কথাটা হয়তো অনেকের, বিশেষত হিন্দুত্ববাদীদের, পছন্দ হবেনা কিন্তু আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে ভারতের বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে, ইসলামিক আগ্রাসনের থেকেও বিপজ্জনক হল রাজনৈতিক দলগুলোর তোষণের মানসিকতা। আজ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যে বিভিন্ন ধরনের জেহাদি আগ্রাসন ঘটছে তার জন্যে দায়ী প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা আর সেই নির্লিপ্ততার মূল কারণ হল প্রশাসন নিয়ন্ত্রণকারী ক্ষমতাসীন দলগুলির মানসিকতা।
এই মানসিকতার মূল কারণ হল মুসলমানদের জোটবদ্ধ ভোট যেটা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের, না রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্ব। হিন্দুদের ক্ষেত্রে এরকম কোন ধর্মীয় বা সামাজিক সংগঠন নেই যারা এরকম করে থাকে। নরেন্দ্র মোদী, ২০১৪ সালে সক্ষম আসার আগে, ঠিক এই কারণেই শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর, বাবা রামদেব বা সদগুরুর মত ধর্মীয় নেতৃত্বকে নিজের পক্ষে টেনে এনেছিলেন যাতে তাদের অনুসারী একটা বড় সংখ্যক ভোটারদের সমর্থন সুনিশ্চিত করা যায়।
ভারতে জিহাদিদের আগ্রাসন প্রতিরোধ করার জন্যে আলাদা কোন আইনের প্রয়োজন নেই, বর্তমান আইনই যথেষ্ট সক্ষম যদি সেগুলির যথাযথ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যে অপরাধে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রশাসন, স্বাভাবিক কারণেই, তৎপর হয়ে ওঠে, মুসলমানদের ক্ষেত্রে সেই একই অপরাধের ক্ষেত্রে তারা তৎপর হতে পারেনা। এর একটা কারণ তো ক্ষমতাসীন দলের তোষণের মানসিকতা কিন্তু আরেকটা কারণ হল প্রশাসনের চিরাচরিত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার মানসিকতা। হ্যাঁ, যে কোন প্রশাসনেরই প্রাথমিক লক্ষ্য হল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে, স্থিতাবস্থা বজায় রাখা আর এটা বাস্তব যে হিন্দুদের পরম শ্রদ্ধেয় শঙ্করাচার্যকে রাত দুপুরে গ্রেপ্তার করলেও হিন্দু সমাজ হিংসাত্মক ভূমিকা নিয়ে সামাজিক স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করেনা অথচ একটা পান্ডববর্জিত গ্রামের কোন মৌলানাকে গ্রেপ্তার করলেও মুসলমানরা চরম অশান্তির সৃষ্টি করে।
উভয় সম্প্রদায়ের মানসিক গঠনের এই পার্থক্যই অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ভূমিকার ভিত্তি গড়ে দেয়। শবরীমালা নিয়ে হিন্দুরা উগ্র রূপ দেখিয়েছে, ভোটে ক্ষমতাসীন দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে আর তারই পরিণতিতে যে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় পালন করতে চরম আগ্রহী ছিল, আজ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই সরকারই উল্টো সুর গাইছে। এই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি সব ক্ষেত্রে ঘটবে যদি হিন্দুরা নিজেদের ভোটের মূল্য উপলব্ধি করে, সেটার বিনিময়ে, ক্ষমতাসীন দলের থেকে নিজেদের নিরাপত্তা ও সম্মানের অধিকার দাবী করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলিকে হিন্দু ভোটের মূল্য দিতে হবে, তাদের সাথে বিমাতৃসুলভ আচরণ বন্ধ করতে হবে, তাদের প্রদেয় করের টাকায়, তাদেরই বঞ্চিত করে, অন্য ধর্মাবলম্বীদের দানখয়রাত বন্ধ করতে হবে, সরকারি চাকরি সহ অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে আর যে দল এগুলি করতে অস্বীকার করবে, তারা হিন্দু ভোট পাবেনা। এই পরিস্থিতি যেদিন হিন্দুরা তৈরী করতে পারবে, সেদিন আর তাদের বঞ্চনার কথা বলে আর সান্ত্বনা দিয়ে কেউ ভোট চাইতে পারবেনা, বঞ্চনার নিরসনে করে ভোট পেতে হবে।
এই মানসিকতার মূল কারণ হল মুসলমানদের জোটবদ্ধ ভোট যেটা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের, না রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্ব। হিন্দুদের ক্ষেত্রে এরকম কোন ধর্মীয় বা সামাজিক সংগঠন নেই যারা এরকম করে থাকে। নরেন্দ্র মোদী, ২০১৪ সালে সক্ষম আসার আগে, ঠিক এই কারণেই শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর, বাবা রামদেব বা সদগুরুর মত ধর্মীয় নেতৃত্বকে নিজের পক্ষে টেনে এনেছিলেন যাতে তাদের অনুসারী একটা বড় সংখ্যক ভোটারদের সমর্থন সুনিশ্চিত করা যায়।
ভারতে জিহাদিদের আগ্রাসন প্রতিরোধ করার জন্যে আলাদা কোন আইনের প্রয়োজন নেই, বর্তমান আইনই যথেষ্ট সক্ষম যদি সেগুলির যথাযথ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যে অপরাধে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রশাসন, স্বাভাবিক কারণেই, তৎপর হয়ে ওঠে, মুসলমানদের ক্ষেত্রে সেই একই অপরাধের ক্ষেত্রে তারা তৎপর হতে পারেনা। এর একটা কারণ তো ক্ষমতাসীন দলের তোষণের মানসিকতা কিন্তু আরেকটা কারণ হল প্রশাসনের চিরাচরিত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার মানসিকতা। হ্যাঁ, যে কোন প্রশাসনেরই প্রাথমিক লক্ষ্য হল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে, স্থিতাবস্থা বজায় রাখা আর এটা বাস্তব যে হিন্দুদের পরম শ্রদ্ধেয় শঙ্করাচার্যকে রাত দুপুরে গ্রেপ্তার করলেও হিন্দু সমাজ হিংসাত্মক ভূমিকা নিয়ে সামাজিক স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করেনা অথচ একটা পান্ডববর্জিত গ্রামের কোন মৌলানাকে গ্রেপ্তার করলেও মুসলমানরা চরম অশান্তির সৃষ্টি করে।
উভয় সম্প্রদায়ের মানসিক গঠনের এই পার্থক্যই অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ভূমিকার ভিত্তি গড়ে দেয়। শবরীমালা নিয়ে হিন্দুরা উগ্র রূপ দেখিয়েছে, ভোটে ক্ষমতাসীন দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে আর তারই পরিণতিতে যে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় পালন করতে চরম আগ্রহী ছিল, আজ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই সরকারই উল্টো সুর গাইছে। এই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি সব ক্ষেত্রে ঘটবে যদি হিন্দুরা নিজেদের ভোটের মূল্য উপলব্ধি করে, সেটার বিনিময়ে, ক্ষমতাসীন দলের থেকে নিজেদের নিরাপত্তা ও সম্মানের অধিকার দাবী করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলিকে হিন্দু ভোটের মূল্য দিতে হবে, তাদের সাথে বিমাতৃসুলভ আচরণ বন্ধ করতে হবে, তাদের প্রদেয় করের টাকায়, তাদেরই বঞ্চিত করে, অন্য ধর্মাবলম্বীদের দানখয়রাত বন্ধ করতে হবে, সরকারি চাকরি সহ অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে আর যে দল এগুলি করতে অস্বীকার করবে, তারা হিন্দু ভোট পাবেনা। এই পরিস্থিতি যেদিন হিন্দুরা তৈরী করতে পারবে, সেদিন আর তাদের বঞ্চনার কথা বলে আর সান্ত্বনা দিয়ে কেউ ভোট চাইতে পারবেনা, বঞ্চনার নিরসনে করে ভোট পেতে হবে।
No comments:
Post a Comment