হতে পারে, আর হতে পারে কেন, হবেই কেননা এটাই তো এই রাজ্যের ইসলামীকরনের অন্যতম উপায় তবু আমাদের ঘুম ভাঙে না, চোখ থেকে সেকুলারিজমের ঠুলি সরে না। আমরা এখনও ললিত মোদী আর মুকুল রায়কে নিয়ে চায়ের কাপে তুফান তুলছি। মাঝে মাঝে মনে হয়, কবিই বোধহয় আমাদের প্রকৃত চরিত্রটা ঠিকঠাক চিনেছিলেন আর তাই লিখেছিলেন "...রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি"।

টুকটুকি মন্ডল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সারা দেশ যখন ‪#‎SelfieWithDaughter‬ -এর জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে, মগরাহাটের সুভাষ মন্ডল সেই জোয়ারে গা ভাসাতে পারেন নি। আর পারবেনই বা কি করে, তিনিই তো সেই হতভাগ্য বাবা যার ১৪ বছরের মেয়ে টুকটুকিকে বাবুসোনা গাজী আর তার দলবল গত ৫ই জুন গভীর রাতে তার বাড়ি থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

সেই রাতের পর থেকে সুভাষ মন্ডল পুলিশ ও প্রশাসনের নানা স্তরে বহু আবেদন নিবেদন করেছেন, কিন্তু টুকটুকিকে উদ্ধার করা যায়নি। মানবাধিকার কমিশন এবং তপশীল কমিশনের কাছে করা তার আবেদনও ফাইলে বন্দী হয়ে থেকে গেছে, কোনও লাভ হয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা আবেদন যখন নিস্ফলা হয়ে যায়, তখন প্রশাসনের অন্যমহল থেকে কোন রকম সাহায্যের আশা রাখা যে নিছকই স্বপ্ন, সুভাষ মন্ডল আজ সেটা বুঝতে পেরে গেছেন।

আমরা নিজেদের বাড়ির ঠাকুরঘরে রাম আর কৃষ্ণর ছবি রাখি, তাদের পূজা করি কিন্তু একবারের জন্যেও মনে রাখিনা যে তাঁরা নারীর সম্মান রক্ষা করার জন্যে যুদ্ধ করতে পর্যন্ত পিছপা হননি। সীতা হোক বা দ্রৌপদী, নারীর সম্মানরক্ষায় কোনদিনও আপোষ করতে শেখায়নি আমাদের ইতিহাস। কিন্তু হায়, আমরা রাম আর কৃষ্ণর শুধু পুজাই করে গেছি, তাদের জীবন থেকে কোন শিক্ষাই নিতে পারিনি।

যে জাতি নিজের সমাজে মহিলাদের সম্মান রক্ষা করতে পারেনা তার, আর যাই হোক, সুপারপাওয়ার হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখা সাজে না। আজ টুকটুকি কাল হয়তো অন্যকেউ আর পরশু হয়তো আমার নিজের বাড়ির মেয়েও এভাবেই আমাদের ক্লীবতার যুপকাষ্ঠে বলি হয়ে যাবে, তবু আমরা চুপ করে বসে থাকবো, আমরা যে ভদ্রলোক।

সম্প্রীতির মূল্য

পঞ্চগ্রাম - দক্ষিন ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার অন্তর্গত একটি ছোট গ্রাম। গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই হিন্দু এবং শ্রমজীবী। গ্রামটির আশেপাশের গ্রামগুলি মুসলিম অধ্যুষিত হলেও এই গ্রামের লোকেরা তাদের উপস্থিতিতে কখনও আতঙ্কিত বোধ করেনি আর তাই আলাদা করে নিজেদের নিরাপত্তার কথা কখনও চিন্তাও করেনি। রাজ্যের অন্যান্য গ্রামের মত পঞ্চগ্রামের অধিবাসীদেরও বিশ্বাস ছিল যেকোন বিপদে পুলিশই তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।

এই গ্রামেরই বাসিন্দা শঙ্কর ভূঁইয়া - শাসকদলের ডাকসাইটে নেতা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে বহু সভায় জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছেন। দিদির রাজত্বে হিন্দু-মুসলিমরা যে একসাথে শান্তিতে বসবাস করছে সে কথা মনেপ্রানে বিশ্বাস করতেন। আশেপাশের গ্রাম থেকে মুসলিম অত্যাচারের খবর টুকটাক কানে আসলেও তিনি সেগুলোকে বিরোধীদের অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিতেন।

গত ২৪শে জুন, শঙ্কর ভূঁইয়া ও গ্রামের অধিবাসীদের শান্ত জীবনযাত্রা মুহূর্তের মধ্যে ছারখার হয়ে গেল যখন এক মুসলিম অটোচালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তাদের পাশের গ্রাম বাসুলডাঙ্গা থেকে হাজার হাজার মুসলিম এসে সারা গ্রাম জুড়ে তান্ডব শুরু করল। হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির গ্রেপ্তারীর পরেও মুসলমানদের তান্ডবে কোন বিরাম দেখা গেলনা। তারা একের পর এক বাড়ি লুট করতে লাগলো এবং লুট শেষে সেগুলিতে আগুন ধরিয়ে দিল। বসতবাড়ি, ধানের গোলা, আসবাবপত্র, সঞ্চিত অর্থ, বাসনপত্র - কিছু লুট হল আর বাকি সব কিছুক্ষনের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে ছাইয়ে পরিনত হল।

যে পুলিশের ভরসায় গ্রামবাসীরা নিজেদের নিরাপদ ভাবছিল,আক্রমনের সময় সেই পুলিশের টিকিও খুঁজে পেলনা গ্রামবাসীরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে এতদিন ধরে বক্তৃতা দিয়ে আসা শঙ্কর ভূঁইয়া ও তার আত্মীয়দের বাড়িগুলিও আক্রমণ থেকে রক্ষা পেলনা। দিদির পার্টির সদস্য হয়ে সে নীরবে দেখল যে তারই দলের বাসুলডাঙ্গার মুসলিম সদস্যরা, যাদের সাথে এতদিন ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন করে এসেছে, তারা তাকে বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে তার সর্বস্ব লুটেপুটে নিল। এমনকি পার্টির পতাকাটার প্রতিও কোন রেয়াত করলনা, সেটাকেও ছুঁড়ে ফেলে দিল।

বেলাশেষে যখন পুলিশ আসল, পঞ্চগ্রাম তখন প্রায় শ্মশানের রূপ নিয়েছে। গ্রামের অধিকাংশ পুরুষই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। রাজনৈতিক ঝান্ডা বয়ে বয়ে বেঁকে যাওয়া শিরদাঁড়া মুসলিম আক্রমনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারেনি। প্রতিটি গলির দুই পাশে আধপোড়া বাড়িগুলি যেন প্রশাসনের কর্তাদের দিকে তাকিয়ে ব্যঙ্গের ছলে হাসছে। আর গোটা গ্রামের নিস্তব্ধতা যেন চিৎকার করে জানিয়ে দিচ্ছে যে সম্মিলিত মুসলিম আক্রমনের সামনে রাজ্যের সর্বক্ষমতাসম্পন্ন স্বয়ং দিদিও কত অসহায়।

নিষ্পাপ

আম্মার ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই মনটা আশায় আশায় ছিল যে সল্লুভাইয়ের আচ্ছেদিনও আর বেশী দূর নয়। আর হলও তাই। আচ্ছা, হবে নাই বা কেন, সেই কোন যুগে, সামান্য নেশা করে না হয় কয়েকজনকে গাড়িচাপা দিয়েই ছিলেন তাই বলে ভাইয়ের মনটা তো খারাপ নয়। কতলোকের কত উপকার নাকি তিনি করে থাকেন, তাদের দোয়ার কি কোন জোরই নেই? সকলের দোয়ায় ভাই আজ জেল থেকে বেড়িয়েও এসেছে আর কোর্ট বলে দিয়েছে যে শুটিং-র জন্যে ভাইয়ের বিদেশ যেতেও বাধা নেই। মার কৈলাশ, এই রকম রায় না দিলে কি আর জনগনের আইন আদালতের উপর ভরসা থাকে!

ভাই বেড়িয়ে গেলেও আম্মাকে নিয়ে একটা চাপা উত্তেজনা থেকেই গেছিল। সদাচারী সরল মহিলা, কোর্ট তাকে দোষী বলা মাত্রই বিবেকের ডাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। যদিও সল্লুভাইয়ের মত ওনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিলনা। হিসাবের ভুলে কিছু দুষ্টু লোক বলেছিল যে তার নাকি আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি আছে। বিচারকদের এই হিসাব কষতে বেশী সময় লাগেনি। তাই, তিনিও ছাড়া পান। ছাড়া পাওয়ার পর স্বয়ং মোদীভাই তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান।

কিন্তু কি একটা কথা আছে না যে ভাঙা দেয়াল, খ্যাপা শেয়াল আর বড়লোকের খেয়াল - কোন ভরসা নেই। তাই আম্মাকেও সেই জনতার দরবারে হাজির হতে হল আবার নির্বাচিত হওয়ার জন্যে। এই জায়গাটাতেই আমার একটা আশঙ্কা ছিল। আগে-পরে যতই কারিকুরি করা হোক না কেন, ভোটের দিন তো সবকিছু সেই জনগণের হাতে। কোর্ট ছেড়ে দিলেও জনতা ছাড়বে তো?

আমার আশঙ্কাকে অমূলক প্রমান করে আজ আম্মা জেতায় আমি যারপরনাই আনন্দিত। সল্লুভাই আর আম্মা দুজনেই চক্রান্তের জাল ছিঁড়ে বেড়িয়ে এসেছেন। কিন্তু এত খুশীর দিনেও একটা কাঁটা আজও বুকের মধ্যে খচখচ করে যায়, মদনদা আজও ছাড়া পেল না।

দিনবদল

না বন্ধুগণ, ভুল বুঝবেন না। মুকুল রায় আয়োজিত ইফতারে বিজেপি নেতা প্রদীপ ঘোষের টুপি পরে উপস্থিতি মোটেই সংখ্যালঘুতোষণ নয়, এটা ভাতৃত্ববোধের সূচক মাত্র। স্বয়ং বাজপেয়ীও তো একই কাজ করেছেন। তোষণ হবে যদি সেটা বিজেপি বাদে অন্য রাজনৈতিক দলের কেউ করে। তখন সব হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি রে রে করে ঝাঁপিয়ে পরবে।

আর বর্তমান পরিস্থিতিতে তো মুকুল রায় "হোলি কাউ"। সারদা কেলেঙ্কারি হোক বা সংখ্যালঘু তোষন, দিল্লীর রাজনীতির বিচিত্র সমীকরণে, আজ আর কোন কাদাই তার সাদা পাঞ্জাবীকে মলিন করতে পারেনা। দুষ্টু লোকেরা বলে যে একদা (?) দিদির বিশ্বস্ত সেনাপতি আজ নাকি দিদির বিরুদ্ধে লড়াই করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

তাই আর্থিক কেলেঙ্কারি থেকে সংখ্যালঘু তোষণ, আজ সবকিছু মাফ। তাই বিজেপি ও তার সমমনভাবাপন্ন বিভিন্ন মঞ্চের ব্যক্তিরা মুকুল রায়ের আশীর্বাদ পেতে উদগ্রীব। আগামীদিনে হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা মমতার হিজাব পরা নিয়ে আপত্তি করলেও বিজেপি নেতাদের অনুরূপ আচরন নিয়ে যে নীরব থাকবে সেটা নিশ্চিত।
 

যোগ দিবস উদযাপন

"বিরোধীরা যখন তোমার দিকে ফুল ছুড়বে তখন বুঝবে তুমি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছ আর বিরোধীরা যখন তোমার দিকে জুতো ছুড়বে, বুঝতে পারবে যে তুমি তোমার লক্ষ্যে স্থির আছো।" - প্রাচীন প্রবাদ।

ভারতীয় যোগব্যায়াম আজ সারা পৃথিবীতে এমন জায়গায় পৌছে গেছে যে সেটার উপযোগিতা আজ আর কারুর স্বীকৃতির মুখাপেক্ষী নয়। স্থান, কাল আর পাত্রের উপস্থিতি উপেক্ষা করে আজ তা কালজয়ী আর সার্বজনীন। সারা বিশ্ব নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছে যে গণিতের শূন্য (০) বা চিকিৎসায় আয়ুর্বেদের মত যোগব্যায়ামও হল বিশ্বের সমস্ত জনসাধারণের প্রতি প্রাচীন ভারতের সনাতনী সভ্যতার এক অমূল্য অবদান।
এমতাবস্থায়, যোগ নিয়ে মোদী সরকারের অবস্থান ও প্রচার আমার কাছে নিছকই বাগাড়ম্বর বলে মনে হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের মত সময়োপযোগী বিষয়গুলিকে অবজ্ঞা করে যোগের মত একটি বিষয়, যা ইতিমধ্যেই সর্বজন স্বীকৃত, নিয়ে ঢক্কানিনাদ আমাকে আকৃষ্ট করেনি। আমার স্থির বিশ্বাস ছিল এবং আছে যে যোগ হল এমন একটি বিষয় যার প্রসঙ্গ ওঠা মাত্র সবাই নির্বিরোধে মেনে নেবে। লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের থেকে জনগন আরও বেশী কিছু আশা করে।

কিন্তু যোগব্যায়াম নিয়ে এদেশে বসবাসকারী মুসলিমদের আচরণ এবং তাদের তোষামোদকারী বিরোধী দলগুলির আচরন প্রমান করে দিয়েছে যে তারা এইদেশে বংশপরম্পরায় বাস করে আসলেও নিজেরা কখনই এইদেশের হয়ে উঠতে পারেনি। এই কারণেই ভারতের সুমহান পরম্পরা নিয়ে গর্ব করতে তাদের এত কুণ্ঠা। এক্ষেত্রে ওয়েশীর সাথে সোনিয়া গান্ধী বা সীতারাম ইয়েচুরির মানসিকতার কোন তফাৎ নেই, ভাষাটা আলাদা কিন্তু ভাবটা এক। এদের একমাত্র লক্ষ্য ভারতীয়দের হীনমন্যতায় ডুবিয়ে রাখা যাতে তারা তাদের গৌরবময় ইতিহাস থেকে প্রেরণা না পেতে পারে। স্বদেশের ঠাকুর ছেড়ে বিদেশের কুকুর পূজা করতেই এদের বেশী আগ্রহ।

এদের সম্মিলিত বিরোধিতা সত্বেও গত ২১শে জুন সমগ্র বিশ্বের সাথে দিল্লীর রাজপথেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে হাজার হাজার দেশবাসীকে সোৎসাহে যোগব্যায়াম করতে দেখলে এদের রাতের ঘুম উড়ে যায়। আগত দিনে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার ইঙ্গিত এদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই যোগাভ্যাস করাকালীন নরেন্দ্র মোদী অবস্থানগত কি কি ভুল করেছেন তাই নিয়ে এরা সোশাল মিডিয়াতে ঝড় তোলার ব্যর্থ চেষ্টা করে। এ যেন সেই মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করা নিয়ে বাড়ির বিধবা পিসিমার ভূমিকা। প্রথমে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতেই আপত্তি আর তার আপত্তি অগ্রাহ্য করে মেয়েটি স্কুলে ভর্তি হলেও সে কেন পরীক্ষায় ফার্স্ট হলনা তাই নিয়েও তাকে কটুক্তি। পঁয়তাল্লিশ বছরের "যুবরাজ" নিজেকে "তরতাজা" করতে ব্যাঙ্ককে চুপিচুপি ছাপান্ন দিনের ছুটি কাটিয়ে আসলে কারুর মাথাব্যথা নেই কিন্তু পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধ সকলের সাথে প্রকাশ্যে যোগাভ্যাস করলে এরা খুঁত খুজতে ব্যস্ত।

তবে প্রাচীন প্রবাদে বিশ্বাস রাখলে স্বীকার করতেই হবে যে মোদী তার উদ্দেশ্যে একশ শতাংশ সফল। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের মাধ্যমে তিনি শুধু ভারতের ঐতিহ্যময় অতীতকেই তুলে ধরেননি সাথে এদেশে বসবাসকারী সেই সব বিশ্বাসঘাতকদেরও মুখোশ খুলে দিয়েছেন যারা শারীরিকভাবে এদেশে বাস করলেও মানসিকভাবে কখনই এদেশের হয়ে উঠতে পারেনি।

North Bengal Tour

On 19th June, I accompanied Adv. Brojen Roy, Vice-President Hindu Samhati and Sujit Maity during their tour of North Bengal. We begun our program with a meeting at Mariakund village near Gajol in the district of Maldah. We reached the place at around 7:30 PM through muddy road. Though it was quite late in the night, especially considering the local ambiance, there were 45-50 youths present in the meeting. The meeting took place in a newly built ashram which provides residential facility to students. The villagers had already witnessed jihadi attack back in 2009 and cases are still pending against some of them. We made them aware about the changing scenario of West Bengal due to rapid demographic change as part of jihadi conspiracy which is being expedited due to minority appeasement policy of all political parties and reluctant attitude of administration. We also had interesting interactive session at the end of the meeting. The meeting continued for more than 2 hours under open sky and only a few emergency hurricanes were source of light which hardly enabled us to see each other’s face. After meeting, we had dinner in the ashram and left for Raigunj.

Next day, we left for Bhatol village to attend Kshatrashakti Jagaran Yajna. There was quite enthusiasm amongst the villagers over the event. The Yajna was conducted by Swami Niranjanananda Maharaj from Bharat Sevashram Sangha. More than 100 villagers took active part in the Yajna. Women participated in the event in quite good numbers. Around 40 boys of Hindu Samhati took pledge to protect the society and offered ahuti to Yajna. After the Yajna, Swamijis from Bharat Sevashram Sangha performed aarti of Swami Pranabananda and also displayed their expertise with weapons like sword, chakra etc. The event was concluded with the message from Swami Niranjanananda Maharaj and Sri Brojen Roy appealing people to learn the art of self defense. Swamiji advised them to practice their traditional weapons like bow-arrow and appealed women villagers to keep small but sharp weapon with them for self defense. After the event, khichuri was distributed amongst the villagers. After the completion of the event, we went to Dalkhola.

In the morning of 21st June, we went to Karandighi village near Samaspur and held a meeting with villagers. After the meeting, we moved to Kaligram where another meeting took place. More than 50 villagers joined the meeting. After meeting, we had lunch in the village and further moved to Jagatgao, a border adjacent village. After the meeting, we left for Kolkata late in the afternoon.

স্বপ্নভঙ্গ

স্থান - আসানসোল। কাল - ২০১৪এর নির্বাচনী প্রচার। পাত্র - ভারতীয় জনতা পার্টীর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী।

"মিত্রো...আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে যদি কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয় তাহলে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে এদেশে এসে বসবাসকারী সবাইকে আমরা সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দেবো।"

বক্তৃতা শেষ হতে না হতেই সারা রাজ্য তথা দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠে গেল। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও মোদীর এই বক্তব্যকে ভিত্তি করে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে পরলো। ধর্মীয় তথা সাংস্কৃতিক কারনে বাংলাদেশে অত্যাচারিত হয়ে নিজেদের নিরাপত্তা তথা অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে এদেশে আশ্রিত হিন্দুরাও মোদীর কথায় প্রমাদ গুনলো।

চতুর রাজনৈতিক মোদী বুঝলেন যে চালে কিছুটা ভুল হয়ে গেছে। মুসলমানদের ভোট যে তিনি কোনদিনই পাবেন না সেটা তিনিও বোঝেন আর তাই বক্তব্যর পর হিন্দুরাও দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পরেছে। তাই বারাসাতে, নিজের পরবর্তী জনসভায়, তিনি তার আগের বক্তৃতার ব্যাখ্যা করে বললেন যে তিনি সেইসব লোকেদের তাড়ানোর কথা বলেননি যারা বাংলাদেশে নিরাপদে দুর্গাপূজা করতে না পেরে এই দেশে এসেছে। অর্থাৎ সরকার গঠন করলে তিনি যে খালি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের এই দেশ থেকে তাড়াবেন, হিন্দু শরণার্থীদের নয় এই আশ্বাস তিনি দিলেন। আর এর ফলও মিললো হাতেনাতে। জেহাদী আক্রমনে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির একধাক্কায় দশ শতাংশেরও বেশী বেড়ে গেল। আর শুধু পশ্চিমবঙ্গ কেন, এই মেরুকরণের ফলে সারা দেশেই বিজেপির ঢেউ উঠে গেল আর পরিনামে এনডিএ-র জন্যে ২৭২+ এর প্রত্যাশী বিজেপি একাই ২৮২ টি আসন জিতে গেল।

জেহাদি সন্ত্রাস থেকে মুক্ত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভোট দেয়া হিন্দুরা নতুন সরকার গঠন হওয়ার কিছুদিন পরেই জানতে পারলো যে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানরা নাকি আদতে দেশপ্রেমীক,তারা নাকি এই দেশের জন্যে জীবন পর্যন্ত দিতে পারে আর সেটা জানালেন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী। যদিও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ঘেঁটে কতজন মুসলমান দেশের জন্যে ফাঁসিকাঠে প্রান দিয়েছে সেই তথ্য জানাবার কোন দায় তার ছিলনা।

হিন্দুরা মোদীর বক্তৃতা শুনে যে স্বপ্ন দেখে ভোট দিয়েছিল - সেটা রামমন্দির নির্মান হোক বা নেতাজীর অন্তর্ধান রহস্য প্রকাশ - বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই স্বপ্নগুলির কিছুকে 'জুমলা' (নির্বাচনী ধাপ্পাবাজি) বলে ঝেড়ে ফেলা হল আর বাকিগুলির জন্যে প্রয়োজনীয় সাংসদ না থাকার অজুহাত দিয়ে দেয়া হল। ভক্তদের জগঝম্পের মাঝে এই প্রশ্ন উঠতেই দেয়া হলনা যে স্বপ্ন দেখানোর সময় তিনি যে সংখ্যার দাবী করেছিলেন হিন্দুরা তার থেকে অনেক বেশী সংখ্যাই তাকে দিয়েছে।

ভোটের সময় যে মোদী দাবী করেছিলেন যে বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু শরণার্থীদের তিনি এই দেশের নাগরিকত্ব দেবেন আর মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ওদেশে ফেরত পাঠাবেন সেই মোদী আজ আসামে NRC তৈরির অছিলায় বাঙালী হিন্দুদের এই দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা প্রায় চুড়ান্ত করে ফেলেছে। ওদেশ থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে এদেশে এসে আশ্রয় নেয়া হিন্দুদের Push back- এর নামে বিএসএফ-কে দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলতেও কুণ্ঠিত নয় মোদী সরকার। আজ যা আসামে শুরু হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সেটা শুরু হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এক সারদার জুজু দেখিয়ে, দিদির আগেকার আপত্তিকে উড়িয়ে যদি খোদ তাকে পাশে বসিয়েই ভারতের অতিরিক্ত ১০,০০০ একর জমি বাংলাদেশকে দিয়ে দেয়া যায় তাহলে রোসভ্যালী বা ভাইপোকে দেখিয়ে এই রাজ্য থেকে হিন্দু খেদানোও খুব একটা কঠিন কাজ হবে বলে মনে হয়না। হাজার হোক, এই দেশের উপর "দেশপ্রেমিকদের" মত অধিকার তো আর অন্য কারুরই নেই, তাই না?

Jumla?

During the campaign for the general election 2014, in a rally at Asansole, Narendra Modi announced that every single person who illegally entered the country from Bangladesh would be driven away. That created huge furore in the state politics as ruling party along with other local parties interpreted that announcement as potential threat to even Hindu migrants and panic loomed large all over the state.

Sensing the panic, Narendra Modi came out with an explanation in the laterpart of his campaign. In his rally at Barasat, he explained that those who worship Maa Durga and have been forced to come to this country for continuous attack on them over their religious & cultural identity (read Hindus), need not to worry as they will be considered as migrant, not infiltrator, and awarded with citizenship status. This came as a big relief for Hindus and they thought, finally, 'achhe din' were to come.

Now, after one in the office, Modi Sarkar is all set to act in a way which is 180 degree opposite to it's poll promise. The following report suggests, the claim made by Modi, during campaign, to determine the status of different communities with a realistic approach based on ground realities, has received a big jolt as, now, everyone, irrespective of their religious & cultural identity, shall be considered on the basis of common yardstick. There will be no difference between a migrant and infiltrator though there is specific UN guideline to differentiate between the two.

Hapless Hindu migrants who thought, during campaign, that 'achhe din' were to come, are now living with the worst nightmare of their life to become victim of another poll prank popularly known as 'jumla'.

Importance of opposition in democracy

Viable opposition is a very important topic in political science. The word 'viable' actually is the key factor that determines the quality of opposition. It reflects many things like number, performance, credibility and many other characteristics of the opposition.

In democracy, a viable opposition holds the key to the performance of the party in power. In absence of a viable opposition, there is always a possibility that democracy may turn into an autocratic form of governance.

In democracy, number is always an important factor, not absolute though, to determine the strength of a viable opposition. In case oppositions are totally routed, as happened in the last assembly election in Delhi, there will hardly be any check over the functioning of the ruling party and thus an autocratic government shall be in force under the cover of democracy.

Though number is important in democracy but it is not supreme. The stature of the leaders in opposition is equally important to turn opposition into a viable one. The performance of Dr. Shyama Prasad Mukherjee against then Prime Minister Nehru, as the leader of the opposition in the Lok Sabha with only 2 MPs, has already become myth. Whereas, if we look at today's scenario, in Maharashtra or J&K, though oppositions have substantial number yet they are not upto the mark in discharging their duties as they do not have leaders of required stature in compare with that of ruling parties.

The third and probably the most important factor to determine a viable opposition lies in the credibility of leaders in opposition. The credibility also plays a pivotal role to determine the stature. In absence of any credible leadership, opposition is bound to succumb under the pressure of government. In such cases, people are, hardly, left with any choice to express their dissent against the ruling party. The case of West Bengal is the best illustration of such scenario.

So, mere opposition is not capable to discharge it duties unless it is a viable one. An incapable opposition, more often than not, becomes a toy in the hand of government to camouflage it's unethical acts. Selection of CVC & CIC are the glaring instances of such practices.

অজিত দোভাল

প্রচারের আলো থেকে নিজেকে সযত্নে সরিয়ে রেখেও কিভাবে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা যায় আজকের দিনে তার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হলেন ভারতের সুরক্ষা উপদেষ্টা, শ্রী অজিত দোভাল। মিডিয়ার ধরাছোঁয়া এবং রাজনৈতিক কুটকাচালি এড়িয়ে, অত্যন্ত শান্তভাবে তিনি নিজের লক্ষ্যে অবিচল।

ব্রজেশ মিশ্রের মত অযোগ্য ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা বানিয়ে বাজপেয়ী যে ভুল করেছিলেন, মোদী সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন আর তার লাভও তিনি হাতেনাতে পাচ্ছেন। ইয়েমেন থেকে ইসরায়েল, কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়া, মোদীর সবকটি আন্তর্জাতিক সাফল্যের পিছনেই আসল মস্তিষ্ক শ্রী অজিত দোভাল। আর মোদী স্বয়ং দোভালের উপর এতটাই ভরসা করেন যে তাকে দেশের স্বার্থে সবরকম সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার দিয়ে রেখেছেন। শোনা যায় যে ইসরায়েলের সাথে সামরিক চুক্তির সময় বিদেশ মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের থেকে সম্মতি পাওয়ার আগেই শ্রী দোভাল চুক্তিপত্র সই করে দেন।

মোদীর অধিকাংশ বিদেশ সফরেই দোভাল তার অনিবার্য সঙ্গী। সদ্য বাংলাদেশ সফরেও তাঁর যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু গত ৪ঠা জুন মনিপুরে ভারতীয় সৈন্যদের উপর হামলা হওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে যায়। মোদীর সফরসঙ্গী না হয়ে দোভাল দিল্লীতেই থেকে যান এবং বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাউন্টার অ্যাটাকের পরিকল্পনা সাজান। আর্মি ও এয়ারফোর্স যৌথ আক্রমনের রুপরেখা তৈরি করার পর মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাস থেকে সেই মর্মে মায়ানমারের সরকারকে অবহিত করা হয়। এরপরেই ভারতীয় সেনা মায়ানমারের সীমা পার করে সেদেশে ঢুকে জঙ্গিদের আক্রমন করে।

মাননীয় রেলমন্ত্রী সমীপেষু

মহাশয়, "রেলযাত্রী/গ্রাহক পক্ষ" উপলক্ষে আপনার মন্ত্রালয়ের তরফ থেকে বিভিন্ন স্টেশন, লেভেলক্রশিং সহ সংবাদপত্রগুলিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে সুরক্ষার স্বার্থে যাত্রীদের বিভিন্ন প্রকার "DOs & DON'Ts" মেনে চলতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। দেশব্যাপী এই বিশাল প্রচারে ব্যবহৃত হওয়া টাকা যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন বাবদ রেলের আয় থেকে খড়চা করা হচ্ছে সেটা সহজেই অনুমেয়।

আপনাদের এই বিশাল কর্মকান্ড দেখে মনে প্রশ্ন জাগে যে এই "DOs & DON'Ts" গুলো কি খালি যাত্রীদের জন্যেই প্রযোজ্য, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোন দায় নেই? বৈধ টিকিট কেটে ভ্রমন করা যাত্রীদের নিরাপত্তার কোন দায়িত্বই কি রেল পালন করবেনা? দায় যদি থেকেই থাকে তাহলে কি করে শিয়ালদহের মত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে, GRP ও RPF-এর বিপুল সংখ্যক উপস্থিতি সত্বেও তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে দুষ্কৃতিরা বোমা ও পিস্তল সহ নানা প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে ট্রেনে সওয়ার হতে পারে? দায় যদি থেকেই থাকে তাহলে কি করে গত ৪ঠা জুন, সমুদ্রগড় স্টেশনে, দুষ্কৃতীরা বিনা বাধায় রেলওয়ের সম্পত্তি ভাংচুর করতে পারে, সেগুলিতে আগুন লাগাতে পারে এমনকি উপস্থিত যাত্রীদেরও আক্রমন করতে পারে? "রেলওয়ে সম্পত্তি আপনার সম্পত্তি। একে নষ্ট করবেন না" বলেই আপনার দায়িত্ব শেষ, একে রক্ষা করার কোন দায় নেই? তাহলে জনগণের টাকায় খামোখা সুরক্ষা দল পুষে কি লাভ?

জনগণ অনেক স্বপ্ন নিয়ে 'আচ্ছে দিনে'র আশায় এবার ভোট দিয়েছিল, বছরে একদিন সংসদে দাঁড়িয়ে বাজেট পেশ করলেই সুদিন আসবেনা। আশা করি আপনি তাদের এই আশার উপযুক্ত মর্যাদা দেবেন এবং আপনার পূর্বসূরিদের বিপড়িত পথে হেঁটে ভারতীয় রেলকে তার হৃত সম্মান পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবেন।

বিনীত,
প্রসূন মৈত্র
 

প্রসঙ্গ: স্বচ্ছ ঘুষিপাড়া অভিযান

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসাবে কিছুদিন আগে আমাদের অফিস থেকে অফিস সংলগ্ন, মুসলিম অধ্যুষিত, ঘুষিপাড়া অঞ্চলটিকে নির্বাচিত করা হল। বিশাল আয়োজন। বেশ কিছু নতুন ঝাঁটা কেনা হল, ডাস্টবিন কেনা হল, এমনকি ঝাঁট দেবার সময় মুখে লাগানোর মাস্কও কেনা হল।
তারপর নির্দিষ্ট দিনে, আমন্ত্রিত প্রেসের সামনে শুরু হল সাফাই অভিযান। ম্যানেজমেন্ট ও ইউনিয়ন - দুই তরফেরই অধিকারীরা বাকি সকলের সাথে হাত মিলিয়ে রাস্তা পরিস্কার করলেন। সকলের ঐকান্তিক শ্রমে কিছুক্ষনের মধ্যেই এলাকার রূপ বদলে গেল। রাস্তার দুইপাশে, সদ্যকেনা, ডাস্টবিনও বসানো হল। আর এই কর্মযজ্ঞ দেখতে উপস্থিত এলাকার অধিবাসীদের অনুরোধ করা হল তারা যেন এই রাস্তা পরিস্কার রাখেন আর আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলেন।
খুব বেশী হলে দিন দুয়েক এরকম পরিচ্ছন্ন রূপ বজায় ছিল, তারপরই আবার সে তার পুরনো রূপ ধারণ করলো। কিছুদিনের মধ্যে রাস্তার পাশে বসানো বেশ কিছু ডাস্টবিনও গায়েব হয়ে গেল। একসপ্তাহ পরে, আনন্দবাজারে প্রকাশিত ছবি ছাড়া, আমাদের অফিসের স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আর কোন প্রমানই রইল না।
তবে এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আমাদের দেশের অধিকাংশ স্থানে, যেখানে নিয়মিত নজরদারি নেই, এরকম হওয়াটাই স্বাভাবিক। যতদিন না আমরা আমাদের জাতীয় সম্পত্তিগুলিকে আপন বলে ভাবতে শিখবো, এরকম চলতেই থাকবে। তাই জাতীয় চেতনার উন্মেষ ছাড়া জাতীয় উন্নয়ন অলীক স্বপ্ন বই আর কিছু নয়।

Aadhar fiasco

BJP went all out against UPA, Nandan Nielkeni and his brainchild Aadhar demanding constitutional validity of the project while it was in opposition. A few of them even went on to allege that Aadhar project was Christian lobby's ploy, which was being implemented, to get access to biometric record of citizens.
Now, once BJP came to power, all the equations have suddenly got changed. Even though the Supreme Court has ruled out Aadhar as a valid document to be considered for citizenship, Narendra Modi led NDA govt is hell bent to merge Aadhar with every documents of citizens. After it's decision to link Aadhar with Voter Id card and PAN card, now, it wants to link it, newly launched, digital locker as well. If this is done, anybody with a key to Aadhar records, shall be able to access every single detail of any citizen though Aadhar itself does not have any constitutional validity.
Now, the questions is, if Aadhar was implemented by Sonia under the advise of Christian lobby, as alleged by BJP then, what is compelling Narendra Modi to implement it now?

কর্তব্য

আবেদন-নিবেদনের দ্বারা কখনও কোন লক্ষ্যপ্রাপ্তি হয়না, সংঘাতই একমাত্র উপায়।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আগে কৌরব রাজসভায় শ্রীকৃষ্মের শান্তিদূতের ভূমিকা থেকে ইংরেজদের প্রতি গান্ধীর অনশনের অহিংস সত্যাগ্রহ, ইতিহাস সাক্ষী যে শুধু শান্তির মাধ্যমে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। এই কারনেই যে শ্রীকৃষ্ম বরাবর যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তিনিই গীতার মাধ্যমে অর্জুনের ক্লীবত্বকে ধ্বংস করে তাঁকে যুদ্ধ করতে প্রেরণা দেন। এই কারনেই সুভাষ চন্দ্র বোস কংগ্রেসের আবেদন-নিবেদনের রাজনীতি ছেড়ে নেতাজী রুপে সৈন্যদল গঠন করেন এবং ব্রিটিশকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করেন।
আজও যারা বিশ্বাস করেন যে আবেদন-নিবেদনের দ্বারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যপূরন সম্ভব তারা হয় ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ অথবা জেনেবুঝে নিজেদের ঠকাচ্ছেন। টমাস জেফারসন যথার্তই বলেছেন "অন্যায়টাই যখন নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়, প্রতিবাদটা তখন কর্তব্য"।

Bhakts

Really pissed off with the attitude of 'vakts' who are comparing Modi's one year in power with that of Man Mohan Singh. 'vakts' are justifying Modi's 53 days world tour covering 18 countries with MMS's 47 days of tour covering 12 countries. They are even propagating India's latest 85th rank in the list of transparency compared to 95 last year.
One question to 'vakts'- If Mannu's govt was that much worthy to compare as an yardstick, should they been forced to cease into mere 44 numbers of parliament and that too after sticking to power for 10 years?
One simple request to 'vakts'- Country have rejected MMS govt and thus its style of functioning one year ago. Don't do injustice to the mandate given to Modi by comparing it with Mannu's performance.

Change in stand?

I remember the hullabaloo created by the opposition in the year 1988, when, during his visit to People's Republic of China, then Prime Minister of India, Rajiv Gandhi, conceded a good areas of India's land to China when he said that the McMohon has been a bit thicker in some areas, so, it could not be determined who was the actual owner of that area. It was no wonder that Rajiv Gandhi felt no attachment with land of his own country just like his grandfather J.L.Nehru, who was in no pain as China forcibly captured some portion of India's territory at then NEFA (North East Frontier Agency) as he said in the Parliament, "what is the use of that land where not even a grass can be grown?". Dr. S.P. Mukhopadhyay, the leader of the opposition, promptly countered him, "even though there is no hair in the head of our Prime Minister, should we consider that as valueless?".
Since then, gallons of water has passed through the river Ganga and Hoang Ho. The party, which was in opposition then and made furor over the Prime Minister, has come to power now. But has there really been any change in the attitude in the last 27 years? People, who objected to the "thick line" comment then, are now of the view that "there is no commonly delineated Line of Actual Control (LAC) in the border areas between India and China". After making such comment in the Parliament, can we ever claim forceful possession of India's territory by China in any international forum or during bilateral discussion?

সিদ্ধান্ত আপনার

আগের কথা যদি নাও ধরি, গত ১৫ দিনে হিন্দু সংহতি ও জন অধিকার মঞ্চ উভয় মিলে মল্লিকপুর, কলিগঞ্জ আর হাঁসখালি সহ তিনটি ঘটনা সারা রাজ্য তথা দেশ তথা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেছে। কলেজ স্কোয়ার ও বউবাজারে দুটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে। প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত করেছে। মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার একটা অংশকে বাধ্য করেছে খবরগুলি জনসমক্ষে আনতে।
তাদের এই ভূমিকা বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। 'লাইক', 'শেয়ার', 'রিটুইট' আর 'ফেবারিট'-র জোয়ার এসেছে তাদের প্রতিটা পোষ্টে। কমেন্টে কমেন্টে উপচে পরেছে তাদের ছবি ও পোষ্টগুলি। www.hindusamhati.net এর ভিসিটর সংখ্যা এই পনের দিনেই ৬ হাজার থেকে বেড়ে ৯১ হাজারে পৌছে গেছে। কিন্তু তারপর?
উক্ত পোষ্টগুলিতে যারা কমেন্ট করেছেন বা সেগুলি 'লাইক', 'শেয়ার', 'রিটুইট' আর 'ফেবারিট' করেছেন বা যারা হিন্দু সংহতির ওয়েব সাইট পর্যন্ত ভিসিট করেছেন তাদের মধ্যে কতজন সেই সাইটেই 'ডোনেট' অপশনে ক্লিক করেছেন? সোশাল মিডিয়ায় হিন্দু সংহতি বা জন অধিকার মঞ্চের কাজের প্রশংসা করলে বা সেটা শেয়ার করলেই আপনার দায়িত্ব শেষ? ভার্চুয়াল দুনিয়ার বাইরে আসল দুনিয়ায় হিন্দু স্বার্থ রক্ষা করতে আপনার কি ভূমিকা? আপনারা স্বপ্ন দেখেন হিন্দুদের নবজাগরনের কিন্তু সেটার জন্য কতটা মূল্য আপনি নিজে দিয়েছেন?
না, আপনাকে লজ্জা দেয়া বা বিব্রত করার জন্যে এই লেখা নয়। আমাদের লড়াইতে আমাদের আপনাকে দরকার। আপনার 'তন মন ধনের' মাঝেরটা যে আমাদের সাথে সবসময় আছে সেটা আমরাও জানি কিন্তু আজকের দিনে শুধু সেটা যথেষ্ট নয়। তার সাথে আপনাকে হয় তন অর্থাৎ শারীরিক অবদান নয় ধন অর্থাৎ আর্থিক সহযোগিতা আপনাকে করতে হবে।
আপনার প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্বই আমাদের কাছে প্রথম কাম্য কারন আমরা বিশ্বাস করি যে এই রাজ্যে হিন্দুদের পুনরায় মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্যে প্রত্যক্ষ সংগ্রামই একমাত্র পথ। কিন্তু আপনি যদি সেটা একান্তই না পারেন তাহলে অন্তত আপনার বাড়িতে মা লক্ষ্মীর ঝাঁপির পাশে আরেকটা কৌটো বসান আর সেটার গায়ে লিখুন 'আত্মসম্মানের মূল্য'। মাসের প্রতিদিন নিয়ম করে ঐ কৌটোতে, কয়েন হলে কয়েন আর টাকা হলে টাকা, যা পারেন জমা করুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি সেটা বাড়ির ছোটদের দিয়ে জমা করান যাতে তারাও 'আত্মসম্মানের মূল্য' বুঝতে পারে। মাসের শেষে জমা টাকা সম্ভব হলে সরাসরি হিন্দু সংহতির অফিসে অন্যথায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়ে পরের দিন থেকে আবার সেই জমানো শুরু। বাড়িতে লক্ষ্মীর ঝাঁপি নেই? নো প্রবলেম। আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে টাকা পাঠিয়ে দিন। অনলাইন অ্যাকাউন্টও নেই? আপনার ব্যাঙ্কে স্ট্যান্ডিং ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখুন যাতে একটা নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ট্রান্সফার হয়ে যায়।
একবার দেশভাগ মেনে নিয়েছি, আবারও কি সেটা দেখতে হবে? লড়াই না করেই আবার নিজেদের জমি মুসলমানদের হাতে সঁপে দিয়ে উদ্বাস্তু হবো? মন দিয়ে আপনি যে এ লড়াইতে আমাদের সাথে আছেন সেটা জানি, এবার প্রয়োজন হয় রক্ত নয় অর্থ। কোনটা দেবেন, সিদ্ধান্ত আপনার।