Monday, April 20, 2020

পার্থক্য

লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে রয়েছেন, অত্যাবশকীয় সামগ্রীর অভাবে কোনওমতে দিন কাটাচ্ছেন, তখনই রাজস্থানের কোটা তে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আসার জন্যে উদ্যোগী হয়েছেন উত্তর প্রদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় ও গুজরাটের রাজ্য সরকার। 

রাস্তায় বা বাসস্ট্যান্ডে পড়ে থাকা শ্রমিকদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে, ছাত্রাবাসের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা ছাত্রছাত্রীদের, এই লকডাউনের মধ্যেও, ফিরিয়ে নিয়ে আসার একমাত্র কারণ সেই ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে সরকারি কেষ্টুবিষ্টুদের ঘনিষ্ঠতা। পরিযায়ী শ্রমিকদের সেই অর্থ বা ক্ষমতার জোর নেই, তাই প্রশাসন তাদের ফেরত আনা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। তাদের মূল্য শুধু ভোটের সময়, যখন তাদেরকে পাখিপড়ার মত বুঝানো হয় যে এই সরকার আসলে গরীব মানুষদের স্বার্থরক্ষা করার জন্যেই নিবেদিত। বাস্তবে তাদের মূল্য যে কতটা, সেটা এরকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই স্পষ্ট। 

অর্থ আর ক্ষমতার জোরে, ভিন রাজ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা ছাত্রছাত্রীরা ফেরত আসতে পারবে, ভিনদেশের করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি, চিকিৎসকদের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে জনসাধারণের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারবে, সামাজিক দূরত্বের আদেশ উড়িয়ে দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে করতে পারবে, আর গরীবরা নিজেদের বাঁচার ন্যুনতম অধিকার নিয়ে সোচ্চার হলেই তাদের কপালে জুটবে পুলিশের লাঠি, করানো হবে উঠবোস বা গায়ে ছেটানো হবে কীটনাশক। ধন্য আমার দেশ।

While millions of migrant workers are stranded in different parts of the country running short of essential items, some states are seem to be bothered only about the plight of a few students who are already in the safety of their hostels. It may be due to good rapport of their parents with admin people. Poor workers have neither money nor power to earn such facilities for them.

https://www.ndtv.com/india-news/5-states-to-take-back-students-stranded-in-rajasthans-coaching-hub-kota-amid-lockdown-says-chief-min-2215101

No comments:

Post a Comment