Saturday, December 28, 2019

পঞ্চতন্ত্রের শিক্ষা ও বাঙালী

গতকাল নৈহাটিতে একটা মেলার উদ্বোধন করতে মমতা ব্যানার্জী এসেছিলেন আর উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বলেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে তিনি CAA বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলবৎ হতে দেবেন না। অর্থাৎ, যে আইনের ফলে, পূর্ব-পাকিস্তান বা বাংলাদেশে, সেদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী মানে মুসলমানদের কাছে অত্যাচারিত বাঙালীরা, ভারতে এসে, নির্বিঘ্নে এদেশের নাগরিকত্ব লাভ করে, দুশ্চিন্তাহীন জীবনযাপন করতে পারেন, সেই আইন নাকি তিনি এই রাজ্যে চালু করতে দেবেন না।

সংবিধান অনুসারে, তাঁর এই অধিকার আছে কিনা সেই প্রশ্নে আপাতত যাচ্ছিনা কারণ সেটা জটিল আইনি বিষয়, তবে তিনি যেই রাস্তা ধরে নৈহাটি এসেছিলেন, আজ সেই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে অফিস যাতায়াতের সময়, বিভিন্ন যায়গায় পার্টি থেকে লাগানো পোস্টার দেখলাম যেখানে লেখা আছে No CAA, No NRC। মজার কথা হল যে অনেক জায়গাতেই এইসব পোস্টারের নীচে যে নামগুলি লেখা আছে সেগুলি বাঙালীদের। আমার চোখে অন্তত একটাও মুসলমানের নাম পড়লনা।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে, এদেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির জন্যে শুধু হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান আর পারসিক শরণার্থীদের নাম বিবেচনায় হওয়ায় আর মুসলমানদের উল্লেখ না থাকার ফলে, মমতা ব্যানার্জী তাঁর রাজনৈতিক স্বার্থে সোচ্চার হতেই পারেন কিন্তু নিজেদের শিক্ষিত ও সুবিবেচক হিসাবে দাবী করা বাঙালীরা তাঁর এই প্ররোচনায় কিভাবে পা দিতে পারেন, সেটা বুঝতে আমি অক্ষম। এই প্রসঙ্গে পঞ্চতন্ত্রের একটা গল্প মনে পড়ে গেল।


একদিন একটা ধূর্ত শিয়াল একটা কুয়োর মধ্যে পরে গেলো। শিয়ালটা কুয়ো থেকে বার হবার জন্য নানা চেষ্টা করেও বিফল হয়ে, একটু ধীরস্থির হয়ে চিন্তা করতে লাগলো। হঠাৎ তার নজরে পড়লো একটা বড়ো ছাগল,তার বিশাল দুটো শিং,ছাগলটা কুয়োর দিকে উঁকি মেরে দেখছে আর এদিক ওদিক দেখছে। শেষে ছাগলটা শিয়ালকে জিজ্ঞাসা করলো, "আরে শিয়াল ভায়া, তুমি এতো বুদ্ধিমান হয়ে কিভাবে কুয়োতে পড়লে?"


ধূর্ত শিয়াল বুঝলো যে এই সুযোগ, সে বললো "ওহে ছাগল আমার, তুমি সত্যিই ছাগল নাহলে এটাও বুঝলেনা যে আমি কেন কুয়োতে নামলাম!"  ছাগল অবাক হয়ে বললো, "না শিয়াল ভাই, আমার বুদ্ধিতে কুলোচ্ছেনা, আমি কিছুতেই বুজতে পারছিনা যে তুমি কুয়োতে নামলে কেন আর নামলেই যখন তখন এই কুয়ো থেকে বার হবে কিভাবে?" ছাগলের কথাটা শিয়াল একটু হাসলো এবং বললো যে "আমিতো ভালোই লাফাতে পারি তা নিশ্চয় তুমি জানো ,তাই এক লাফে যখন খুশি বের হয়ে যাব। তবে কি জানো, আমি তো এত তাড়াতাড়ি বের হতে চাই না। আমি মনস্থির করেছি যে এখানেই থাকবো।" শিয়ালের কথা শুনে ছাগল অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো, "কেন ভাই তুমি কুয়োর মধ্যেই থাকতে চাও কেন, কি আছে এমন কুয়োতে?" এবার শিয়াল চালাকি করে বললো যে "হে আমার বোন তোমাকেই কেবল এই গোপন কথাটি বলছি, তুমি কাউকে বলনা কিন্তু"। ছাগল বললো, "না না আমি এই তিন সত্যি করে বলছি যে আমি কাউকে বলবোনা, তুমি গোপন কথাটি আমায় বলো"। তখন শিয়াল বললো দেখো কাউকে বলবেনা কিন্তু -তুমি তো জানোনা ,আর জানবেই বা কেমন করে তুমি তো আর খাওনি এই কুয়োর জল - এই কুয়োর জল একবার যে খাবে সেই বুঝবে যে কি মাহাত্ম্য এই জলের। আহা, কি সুস্বাদু এই জল, যেমন এর স্বাদ তেমন এর গুণ। একবার যে খাবে সেই পরম তৃপ্তি লাভ করবে। এই জল খেলে অন্য্ কিছুই খাবার প্রয়োজন হয়না। কি সুস্বাদু ,কি পুষ্টিগুণ। প্রাণ মন তৃপ্তিতে ভরে গেল। সেই কারণেই আমি মনস্থ করেছি যে আর আমি বাইরে যাবনা, বাইরে দিন রাত কত কষ্ট করতে হয় এই পেট টুকু ভরবার জন্য। সারা রাত এদিক সেদিক ঘুড়ে বেড়াতে হয় একটু খাবার জোগাড় করতে! তাও রোজ যোগাড় করতে পারিনা। তার উপরে নানা ভাবে প্রাণের ভয় তো আছেই। এখানে তো একদম নিশ্চিন্ত, কোন ভয়ও নাই। শুধু খাও আর ঘুমাও ,আহঃ কি সুস্বাদু এই জল! কিন্তু তোমাকে বলে আর কি হবে তুমি তো আর খাওনি এই জল। খাবেই বা কি করে তুমিতো আর লাফ দিতে পারোনা, তাই নামবেই বা কি করে!

শিয়ালের চালাকি না বুঝে নিজের বীরত্ব দেখাতে ছাগল লাফ দিয়ে কুয়োর ভেতরে লাফিয়ে পড়লো। ধূর্ত শিয়াল তো এটাই চাইছিলো। ছাগল লাফিয়ে নামতেই শিয়াল ছাগলের শিং-র উপরে চড়ে, একলাফে কুয়োর বাইরে বেরিয়ে গেল আর ছাগল নিজের বুদ্ধির দোষে কুয়োর ভেতরে পরে রইলো।

উপরের গল্পে শিয়ালের যায়গায় মুসলমানদের আর ছাগলের যায়গায় হিন্দুদের বসিয়ে দিন, তাহলেই বাস্তব ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। মানে, ১৯৪৭ সালে মুসলমানরা, ভারতকে ভেঙে, নিজেদের জন্যে আলাদা দুটি পেল, সেই দেশদুটিতে অমুসলিমদের উপর অত্যাচার করে তাদের দেশ ছাড়া হতে বাধ্য করলো অথচ দিদির দাবী যে এরপরেও তারা সেই দেশ থেকে ভারতে আসলে, তাদেরকেও এই দেশের নাগরিকত্ব দিতে হবে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা সমস্ত সুযোগসুবিধা দিতে হবে, এমনকি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীদের বঞ্চিত করে, তাদেরকে OBC-A সংরক্ষণের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে সুযোগ দিতে হবে। মমতা ব্যানার্জী নাহয় ভোটের স্বার্থে দুধেল গাইদের লাথি খেতে সম্মত হতে পারেন কিন্তু তাঁর দলের বাঙালী সমর্থকেরা কি এতটাই দলদাস হয়ে গেছেন যে নিজেদের বঞ্চনার মধ্যেই সুখ উপভোগ করছেন? 

আজ নাগরিকত্ব আইনের ফলে, মুসলমান অনুপ্রবেশকারীরা, গল্পের সেই শিয়ালের মত, উদ্ধারের রাস্তা খুঁজছে। তারা খুব ভাল করে জানে যে সেই ছাগলের মত হিন্দুদের যদি তারা কুয়োতে নামাতে না পারে তাহলে তাদের উদ্ধার নেই। কিন্তু পঞ্চতন্ত্র পড়া শিক্ষিত বাঙালী যদি তাদের এই ফাঁদে পা দেয়, তাহলে দোষ কার? নিজেদের দেশের বিভাজন মেনে, পার্শ্ববর্তী দেশে তাড়া খেয়ে উদ্বাস্তু জীবন দেখার পরে, দিনে দিনে কর্মসংস্থানের সুযোগ সঙ্কুচিত হওয়ার পরেও যদি তারা এই আইনের কঠোরভাবে বলবৎ করার দাবীতে সোচ্চার না হয়, তাহলে জনসংখ্যার ভারসাম্যের হিসাবে তাদের পুনরায় উদ্বাস্তু হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।      

Friday, December 27, 2019

Open Letter to Mamata Banerjee on compensation to CAA protestors








Dear Didi,

As per reports published in different news papers, you have announced ₹5 lakhs compensation for families of those killed during protests (?) against the CAA in Mangaluru. It means tax payers' money from WB will be given away to Jaleel Kudroli and Nausheen Bengre and that too when the concerned state govt has already announced a CID as well as Magisterial inquiry into the violence.

Even if I don't go into the merit of your decision of offering compensation to people of other states on law and order issue in line
with the spirit of the federal structure of India, will you be kind enough to explain what was the hurry in announcing the same while the inquiry report was not yet out? What prompted you to jump into the internal affairs of another state especially after denying central assistance to help your admin in tackling law & order situation in the state of WB which witnessed absolute anarchy through rampaging of public properties in the excuse of protests against the CAA by jihadists all across the state?      

If your decision was on humanitarian ground, why don't you explain your lack of humility towards the people of your own state? I don't think you are unaware of names like Rohit Tanti of Kharagpur, Indrajit Dutta of Burbhum, Guruprasad Biswas of Shantipur or for that matter Toton Das of Raiganj, who were citizens of your own ruled state, yet you never came out with a compensation package for them. Why Didi, what was their fault? Was it their Hindu identity that deprived them of compensation on 'humanitarian ground'?

You could offer ₹2 lakhs compensation to those died consuming hooch but never offered anything to Hindus died due to failure of your administration. Once the family of Uri martyr, Gangadhar Dolui, didn’t worth more than ₹2 lakhs to you, what made Jaleel & Nausheen worth ₹5 lakhs?
Is it their religious identity or your desperate effort to catch headlines in the national media?

I am a resident of your state and sending this open letter to you in disgust after witnessing your continuous discriminatory treatment based on religious identity. You are free to have your own political agenda but we, the people of West Bengal, are not supposed to be taken for a ride for fulfillment of your personal ambitions. Being a well wisher of you, I would like to let you know that the CAA is a relief for Hindu, especially, Bengali migrants and your opposition to the bill, only for the sake of Muslim appeasement, is not being taken well by Bengali of different sections.

In view of the above, I, once again, request you to reconsider your stand on the CAA and stop encouraging forces opposing the bill vis-a-vis Bengali migrants for their own vested interests. Being the head of a Bengali dominated state, I believe, its your responsibility to take care of the interests of Bengalis rather than opposing that due to political differences.

Thanks and regards, 

Prasun Maitra      

Saturday, December 21, 2019

Mixing up CAA with NRC is a blunder

I'm unable to understand why a section of BJP leaders & supporters are mixing up CAA with NRC. This is further deteriorating the conditions as people have witnessed ugly side of NRC and they have no idea about the framework of propagated  NRC in absence of any credible information in public domain.

CAA has nothing to do  with NRC, rather CAA should help Hindu migrants to enlist as citizens of this country during NPR. I have no idea why BJP & it’s affiliates are not being able to convey this simple thought to people in general. I have nothing to say if they prefer to use these chaotic situation to distract people from other crisis like that in economy but if that is not the case, I think, they should give a second thought on persons representing the party or the govt in the media and also in social media.

Any retreat on the CAA is bound to have a negative impact on the image of the govt but continuance of such chaotic situation can't be appreciated either. It must be realised that prior to NRC, sealing of borders is a must. With porous borders in every other places, exercise of NRC is never going to yield desired result. Further, it should also be considered, why citizens of hinterland have to undergo such exercise and also if the cost incurred really worth their spending. Let's hope govt take all these factors into consideration before deciding on NRC and linking it with CAA by their representatives in different forums.                          

মরণ ঘুম

১৯২০ সালে, আপনি যদি লাহোর বা করাচীর কোন হিন্দু বা শিখ ব্যবসায়ীকে এই কথা বলতেন যে আগামী ২৭ বছরের মধ্যে তাদেরকে সর্বস্ব খুইয়ে, উদ্বাস্তু হতে হবে, তাহলে তাঁঁরা হয়তো আপনার কথা শুনে মুচকি হাসতেন আর আপনি চলে আসলে, আপনার কল্পনাশক্তি নিয়ে ঠাট্টা করতেন।

সাতের দশকে আপনি যদি কোন কাশ্মীরি পন্ডিতকে বলতেন যে আগামী দশকে তাদেরকে নিজেদের সর্বস্ব হারিয়ে, ভিটেমাটি ছেড়ে, নিজভূমে পরবাসী হতে হবে, তাহলে তাঁরাও বোধহয় আপনার কথাকে পাগলের প্রলাপ ভেবে অট্টহাসিতে ফেটে পড়তেন।

এখন আপনি যদি এদেশের হিন্দুদের বলেন যে বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি যেরকম রয়েছে, সেরকমই চলতে থাকলে, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে তাদেরকে এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও উদ্বাস্তু শিবিরে জীবন কাটাতে হবে, তাহলে তারাও বোধহয় আপনার কথায় হাসবে।

হিন্দুদের ঘুম সহজে ভাঙেনা !!

Thursday, December 19, 2019

Other side of Jamia protest

Recently, there have been protests against the Citizenship Amendment Bill, recently passed by the parliament and thus became an Act, in many parts of the country. More often than not these protests have turned violent and ended up in confrontation with law enforcement agencies except in the state of West Bengal where protestors were offered a few days of immunity before Mamata Banerjee administration started to tighten the screw on them.

There can be no denial of the fact that these protests were somehow isolated events and didn’t have pan-Indian impact until police intervention in Jamia Millia University a few days ago. The CAA, that made way for hassle-free citizenship for migrants for the minorities in three neighbouring countries, sparked a cause of panic amongst Muslims right from the beginning for all the wrong reasons. Even though, Muslim citizens of India had nothing to do with that act, yet a sense of insecurity loomed large over them due to misrepresentation by opposition parties and lack of explanation from those who are in favour of the act.

I am not going into the legalities of the referred intervention but that was enough to give birth to the perception that the govt is in favour of using force to tame down the voice of dissent. Since then, it was an easy run for the forces opposing the act as they smartly equated the Act with the freedom of expression (FoA) to bring students and youths into their side. Although this act was made on a humanitarian ground but supporters of the act failed to project it in that way due to reasons best known to them.

One is free to differ with me on this but I strongly believe that without engaging ourselves into gag blaming of students, we should realise that its the demand of their age to be of rebellious nature. At that age, they are meant to get carried away more by emotions than logic. Its not wise to alienate them based on political line. One may argue that their rebellious nature should have come to the fore against Islamic orthodoxy, but that did not happen. They like, Young Bengal, should have at the forefront of social reforms in their community, but that is not the case with Muslim youth. I agree but I also propose to ask ourselves whose duty is this to alienate them from Islamic lobby? Is there any such mechanism in place, at all? Blaming the whole community is not going to bring them back in track and without rescuing them from the clutches of Islamic & Communist cartel, we'll not be able to make the best out of our young human resources.

I believe if our youths like Khudiram Bose or Bhagat Singh or many others had reasons of inspiration to work and sacrifice for their motherland, today's youth are not of much exception. What need is a proper target and good guidance to reach that. If we shun them for falling victims in the vicious conspiracy of anti-nationals, it will not only cost us our future but also create a hostile situation in present days as well.

Tuesday, December 17, 2019

মাতৃ আরাধনা

শক্তির আরাধনা

পুঞ্জীভূত ক্রোধ আর লাগামহীন হিংসা – এই দুইয়ের সম্মিলিত ফল হল নগ্ন ত্রাস যা সন্ত্রাসসৃষ্টিকারীদের মনে এমন আতঙ্ক সৃষ্টি করে যে তারা অস্ত্র ফেলে করুণার ভিক্ষা চাইতে বাধ্য হয়। শত অনুনয় আবেদনেও যে আসুরিক শক্তি তাদের হিংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে বিরত হয়না, তাদের প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায় হল তাদের মনে প্রতিবর্ত ত্রাসের সৃষ্টি করা। হ্যাঁ, এই শিক্ষাই জগজ্জননী তার মাকালী রূপে আমাদের দিয়েছেন কিন্তু আমরা তাঁর দেয়া শিক্ষা ভুলে, মূর্খের মত শুধু তাঁর পূজা করে যাচ্ছি।

পুরাণ অনুযায়ী, মাকালী হলেন মাদূর্গারই ভিন্ন রুপ। পানিণির মতে কালী শব্দটি হল সংস্কৃত শব্দ কালম্-র স্ত্রী রুপ। সংস্কৃতে কালম্ শব্দটির দ্বারা কালো (রঙ) আর কাল (সময়) দুইই বোঝায়। ঊনবিংশ শতাব্দীর এইটি প্রামাণ্য সংস্কৃত গ্রন্থ, শব্দকল্পদ্রুম অনুসারে “কালঃ শিব। তস্য পত্নোতী  কালী।“ অর্থাৎ, মাকালীর সাথে সময়ের একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক্য রয়েছে। আর সেই সময়ের দাবী মেনেই অসুর রক্তবীজের বধ করার জন্যেই মা-এর আবির্ভাব।

রক্তবীজ ছিল অসুররাজ শুম্ভ ও নিশুম্ভের সেনাপতি। সে একবার মহাদেবের কঠোর তপস্যা করে। তার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব আবির্ভূত হন এবং তাকে বর দিতে চান। রক্তবীজ তখন তাঁর  কাছে তাকে অমরত্ব লাভের প্রার্থণা করে। দেবাদিদেব যখন কোন জাগতিক ব্যক্তিকে অমরত্ব দানে তাঁর অসামর্থতার কথা জানান, তখন রক্তবীজ মহাদেবের কাছে কৌশলে এক বর লাভ করে যাতে যেখানে তার রক্তবিন্দু মাটিতে পরবে, সেখান থেকেই যেন নতুন রক্তবীজের জন্ম হয়। এই বর লাভ করে রক্তবীজ কার্যতঃ অজেয় হয়ে ওঠে। তাই শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করার জন্যে দেবী দূর্গা যখন চামূন্ডা রূপে আবির্ভূত হয়ে তাদের সেনাপতি রক্তবীজের সাথে লড়াই করেন তখন বারবার রক্তবীজকে পরাস্ত করা সত্বেও, তাকে বধ করতে পারেন না। রক্তবীজের দেহের প্রতিটি রক্তবিন্দু মাটিতে পড়তেই সেখান থেকে নতুন রক্তবীজের জন্ম হয় এবং অগণিত রক্তবীজ দ্বারা যুদ্ধক্ষেত্র ভরে যায়।

রণক্লান্ত দেবী ক্রমেই অনুভব করেন যে চিরাচরিত পদ্ধতিতে লড়াই করে এই আসুরিক শক্তিকে জয় করা সম্ভব নয়। আর রক্তবীজকে পরাস্ত না করতে পারলে শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করে পুনরায় দৈব শাসন প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব। তখন তিনি শালীনতার গণ্ডি অতিক্রম করে এক নগ্ন এবং ভয়ঙ্করদর্শনা নারীর রুপ ধারন করলেন এবং রক্তবীজের বংশকে আক্রমণ করলেন। আসুরিক শক্তির পূনঃর্জন্ম রোধ করতে দেবী প্রতিটি রক্তবীজকে বধ করে তার রক্ত মাটিতে পরার আগেই সেই রক্ত পান করে নিতে লাগলেন এবং ক্রমে এইভাবে রক্তবীজের বংশকে ধ্বংস করলেন।

হিন্দুশাস্ত্রগুলি ভাল করে অধ্যায়ন করলেই বোঝা যাবে অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করতে স্বয়ং ঈশ্বরও বহুবার সভ্যতা ও শালীনতার গণ্ডী অতিক্রম করেছেন। জগজ্জননীর মাকালীরূপে রক্তবীজকে বধ করা যদি একটি দৃষ্টান্ত হয় তাহলে আরেকটি হল ভগবান বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতার। হিরণ্যকশিপুর মত আসুরিক শক্তিকে পরাজিত করা কোন কোমল মানবিকতা সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব ছিলনা। তাই হিরণ্যকশিপুকে বধ করার জন্যে ভগবান নৃসিংহ – যার মধ্যে মানুষ ও পশু, দুই স্বত্বাই বর্তমান - রূপে আবির্ভুত হলেন।

বর্তমানে হিন্দুরা তাদের বাড়িতে বা পাড়ায় বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে চলেছে, রাস্তায় মন্দির দেখলে প্রণামী দিচ্ছে বা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সদস্য হয়ে আধ্ম্যাতিক মুক্তির পথ খুঁজছে কিন্তু, মুশকিল হল,  তারা তাদের দেব-দেবীদের দেয়া মৌলিক শিক্ষাটাকে কক্ষনোই আত্মস্থ করেনি। তাই শক্তির উপাসনা ছাড়াই ভক্তির উপাসনা করতে শুরু করেছে। হিন্দুদের তেত্রিশ কোটি দেব-দেবীর মধ্যে এমন একজনও দেবতা নেই যার হাতে কোন অস্ত্র নেই অথচ তাদের উপাসকরা কত অনায়াসে সেই অস্ত্রকে উপেক্ষা করে দেবতাদের আরাধনা চালিয়ে যেতে লাগলো।

এর পরিণতিতে যা হওয়ার তাই হল। যে জেহাদি আসুরিক শক্তিকে অস্ত্রের দ্বারা অঙ্কুরেই বিনাশ করা দরকার ছিল, তাকে আবার বাড়তে দেওয়া হল। আর আমাদেরকে সেকুলারিজমের স্তোতবাক্য দিয়ে ভুলিয়ে রাখা হল। কিন্তু তা যে ছিল নিছকই আত্মপ্রবঞ্চনা, রক্তের মূল্যে তা আমরা বুঝতে পারলাম ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট। এই আত্মপ্রবঞ্চনা আর কতদিন চালাবো ? বাংলার বাকী মাটিটুকু যতদিন না যাবে?  আজ জেলায় জেলায় গ্রাম বাংলায় কান পাতলে হিন্দুর পায়ের নিচে মাটি খসার আওয়াজ আবার শোনা যাচ্ছে। বর্ধমানে খাগড়াগড়ের আওয়াজটা একটু জোর হয়ে গেছে। ওই জেহাদি শক্তিকে শুধু নির্মম শক্তি দিয়েই ধংস করা যাবে - এই শিক্ষা দিতেই  মা কালির এই উগ্র রণচন্ডি রূপ। মা কালির সেই রূপেরই সাধনা মায়ের সন্তানদের করতে হবে - শুধু পূজার আসনে বসে নয়, বাস্তব জীবনে।

Monday, December 16, 2019

Mamata's politics over CAB

After going through the activities and statements by Smt. Mamata Banerjee, the Chief Minister of WB, since passing of the Citizenship Amendment Bill (CAB), which is now an Act, by the Parliament, any common person, with a neutral view void of political inclination, is bound to believe that her love for Muslim votes is more than her caring for Hindus, especially, Bengalis.

CAB, a brainchild of the Prime Minister, Narendra Modi, is nothing but a way meant to provide Indian citizenship to six communities, namely, Hindus, Buddhists, Jains, Sikhs, Parsiks & Christians, who face persecution in three neighbouring countries due to their religious identity. Even though the act has nothing to do with the status of Muslim citizens of India, yet Mamata Banerjee has, shamefully, engaged herself in a narrative of discrimination. With her eyes on the Muslim vote bank, she deliberately allowed herself to become a toy in the hands of people with secessionist mentality.

Due to such nauseating political agenda, she allowed jihadists to continue with their rampage all throughout the state unopposed since last Friday right after their prayers in mosques. Public properties worth crore of Rupees were gutted into ashes. Lives of thousands of commuters was put at risk, as jihadists torched vehicles and railway properties, by denying permission to law enforcement agencies to act. And all these were done only to please her Muslim vote bank.

It is evident that she is not happy to see Hindus, especially, migrants getting citizenship of India without any harassment or discrimination. Her opposition to a law, in the list of the Union govt, after prolonged discussions in the both houses of the Parliament following constitutional norms, not only suggests her lack of respect towards our Constitution but also proves how low she can stoop for fulfilling her political ambitions at the cost of the national security.

And today, she has crossed all the limits by taking part in a protest rally against an act passed by the Parliament despite holding a constitutional post. Her instigation to jihadists to continue their protests, is not only stigma for our democracy but also a blot on the choice of Bengalis who elected her as the leader of the state. Her govt's decision to stay preparations and upgradations of the NPR vide a circular number 393- Home (NPR)/O/Cen-02/19 dated 16th December, 2019 is blatant arrogance against the federal structure of India.

She may think that her such actions will compel the Union govt to dismiss her govt and she can play the victim card as martyr but with a paid advisor like Prashant Kishore and a few sycophants beside her, she should have realised that Shri Modi & Shri Shah are not naive to fall into her tactics. They will let to continue full term and thus alienate her from people in general. If Mamata Banerjee believes that she can come back in 2021 riding only on Muslim votes, I feel pity for her political sences.                                 

Sunday, December 15, 2019

Calling a spade, a spade

While jihadists are running free all over WB, its easy to blame Mamata Banerjee administration for acting soft but where are the Hindu organisations who has been thumping their chest for taking credit for success of BJP in the state during Lok Sabha election? What's stopping them to come on road? After Babri Masjid demolition, similar situation was created in Mumbai. Muslims organised namaz on road. Then, Bal Thackeray acted against that by organising Maharati on roads of Mumbai. A brute force can only be countered by similar brute force. Pen alone can't stand agnst sword.

Those, who are waiting for relief to be provided by the administration, have no other option but to live at their mercy. They should wait for admin to react and extend their full cooperation to admin. They can criticise Mamata govt but if they rely only on administration for their security, this is bound to happen.

My stand is clear, Hindus should either wait for relief from govt or force govt to act tough on anarchists by hitting the road. Remember, a pen can mightier than sword only if it has another sword for protection of the ink. There is no other way out.

Saturday, December 14, 2019

ক্যাবের বিরোধ

চাহিবি উতরে বলিবি দখিণে যাইবি পূরব মুখে
গোপন পিরিতি গোপন রাখিবি থাকিবি পরম সুখে।

নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন আনার পরে, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন অংশে যে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে, সেরকম যে হবে, সেটা, আমার ধারণা, কেন্দ্র সরকারের কাছে মোটেই অজানা ছিলনা। বরং যারা এই আন্দোলনকে ক্যাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বলে দাবী করছেন বা প্রচার করছেন, আমি তাঁদের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিচারের ক্ষমতা এবং রাজনৈতিক ধ্যানধারণা নিয়ে সন্দিগ্ধ।

আমি মনে করি যে এই মুসলমানদের এই বিক্ষোভ মোটেই নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে নয়, সেটা একটা উপলক্ষ মাত্র। তাদের এই বিক্ষোভের মূল কারণ হল তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা ও সিদ্ধান্তের ভরকেন্দ্র থেকে তাদের ক্রমাগত দূরে সড়ে যাওয়ার বাস্তবিকতা। মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে, যেভাবে তিন তালাক, ৩৭০ ধারা, ক্যাব নিয়ে একের পর এক দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার ফলে মুসলমানরা উপলব্ধি করতে পারছেন যে ভারতের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার তাদের নির্ণায়ক ক্ষমতা আস্তে আস্তে হ্রাস পাচ্ছে। আর গতকালের বিক্ষোভ, আমার মতে, সেই হতাশারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

ভারতে বসবাসকারী মুসলমানরা খুব ভাল করে জানেন যে ক্যাবের কোন প্রভাব তাদের উপর পড়বেনা কিন্তু তার সাথে তারা এটাও জানেন যে তাদের কৌমের যারা সীমান্ত পেড়িয়ে এসে, রাজনৈতিক দলগুলোর বদান্যতায়, শুধু একটা ভোটের বদলে, খুব সহজেই এদেশের নাগরিকত্ব সহ সমস্ত প্রকার সরকারি সুযোগসুবিধা ভোগ করার অধিকার পেয়ে যেত, সেটা আর সম্ভব হবেনা। মুসলমানদের নিজের কৌমের প্রতি দরদ ও ফরজ হিন্দুদের থেকে অনেক বেশী আর তাই তারা নিজেদের সাথে, তাদের কৌমের অসুবিধার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে পারে।

যদিও স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন যে "আমার কথা বিশ্বাস কর, তখন—কেবল তখনই তুমি প্রকৃত হিন্দুপদবাচ্য, যখন ঐ নামটিতেই তোমার ভিতরে মহাবৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চারিত হইবে; তখন—কেবল তখনই তুমি প্রকৃত হিন্দুপদবাচ্য হইবে, যখন যে-কোন দেশীয়, যে-কোন ভাষাভাষী হিন্দুনামধারী হইলেই অমনি তোমার পরমাত্মীয় বোধ হইবে; তখন—কেবল তখনই তুমি হিন্দুপদবাচ্য, যখন হিন্দুনামধারী যেকোন ব্যক্তির দুঃখকষ্ট তোমার হৃদয় স্পর্শ করিবে আর তুমি নিজ সস্তান বিপদে পড়িলে যেরূপ উদ্বিগ্ন হও, তাহার কষ্টেও সেইরূপ উদ্বিগ্ন হইবে; তখন— কেবল তখনই তুমি হিন্দুপদবাচ্য, যখন তুমি তাহাদের নিকট হইতে সর্বপ্রকার অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করিতে, প্রস্তুত হইবে।"(স্বামীজির বাণী ও রচনা, পঞ্চম খন্ড)। বহু হিন্দুই স্বামীজিকে শ্রদ্ধা করলেও, তাঁর এই কথার মর্মার্থ উপলব্ধি করতে অক্ষম। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তো বটেই, এমনকি অনেকক্ষেত্রে তথাকথিত হিন্দুত্ববাদীরাও নিজেদের ব্যক্তি ও সাংগঠনিক স্বার্থের উপরে উঠে, হিন্দু সমাজের সামগ্রিক লাভের কথা বিবেচনা করতে পারেননা আর তাই যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন হিন্দু শরণার্থীদের জন্যে আশীর্বাদ স্বরূপ, তারা সেটারই বিরুদ্ধে, মুসলমানদের মত, সোচ্চার হয়।

যাই হোক, যেটা বলছিলাম যে গতকাল দ্বিপ্রহরের নামাজের পর শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ, যা আজও অনেক যায়গায় চলছে, সেটা শুধু পূর্বপরিকল্পিত নয়, প্রত্যাশিতও বটে। নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে, বিবিসি-র ভিডিওটা দেখলে বুঝতে পারবেন যে দেশের পরিস্থিতি কিভাবে বদলাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীরা কিভাবে আতঙ্কিত হয়ে ভারত ছাড়ছে। না, এতে আত্মতুষ্টির কোন যায়গা নেই কারণ প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে মাত্র তবে পরিস্থিতি যে বদলাচ্ছে এটা স্পষ্ট। আর সেই ভিডিওতেই দেখতে পাবেন যে সবচেয়ে বেশী অনুপ্রবেশকারী দেশ ছাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার সীমান্ত দিয়ে। হ্যাঁ, মমতা ব্যানার্জী ক্যাব ও NRC নিয়ে যতই সোচ্চার হন, অনুপ্রবেশকারীরা আর তাঁর দেয়া আশ্বাসে সন্তুষ্ট হতে পারছেনা, ভরসা রাখতে পারছেনা কারণ তারা দেখছে যে সিপিএম শাসনে মহারাষ্ট্র থেকে পাঠানো অনুপ্রবেশকারীদের, শাসকদলের এক নেতা উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে পুলিসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেও, মমতার আমলে কর্ণাটক থেকে পাঠানো অনুপ্রবেশকারীদের মালদা সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

তাই বলছি, জলের উপরের ঢেউ দেখে, গভীরতা মাপার চেষ্টা করবেন না। এই পুরো প্রক্রিয়া রূপায়িত হচ্ছে অনেক পরিকল্পনা অনুসারে। যেভাবে প্রেসার কুকারে যাতে বিস্ফোরণ না ঘটে তাই সেফটি ভালব থাকে যেটা অতিরিক্ত বাষ্প  চাপকে মাঝে মাঝে বের করে দেয়, এখানেও সেই একইভাবে চাপ বের করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলবে যার অন্তিম লক্ষ্য হল খাবারকে সুসিদ্ধ করা।

https://youtu.be/jgkATwsClHk

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বাস্তবিকতা

প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভার উদ্যোগে, ভারতের সংসদ দ্বারা, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী, যেটা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নামে বেশী প্রচারিত, পাশ করানোর পরে, বিরোধী দলগুলি এবং মিডিয়ার একাংশ, সম্মিলিতভাবে, জনগণকে, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সাথে NRC কে জড়িয়ে, বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভোট ব্যাঙ্ক রক্ষা করার স্বার্থে তাদের এই অপপ্রচারের ফলে জন্ম নিচ্ছে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং বিঘ্নিত হচ্ছে শান্তির পরিবেশ।

এই অপপ্রচারের ফাঁদে পা দেয়ার আগে আমাদের এটা বোঝা দরকার যে এই সংশোধনী, বর্তমান নাগরিকত্ব আইনে ১) প্রতিবেশী দেশগুলির মানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে একটা গোষ্ঠী হিসাবে দেখা এবং ২) নাগরিকত্ব প্রাপ্তির যোগ্যতা নির্ণয়ের সময়কাল ১১ বছর থেকে কমিয়ে পাঁচ বছর করে দেয়া ছাড়া আর বিশেষ কিছুই পরিবর্তন করা হয়নি। ঘটনা হচ্ছে যে এই সংশোধনী যদি নাও আনা হত, সেক্ষেত্রেও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে অত্যাচারের শিকার শরণার্থীরা এই দেশের নাগরিকত্ব পেত কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের অপেক্ষা করতে হতো ১১ বছর আর তাদের প্রত্যেকটা কেসকে আলাদাভাবে বিচার করা হতো। মানে, সেক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্ভাবনা থেকেই যেত। এই আইন শুধু সেই বৈষম্যের সম্ভাবনাকে নির্মূল করার জন্যে, মানবিক দিক বিচার করেছে মাত্র।

যারা প্রচার করছেন যে এই আইনের ফলে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা ভারতে আসতে প্রলুব্ধ হবে, তাদের মনে রাখা উচিত যে এই বিলের উদ্দেশ্য মোটেই তাদেরকে প্রলুব্ধ করা নয়, বরং যারা চলে আসতে বাধ্য হয়েছে, তাদের নিরাপত্তা দেয়া। আর এই কারণেই ২০১৫ সালের আগে আগত শরণার্থীদের এই বিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যাতে উক্ত সময়সীমার মধ্যে আগত শরণার্থীরা আগামী বছর শুরু থেকেই নাগরিকত্ব প্রাপ্তির অধিকার পেতে পারেন। এই কথা অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই যে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ধর্মীয় নির্যাতন একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া আর সেই কারণে শরণার্থীদের আগমনও একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া কিন্তু যারা ২০১৫ সাল থেকে এদেশে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাদেরও আগের মত একই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তবে তাদের জন্যে একমাত্র সুখবর হল যে সময়কাল ১১ বছর থেকে কমে ৫ বছর হয়েছে।

এটা সবার কাছেই খুব স্পষ্ট থাকা দরকার যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা ক্যাবের সাথে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা NRC-র কোন সম্পর্ক নেই। NRC একটা সম্পূর্ণ আলাদা প্রক্রিয়া যা ভারতের সংসদ ২০০৩ সালে অনুমোদন করেছে। আইনানুসারে NRC হওয়া উচিত রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেনসাস কমিশনারের দ্বারা যদিও আসাম NRC হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতের নজরদারিতে। আসাম NRC ছিল বিচার বিভাগ আর আমলাদের প্রত্যক্ষ ফলাফল অথচ আইনানুসারে সেটা হওয়া উচিত ছিল আইন বিভাগ আর আমলাতন্ত্রের সামঞ্জস্যতা। তাই আসাম NRC-র সাথে জাতীয় NRC-র তুলনা অবান্তর। তবে হ্যাঁ, আসাম NRC তে যে ভুল গুলি হয়েছিল, সেগুলির যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই বিষয়ে অবশ্যই সজাগ থাকা দরকার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

আমি সেই সব হিন্দুত্ববাদীদের প্রতি করুণা প্রকাশ করি যারা অপপ্রচার করছেন যে এই আইন পাশ করে, প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী, হিন্দু শরণার্থীদের মন থেকে তাদের উপর, প্রতিবেশী দেশগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠীর দ্বারা হওয়া অত্যাচার ভুলিয়ে দিলেন এবং তার ফলে সেই দেশগুলোতে জমি উদ্ধারের কাজও ব্যহত হলো। আমার মতে এই ধারণা সম্পূর্ণ বালখিল্যতা কারণ ক্যাবের সাথে জমি উদ্ধারের তিলমাত্র সম্পর্ক নেই, কারণ সেই জমির অধিকার আমরা ১৯৪৭ সালে,  দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশের বিভাজন মেনে নেয়ার সাথেই হারিয়েছি। এই বিল, বরং, সেই দেশগুলোতে, তাদের উপর হওয়া অত্যাচারের স্বীকৃতি। বিদেশী রাষ্ট্রের জমি উদ্ধার, যেমন এই প্রচারকারীরা দাবী করছেন, যদি প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারকেই করতে হয় তাহলে সেটার একমাত্র উপায় হল তিনটে দেশের সাথে যুদ্ধ। এখন প্রশ্ন হল যে এই হিন্দুত্ববাদীরা কি তাদের এই তত্ত্ব সার্থক করার জন্যে প্রধানমন্ত্রীকে যুদ্ধে যেতে পরামর্শ দিচ্ছেন? সেটা বাস্তবোচিত হবে তো? তারা যদি নিজেদের উদ্যোগে সেই জমি উদ্ধার করতে চান, তাহলে, আমি মনে করি, ক্যাব কখনই তাদের পথের কাঁটা হবেনা। কিন্তু নিজেরা সেই উদ্যোগ নেয়ার বদলে, কেন্দ্র সরকারের শরণার্থীদের সাহায্য করার সিদ্ধান্তকে দোষারোপ করার পদ্ধতি বালখিল্য এবং নিন্দাজনক।

ক্যাব অত্যাচারিত শরণার্থীদের দুশ্চিন্তা এবং বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়েছে। এই আইন তাদের স্বীকৃতি দিয়ে, তাদের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার সুযোগ এনে দিয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুন, বাস্তবে এই বিল হিন্দু শরণার্থীদের কাছে, বিশেষত বাঙালী শরণার্থীদের কাছে, দীর্ঘদিনের পরম কাঙ্ক্ষিত উপহার। শরণার্থীদের এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্যে, প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, অমিত শাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Friday, December 13, 2019

Realities of Citizenship Amendment Bill

After passing of the amendments in the Citizenship Act, 1955 popularly known as the Citizenship Amendment Bill (CAB) in the parliament, opposition parties and a section of media are playing a dangerous game of confusing people by deliberately mixing CAB with NRC. This cheap ploy for vote bank politics is not only making false alarms but also creating a situation of hostility & unrest amonst different communities living peacefully otherwise.

Before falling into the trap of such vicious propaganda, one should be informed that the CAB has brought no major changes in the Citizenship Act, 1955 except 1) considering migrants of minority communities in three neighbouring countries, namely Pakistan, Afghanistan & Bangladesh, as a group for consideration of citizenship and 2) decreasing the number of days of stay in the country for being eligible to be considered for citizenship from 11 years to 5 years. Even if these amendments were not made with the above changes, victims of religious persecution from those countries would still get citizenship in India but they would have eligible for consideration after 11 years and their cases would have been treated individually that means there would have been chances of discrimination. The CAB has just nullified those chances making a smooth way for them to obtain citizenship of India taking a humanitarian approach.    

Those, who claim that this bill will be a tool to lure Hindus to come from those countries, should remember that only aim of this bill is to provide immediate relief to those who have already been compelled to come. And that's why the cut off date has been fixed on 31st December, 2014 so that they may become eligible for citizenship after 31st December, 2019. There can be no denial of the fact that migration of persecuted minorities in those three countries is a continuous process, but those, who have been compelled to come since 1st January, 2015, will have to go through the same process as before with only relief of minimised years of stay.

Now, it should be made clear that the CAB has nothing to do with the NRC. NRC is a different process approved by the parliament back in 2003. It is to be conducted by the Register General & Census Commissioner of India unlike Assam NRC which was done by a chosen group of people by the top court under it's supervision. Assam NRC was a combination of Judicial and Executive  while NRC as per rule passed by the parliament will be a combination of Legislative and Executive. Hence, it will be quite irrational to compare Assam NRC with proposed pan-India NRC and get sceptical. But yes, efforts are welcome to make concerned authorities to take note of faults in Assam NRC so that those do not get repeated during national implementation.

I also feel pity for a section of Hindutvadis who are propagating that by passing the CAB, Primer Minister, Narendra Modi has made way for persecuted migrants to forget atrocities on them in neighbouring countries by majority people of those states and thus, scope to recover their lands have been marginalised. Well, for me, this is nothing but immaturity as CAB has nothing to do with their, said, recovery of land. Its just a recognition of atrocities on them for their religious identity and providing refuge to them. Those lands were already conceded back in 1947 after agreeing to the Partition on the basis of the Two Nations theory. Recovering their lands, as being propagated by a section, in foreign countries, can only be done through war if it is to be done by the GoI led by Mr. Modi. Do they really want him to get engaged into a war with all three countries right now to satisfy their ego? Will that be pragmatic? If those people are realy serious for recovery, CAB, I believe, is not stopping them to act towards attaining that. But blaming the Union govt for helping migrants to forget their atrocities by enacting CAB is not only childish but also vindictive.

CAB has helped persecuted migrants a relief from anxiety. It has given them freedom from discrimination. It has recognised them as a persecuted group that can help us to put their cases in different international forums and highlight how minorities are treated in those countries. A big thanks to Narendra Modi & Amit Shah for standing like a rock in the matter of principle.

Monday, December 9, 2019

জেহাদি আগ্রাসন

কথাটা হয়তো অনেকের, বিশেষত হিন্দুত্ববাদীদের, পছন্দ হবেনা কিন্তু আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে ভারতের বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে, ইসলামিক আগ্রাসনের থেকেও বিপজ্জনক হল রাজনৈতিক দলগুলোর তোষণের মানসিকতা। আজ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যে বিভিন্ন ধরনের জেহাদি আগ্রাসন ঘটছে তার জন্যে দায়ী প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা আর সেই নির্লিপ্ততার মূল কারণ হল প্রশাসন নিয়ন্ত্রণকারী ক্ষমতাসীন দলগুলির মানসিকতা।

এই মানসিকতার মূল কারণ হল মুসলমানদের জোটবদ্ধ ভোট যেটা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের, না রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্ব। হিন্দুদের ক্ষেত্রে এরকম কোন ধর্মীয় বা সামাজিক সংগঠন নেই যারা এরকম করে থাকে। নরেন্দ্র মোদী, ২০১৪ সালে সক্ষম আসার আগে, ঠিক এই কারণেই শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর, বাবা রামদেব বা সদগুরুর মত ধর্মীয় নেতৃত্বকে নিজের পক্ষে টেনে এনেছিলেন যাতে তাদের অনুসারী একটা বড় সংখ্যক ভোটারদের সমর্থন সুনিশ্চিত করা যায়।

ভারতে জিহাদিদের আগ্রাসন প্রতিরোধ করার জন্যে আলাদা কোন আইনের প্রয়োজন নেই, বর্তমান আইনই যথেষ্ট সক্ষম যদি সেগুলির যথাযথ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যে অপরাধে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রশাসন, স্বাভাবিক কারণেই, তৎপর হয়ে ওঠে, মুসলমানদের ক্ষেত্রে সেই একই অপরাধের ক্ষেত্রে তারা তৎপর হতে পারেনা। এর একটা কারণ তো ক্ষমতাসীন দলের তোষণের মানসিকতা কিন্তু আরেকটা কারণ হল প্রশাসনের চিরাচরিত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার মানসিকতা। হ্যাঁ, যে কোন প্রশাসনেরই প্রাথমিক লক্ষ্য হল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে, স্থিতাবস্থা বজায় রাখা আর এটা বাস্তব যে হিন্দুদের পরম শ্রদ্ধেয় শঙ্করাচার্যকে রাত দুপুরে গ্রেপ্তার করলেও হিন্দু সমাজ হিংসাত্মক ভূমিকা নিয়ে সামাজিক স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করেনা অথচ একটা পান্ডববর্জিত গ্রামের কোন মৌলানাকে গ্রেপ্তার করলেও মুসলমানরা চরম অশান্তির সৃষ্টি করে।

উভয় সম্প্রদায়ের মানসিক গঠনের এই পার্থক্যই অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ভূমিকার ভিত্তি গড়ে দেয়। শবরীমালা নিয়ে হিন্দুরা উগ্র রূপ দেখিয়েছে, ভোটে ক্ষমতাসীন দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে আর তারই পরিণতিতে যে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় পালন করতে চরম আগ্রহী ছিল, আজ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই সরকারই উল্টো সুর গাইছে। এই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি সব ক্ষেত্রে ঘটবে যদি হিন্দুরা নিজেদের ভোটের মূল্য উপলব্ধি করে, সেটার বিনিময়ে, ক্ষমতাসীন দলের থেকে নিজেদের নিরাপত্তা ও সম্মানের অধিকার দাবী করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলিকে হিন্দু ভোটের মূল্য দিতে হবে, তাদের সাথে বিমাতৃসুলভ আচরণ বন্ধ করতে হবে, তাদের প্রদেয় করের টাকায়, তাদেরই বঞ্চিত করে, অন্য ধর্মাবলম্বীদের দানখয়রাত বন্ধ করতে হবে, সরকারি চাকরি সহ অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে আর যে দল এগুলি করতে অস্বীকার করবে, তারা হিন্দু ভোট পাবেনা। এই পরিস্থিতি যেদিন হিন্দুরা তৈরী করতে পারবে, সেদিন আর তাদের বঞ্চনার কথা বলে আর সান্ত্বনা দিয়ে কেউ ভোট চাইতে পারবেনা, বঞ্চনার নিরসনে করে ভোট পেতে হবে।

Saturday, December 7, 2019

বিচার

আপনার কাছে দুটো বিকল্প আছে, ১) আইনের শাসন মানা অথবা ২) নৈরাজ্যকে সমর্থন করা। আইনের শাসন মেনে চললে সেটা সময়োপযোগী পরিবর্তন যাতে আসে, সেটা নিশ্চিত করাও আপনার দায়িত্ব আর নৈরাজ্যে বিশ্বাসী হলে, আর কখনও আইনের দোহাই দেবেন না।

ধর্ষণের মত ঘৃণ্য অপরাদের ক্ষেত্রে, ধর্ষণের সময় বা তারপরে কখনও যদি ধর্ষিতা বা তাঁর কোনও আত্মীয় (শুধু রক্তের সম্পর্ক নয়) ধর্ষকের হত্যা করে, তাহলে সেটা সর্বান্তকরণে সমর্থন করবো। সেটা যদি কোন পুলিস করেন, তাহলেও সমর্থন করবো যদি তিনি সেই সময় নিজের উর্দিটা খুলে রেখে, সামাজিক দায়িত্ব হিসাবে সেটার পালন করেন। কিন্তু পুলিসের উর্দি গায়ে চাপিয়ে, আইনি রক্ষাকবচ পরে, আইনকে হাতে নেয়ার কোন অধিকার পুলিসের নেই। সেটা নৈরাজ্য।

আর হ্যাঁ, যারা বিচারবিভাগের দীর্ঘসূত্রিতার দোহাই দিয়ে, এনকাউন্টারের সমর্থন করছেন, তাদের মধ্যে কতজন জানেন যে এই দীর্ঘসূত্রিতার অন্যতম প্রধান কারণ কেস গঠন করার জন্যে পুলিসের গড়িমসি? হ্যাঁ, যে পুলিসের এনকাউন্টারকে আপনারা হিরোয়িক ভাবছেন, সেটা বাস্তবে পুলিসের নিস্ক্রিয়তার প্রমাণ। এই পুলিসই তাদের রাজনৈতিক প্রভূদের ইচ্ছা অনুযায়ী কেস সাজান, নিরপরাধকে ফাঁসান আর দোষীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ যোগার করতে পারেননা যাতে তারা ছাড়া পায়।

নৈরাজ্য ও পুলিসরাজ যদি আপনার কাম্য হয়ে থাকে, পুলিসের জারি করা বয়ানই যদি আপনার কাছে বেদবাক্য হয় তাহলে আপনি সেই খুশীতে গদগদ হতেই পারেন কিন্তু সেটা কখনই সভ্য সমাজের প্রতিফলন হবেনা। ন্যায় বিচার যদি সত্যিই চান তাহলে আপনার নির্বাচিত আইনসভার সদস্যকে বাধ্য করুন এমন আইন আনতে যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুলিস তদন্ত শেষ করতে বাধ্য হয়, আদালত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে বাধ্য হয় এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার খতিয়ান যাতে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়। এরকম না হলে, বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কেঁদেই যাবে, সমাজে সেটার প্রতিফলন ঘটবেনা।

Friday, December 6, 2019

প্রহসন

যে হায়দ্রাবাদ পুলিস সময়ে অভিযোগ নেয়না, যে হায়দ্রাবাদ পুলিস দাবী করেছিল যে আক্রান্তা বন্ধুর সাথে পালিয়ে গেছে, যে হায়দ্রাবাদ পুলিস এলাকার বিভাজন দেখিয়ে সময়ে FIR নিতে গড়িমসি করে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, যে হায়দ্রাবাদ পুলিসের 'নেগেটিভ মানসিকতা' নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন অবধি সরব হয়েছেন, যে হায়দ্রাবাদ পুলিস তদন্তের স্বার্থে, জিজ্ঞাসাবাদ ও DNA পরীক্ষার জন্যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের পুলিস হেফাজত পর্যন্ত চায়না, অভিযুক্তদের জেল হেফাজত হয়ে যায়, তারা হটাৎ কোন মন্ত্রবলে এত ভাল হয়ে গেল যে 'ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি' দিয়ে দিল?

৩০শে নভেম্বর রাতে, অভিযুক্তদের নিয়ে, ক্রাইম স্পটে ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার পরেও তাদের কেন আবার স্পটে নিয়ে যাওয়া হলো? এরকম সংবেদনশীল একটা কেসে কেন যথেষ্ট সংখ্যায় পুলিস আর নিরাপত্তার উপযুক্ত বেস্টনী রাখা হলনা যে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারলো? জেল আধিকারিক, আদালতের নির্দেশ ছাড়া, কোন অধিকারে অভিযুক্তদের জেলের বাইরে যেতে দিলেন?

এরকম অনেক প্রশ্নের উত্তর আর কোনওদিনই পাওয়া যাবেনা আর উত্তর যাতে দিতে না হয় সেই কারণেই হয়তো শেষ করে দেয়া হলো অভিযুক্তদের। এবার এই ঘটনার কথা ভুলতে আমাদের আর বেশী সময় লাগবেনা।


Hyderabad Encounter

Sorry, I don't buy that Hyderabad City Police killed rape accused in Encounter. There is more than what meet the eyes. 3 police officials have already been suspended for delay in lodging FIR & any wrong step in future would have further embarrassed them. Killing them was easy choice. I called Sadhnagar police station last night & got the FIR No. 7948/19 dt. 28/11. The funny part is that the charred body was recovered on 29/11 while police claimed to have a FIR on 28/11. Had that been on the basis of missing report, it would have been a General Diary, Not FIR which was not available in online FIR tracking system of Telengana Police. I tried to talk to Mr. Sreedhar (IC) by calling him several times but he didn’t pick up his mobile. Till now, we have been fed only what police police said or claimed without any cross verification. What IF they arrested innocents to save real accused? What IF they killed them to avoid questions on their investigation? Things look fishy to me.

হায়দ্রাবাদ এনকাউন্টার


মাফ করবেন, হায়দ্রাবাদ কান্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে আমি পুলকিত হতে পারছিনা। আমার বিশ্বাস, আমাদের ততটাই দেখানো হচ্ছে যতটা আমরা দেখতে চাইছি। গতকাল রাতেই আমি সাইবারাবাদ পুলিসের অধীন সাধনগর থানায় ফোন করে, FIR-এর বিষয়ে জানতে চাইলে আমাকে বলা হয় যে ২৮শে নভেম্বর তারিখেই FIR হয়েছে এবং নম্বর হল ৭৯৪৮/১৯। মজার ব্যাপার হল যে পুলিস আক্রান্তার পোড়া দেহ উদ্ধার করে ২৯শে নভেম্বর অথচ তাদের দাবী যে তারা ২৮ তারিখেই নাকি FIR নিয়ে নিয়েছেন। এটা যদি নিখোঁজ সংক্রান্ত বিষয়ে হয়ে থাকে, তাহলে তো জেনারেল ডাইরি হবে, FIR কেন? এই বিষয়ে তেলেঙ্গানা পুলিসের অনলাইন সাইটে কোন তথ্য না পেয়ে, আমি থানার ইনচার্জ, শ্রীধর বাবুকে বেশ কয়েকবার ফোন করি, কিন্তু তিনি ফোন ধরেন না। এই ঘটনায়, এখনও অবধি আমরা ততটাই জেনেছি যতটা পুলিস আমাদের জানিয়েছেন। একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে, এই ঘটনায় দেরীতে FIR দায়ের করার জন্যে, তিন জন পুলিস ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হল যে FIR যদি ২৮ তারিখেই হয়ে থাকে তাহলে তিন জন সাসপেন্ড হলেন কেন? এনকাউন্টার কোন সমাধান নয় আর হায়দ্রাবাদ পুলিসও যম পুত্র যুধিষ্ঠির নয় যে তারা যা বলবেন, সেটাই সত্য। নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টায়, তাঁরা যদি ভুল লোকদের গ্রেপ্তার করে তাহলে কি? নিজেদের তদন্তের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন এড়াতে, তাঁরা যদি এভাবে হত্যার পরিকল্পনা করে থাকে, তাহলে কি? মাফ করবেন, আমি এতে পুলকিত হতে পারছিনা।

Thursday, December 5, 2019

জিঘাংসা

জিঘাংসা

নয়ন ভরা জল গো তোমার আঁচল ভরা ফুল
এই ছবিতে বন্দী থাকার করিসনা আর ভুল।
ফুলগুলো তোর নেবে কেড়ে, দাম পাবেনা জল,
নরম মন তোর দেবে পিষে ভরবে হলাহল।
লোকলজ্জার দোহাই দিয়ে রাখবে তোকেই আগলে,
ধর্ষকদের নেই কোন লাজ কাগজে ছবি ছাপলে।
নারী মানেই যাদের কাছে স্তন আর যোণীময়,
তোর মন আর আবেগের যে নেই কোন পরিচয়।
জাগা হিংসা তাদের প্রতি নিজের মনে তোর,
শেষ কর তাকে যে তোর দিকে দিয়েছে বিষ নজর।
সত্যবতীর সত্ত্বা উঠুক তোর ভিতরে জেগে,
নগ্ন দেহে মা কালী রূপ উঠুক আবার রেগে।

ধর্ষণের ধর্ম

হিন্দুত্ববাদীরা হায়দ্রাবাদ বা মালদহ নিয়ে যতটা সরব, উন্নাও নিয়ে ততটাই নীরব। কারণ, হায়দ্রাবাদের ধর্ষক ও খুনীরা মুসলমান আর মালদহের ঘটনার জন্যে মমতার বাপান্ত করা সহজ কিন্তু উন্নাওয়ের ক্ষেত্রে তাদের সমস্যা হল যে অভিযুক্তও হিন্দু আর সরকারও বিজেপির। উল্টোদিকে, বিজেপির এক বিধায়কের ধর্ষণ কান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে, সেকুলাররা উন্নাও কান্ডে ধর্ষকের পরিচয় নিয়ে সোচ্চার হলেও, হায়দ্রাবাদের ঘটনায় যেহেতু তাদের অবৈধ বাপদের গুষ্টি জড়িত তাই সেখানে তারা পরিচয় খুঁজতে যায়না।

হ্যাঁ, হায়দ্রাবাদের ঘটনায় অভিযুক্তরা মুসলিম এটা সত্য। মূল অভিযুক্ত, মহঃ পাশা, সাবালক বলে তার নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এবং বাকিরা নাবালক বলে তাদের আসল নাম প্রকাশ করা হয়নি। তেমনই সত্য হল উন্নাওয়ের ঘটনায় আক্রান্তাকে ধর্ষণ ও একাধিকবার হত্যা করার চেষ্টায় যুক্ত অভিযুক্তরা হিন্দু। আক্রান্তাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে ধৃত ব্যক্তিদের নাম হল হরিশঙ্কর ত্রিবেদী, রাম কিশোর ত্রিবেদী, উমেশ বাজপেয়ী, শিবম ও শুভম ত্রিবেদী। সাথে এটাও সত্য যে কিছুদিন আগেই উন্নাও আক্রান্তাকে পথ দুর্ঘটনার মাধ্যমে হত্যার চেষ্টার পরেও, সিবিআই অভিযুক্তদের সম্পূর্ণ ক্লীনচিট দিয়েছে।

এরইমধ্যে আরেকটা সত্য হল যে দিল্লীর কুখ্যাত নির্ভয়া কান্ডের পর, মহিলাদের নিরাপত্তার জন্যে যে নির্ভয়া ফান্ড গঠিত হয়, তার ৯১% টাকাই এখনও খরচ হয়নি। মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, সিকিম আর ত্রিপুরা, তাদের দেয়া ১৮,২৯২ লাখ টাকার মধ্যে একটাকাও খরচ করতে পারেনি। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে দেয়া ১৬৭২ কোটি টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে মাত্র ১৪৭ কোটি টাকা। যে হায়দ্রাবাদে, এক ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যা হয়েছে, সেই তেলেঙ্গানা রাজ্যে ফান্ড ব্যবহারের হার মাত্র ৪%। প্রাপ্ত ১০৩ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৪.১৯ কোটি টাকাই খরচ করতে পেরেছে তারা। আর যে দিল্লীতে নির্ভয়া কান্ড ঘটেছিল, সেখানে খরচের হার মাত্র ৫%। তেলেঙ্গানাকে One Stop Centres (OCS) স্থাপন করার জন্যে দেয়া ১৩.৯৬ কোটি টাকার মধ্যে তারা খরচ করেছে মাত্র ১.৩৮ কোটি।

নির্ভয়া কান্ডের পর আইন বদলে আর ফান্ড বানানোতে যারা ভেবেছিলাম যে এরকম আর হবেনা, হায়দ্রাবাদ, উন্নাও আর মালদহ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে আমরা কত ভুল ছিলাম। এরপরেও যদি আমরা ধর্ষকের পরিচয় নিয়ে, শাসকের রঙ দেখে নিজেদের প্রতিবাদের ভাষা বাছাই করি তাহলে আমাদের পরিচিতার সাথেও এরকম ঘটনা ঘটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কি সংবিধান বিরোধী?

প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে মুসলমানদের বাদ দিয়ে, শুধু হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসিক আর খ্রিস্টানদের অন্তর্ভুক্ত করা যাদের কাছে সংবিধানের ১৪ নং ধারা অর্থাৎ আইনের চোখে সমতার বিরোধী বলে মনে হচ্ছে, তাদেরকে অনুরোধ যে একবার যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও আনোয়ার আলি সরকার মামলায় (AIR 1952, SC 75) চোখ বুলিয়ে নিন।

উক্ত মামলার রায় দান করতে গিয়ে, কলকাতা হাই কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি, জাস্টিস হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ঘোষণা করেন যে কোন এক বিশেষ শ্রেণীর জন্যে, বিশেষ আইন কখনই সংবিধানের ১৪ নং ধারার বিরোধী নয়। এমনকি সেই শ্রেণী যদি মাত্র একজনের হয়, তাহলেও সেটা অবৈধ নয়। আইনটি সংবিধানের মূল ভাবনার বিরোধী কিনা সেটা বিচারের মাপদন্ড হচ্ছে আইনটির গঠন ১) Reasonable, ২) Natural এবং ৩) Substantial কিনা সেটা দেখা।

১৪ নং ধারার লক্ষ্য হল undue favour এবং hostile discrimination প্রতিরোধ করা আর সেটাই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এই কারণেই, ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত ভারতবর্ষের খন্ডিত অংশে, সেখানকার সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হলে, তাদের সেই পরিবেশ থেকে মুক্তি দেয়ার মানবিক উপায় হল আসন্ন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।

https://indiankanoon.org/doc/1156606/





Sunday, December 1, 2019

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে পৃথক রাখার পরিণতি

সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (CAB) আওতা থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে বাদ দিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তারমানে, এই সাতটি রাজ্যে বসবাসকারী কোন হিন্দু শরণার্থীই, প্রস্তাবিত নতুন আইন অনুসারে, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। পাকিস্তান থেকে আগত শরণার্থীরা দিল্লী, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ বিভিন্ন রাজ্যে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হলেও, বঞ্চিত হবে কেবল বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীরা, মানে বাঙালীরা। তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল হবে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন বাকি রাজ্যগুলিতে বাঙালীরা অপাংতেয় - persona non grata।

২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে, আসামের বরাক উপত্যকায় নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশ থেকে আগত সব শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে তাঁর সরকার। ক্ষমতায় আসলেও, পাঁচ বছরের কার্যকালে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেননি মোদী সরকার। আজ দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত হওয়ার পর যখন সেই প্রতিশ্রুতি রূপায়ণের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, তখন সেই আসামকেই বিলের আওতা থেকে বাদ দিতে চলেছেন মোদী সরকার। এটা শুধু এক দেশ, এক আইন তত্ত্বের বিরোধী নয়, একইসাথে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চাপের সামনে নতজানু হওয়া নির্লজ্জ তোষণ।

এই তোষণেরই আরেকটা পরিণতি হল ILP মানে ইনার লাইন পারমিট। ১৮৭৩ সালের Bengal Eastern Frontier Regulation (BEFR) এর দোহাই দিয়ে, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে চালু হতে চলেছে ILP। সেই রাজ্যগুলিতে প্রবেশ করার জন্যে নিতে হবে পারমিট। পারমিট দুই প্রকার - ১) ১৫ দিনের জন্যে, যা ১৫ দিন পরে এক বার রিনিউ করা যাবে এবং ২) ৬ মাসের জন্যে যা দুই বার একই সময়সীমার জন্যে রিনিউ করা যাবে। তবে ৬ মাসের পারমিট পেতে হলে স্থানীয় কোন বাসিন্দার অনুমোদন লাগবে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পরে, সেখানে জমি কিনতে চাওয়া ব্যক্তিরা এই বিষয়ে কি বলেন, সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

এই BEFR মানার অর্থ হল যে এই তিনটে রাজ্যে ১৮৭৩ সালের আগের লিগ্যাসি ছাড়া, স্থানীয় উপজাতি বিহীন, আর কেউ থাকতে পারবেনা। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশে উপজাতি নয় এমন জনসংখ্যা যথাক্রমে ৬১,০৯১, ২,৬৭,৫২৯ এবং ৪,৩১,৯০৬ জন। এখন এই রাজ্যগুলির দাবী মেনে কেন্দ্র সরকার যদি BEFR বলবৎ করার সম্মতি দেন তাহলে এই বিপুল জনসংখ্যা নিজ নিজ রাজ্যে 'বিদেশী' বলে বিবেচিত হবে আর তাদের অনিবার্য গন্তব্য হবে আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর ও মেঘালয়। মিজোরামের প্রায় ৩৫,০০০ জন রিয়াং বা ব্রুস ১৯৯৭ সাল থেকে ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে কারণ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মিজোরা তাদের মিজোরামের বাসিন্দা বলে স্বীকার করেনা।

আগামীদিনে, এই একই পরিণতি হতে চলেছে ঐ রাজ্যগুলির বিশাল জনসংখ্যার। নির্বাচনী গণিতের হিসাবে, ঐ তিন রাজ্যের দাবী যদি সরকার মেনে নেয় আর ঐ তিন রাজ্যের উদ্বাস্তু জনসংখ্যাকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাকি চারটে রাজ্যে পুনর্বাসন দেয়ার খাতিরে, CAB থেকে সেই রাজ্যগুলিকে পৃথক রেখে বাঙালী শরণার্থীদের সাথে বঞ্চনা করে, তাহলে সেটা হবে বিশ্বাসঘাতকতার সমতূল্য। পাকিস্তানে অত্যাচারিত হিন্দু শরণার্থীরা সহজে ভারতের নাগরিকত্ব পাবে আর বাংলাদেশে অত্যাচারিত হিন্দুরা, কেবল তাদের বাঙালী পরিচয়ের জন্যে, সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে - এটা ধর্ম নয়। মোদী সরকার যদি নির্বাচনী লাভের জন্যে এই অধার্মিক কাজ করেন, তাহলে ভবিষ্যৎ তাঁকে কখনও ক্ষমা করবেনা।

https://nenow.in/north-east-news/no-cab-in-northeast-amit-shah.html

https://eisamay.indiatimes.com/nation/amit-shah-indicates-that-assamese-language-will-be-states-language-of-assam/articleshow/72317898.cms

http://eastwindjournal.com/2019/11/30/citizenship-amendment-bill/