Sunday, September 13, 2015

সাফল্যর পিছনে...

ইংরেজিতে একটা কথা আছে- Nothing succeed like success, অর্থাৎ সাফল্যর চেয়ে বেশী সফল আর কিছুই নয়। কিন্তু মুশকিল হল যে সাফল্যটাই সবার নজরে পরে, সেই সাফল্যের পিছনে যে নিরলস পরিশ্রম থাকে, যা কালে কালে সাধনার রুপ নেয়, সেটা অনেক মধ্য মেধার লোকের নজরেই আসেনা। ফলশ্রুতি হিসাবে হয় তারা সাফল্যকে হিংসে করে অথবা নিজেদের অসফলতা কে ঢাকার প্রচেষ্টায় অন্যের সাফল্যকে হেয় করার চেষ্টা করে।

আজ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু সংহতি যেটুকু অঞ্চলে সাফল্য অর্জন করে তার পরিণতি হিসাবে সেই সব জায়গায় হিন্দুরা জিহাদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারছে। এতে হিন্দু বিরোধীদের যত না গায়ে জ্বালা ধরছে তারচেয়েও বোধহয় বেশী জ্বালা ধরছে তাদের যারা এতদিন এই রাজ্যে হিন্দুত্বের ঠিকা নিয়ে বসেছিল। মনে হয়তো আশঙ্কা জাগছে এই বুঝি দোকানের কিছু খরিদ্দার চলে গেল। কিন্তু ভাই, নিজেদের কে একটু প্রশ্ন করে দেখতো, তোমরা যদি সঠিক পথেই চলতে তাহলে কি আজ হিন্দু সংহতি স্থাপনের প্রয়োজন পরতো? কোথাও না কোথাও, কিছু না কিছু ভুল তো নিশ্চয় হয়েছিল যে কারনে আজ সেই হিন্দু সংহতি, খুব ক্ষুদ্র জায়গায় হলেও, সাফল্য পাচ্ছে।

ভাইসব, এখনও সময় আছে, সেই ভুলগুলোর সংশোধন করে যুদ্ধে নেমে পরো। জিহাদি সন্ত্রাস আজ আমাদের উঠোনে এসে দাঁড়িয়েছে, এখনও যদি ভাড়াটে সৈন্য লাগিয়ে তু তু ম্যায় ম্যায় চালিয়ে যাও তাহলে কিন্তু ইতিহাস ক্ষমা করবে না।

ধর্মনিরপেক্ষতার নমুনা

ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র আর সেই রাষ্ট্রের অংশ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য। ধর্মনিরপেক্ষতার মানে হল রাষ্ট্রের নিজস্ব কোন ধর্ম থাকবেনা, সে কোন বিশেষ ধর্মের প্রতি ভেদভাব করবে না বা কোন ধর্মের প্রতি বিশেষ প্রেম প্রদর্শন করবে না।

এই কারনেই মহামান্য দিদির পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঈদ উপলক্ষে দূর্গাপূজার বিসর্জনের দিন পরিবর্তন করেছিলেন যাতে সংখ্যালঘুরা মনে আঘাত না পায়। জন্মজাত সেকুলার হিন্দুরাও তাদের মুসলিম ভাইদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত বিনা প্রতিবাদে মেনে নিয়েছিল। এবার পূজার সময় পিছিয়ে যাওয়ায় ঈদের সাথে সংঘাত এড়ানো গেছে কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্যের পুরোধা হিসাবে এবার কি দিদি দূর্গাপূজার চারদিন এই রাজ্যে গোহত্যা তথা গোমাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করার হিম্মত দেখাতে পারবেন।

রাহুল সিনহা, রুপা গাঙ্গুলী, লকেট চ্যাটার্জী ও শমীক ভট্টাচার্যর পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি কি তাদেরই পার্টী পরিচালিত মহারাষ্ট্র, রাজস্থান বা ছত্তিসগড় সরকারের প্রদর্শিত পথে দূর্গাপূজার চারদিন এই রাজ্যে গোহত্যা তথা গোমাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করার দাবীতে পথে নামবেন নাকি সেক্ষেত্রেও সংখ্যালঘু ভোটের সুরসুরিটা থেকেই যাবে?

Sunday, September 6, 2015

মৃতের ধর্ম

সমুদ্রপাড়ে ভেসে আসা একটি শিশুর নিথর দেহ কাঁপিয়ে দিয়েছে সারা পৃথিবীর মানবিক সত্বাকে। সিরিয়ান রিফিউজি পরিবারের এই শিশুটির এই মর্মান্তিক পরিনতির কারন সিরিয়াতে IS কর্তৃক ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা। ইংল্যান্ড থেকে কানাডা- সম্পূর্ণ উত্তর গোলার্ধের রাজনৈতিক পট বদলে দিয়েছে আলিয়ানের নিথর দেহ।

এবার দেখুন দ্বিতীয় ছবিটি। এটিও একটি নিষ্পাপ শিশুর নিথর দেহ। এক্ষেত্রেও এর মৃত্যুর জন্যে দায়ী ইসলামিক সন্ত্রাস। তবে এক্ষেত্রে বদ্ধভূমিটা সিরিয়া নয়, কাশ্মীর আর মৃত শিশুটি কাশ্মীরী পন্ডিত পরিবারভুক্ত হিন্দু। তাই বোধহয়, সারা পৃথিবী তো ছাড়, খোদ এই দেশেরই অধিকাংশ মানুষ এর খবর রাখেনি। এদেশে মুসলিমের হাতে হিন্দুর মৃত্যু যেন খুবই স্বাভাবিক।

তবে কি 'সন্ত্রাসবাদীদের কোন ধর্ম নেই'-র মত 'মৃতের কোন ধর্ম নেই' কথাটাও নেহাতই আক্ষরিক? হায় ইন্দ্রনাথ, ভাগ্যিস আজ তুমি বেঁচে নাই।