Sunday, September 26, 2021

সম্প্রীতির মূল্য

তেলেঙ্গানা রাজ্যের অষ্টম শ্রেণীর সোশ্যাল সাইন্সের বইয়ের একটা ছবি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গেছে। ছবিটাতে একজন মুসলমান সন্ত্রাসবাদীকে কোরান আর অন্য হাতে রকেট লঞ্চার নিয়ে দেখা যাচ্ছে বলে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো নাকি বিপন্ন। এই বইয়ের প্রকাশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও দরবার করেছে স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের (SIO) সদস্যরা মানে যাদের একহাতে কোরান আর অন্য হাতে কম্পিউটার আছে। SIO-এর সভাপতি, ডঃ ফৈয়াজুদ্দিনের মতে এই ছবি নাকি বিদ্যার্থীদের মনকে দূষিত করবে আর তাদের মধ্যে ইসলামভীতির জন্ম দেবে। এতে নাকি সমাজের সম্প্রীতি, ঐক্য আর সংহতিও বিপন্ন হবে।

সত্যিই তো, একজন মুসলমান সন্ত্রাসবাদী একহাতে কোরান আর অন্য হাতে রকেট লঞ্চার নিতেই পারে, আজাদ ময়দানে অমর জওয়ান জ্যোতি স্তম্ভে লাথি মারতেই পারে, ইয়াকুব মেমনের জানাজায় লক্ষাধিক মুসলিম শোক পালন করতেই পারে, আফজাল গুরুর ফাঁসির জন্যে লজ্জাবোধ করতেই পারে, আল্লাহ-হু-আকবর বলে ভীড়ের মধ্যে বাস চালিয়ে দিতেই পারে, স্কুলে মিলাদ উল নবী পালিত না হলে সরস্বতী পূজা হতে না দেয়ার দাবী করতেই পারে, গ্বাজা-এ-হিন্দের স্বপ্ন দেখতেই পারে কিন্তু তাই বলে বালক বিদ্যার্থীদের মনে ইসলামভীতি তৈরী করা কখনই উচিত নয় আর সেই জন্যেই তো জ্যোতি বসুর সরকার একদম সার্কুলার জারি করে বলে দিয়েছিল যে ইসলামিক শাসকদের দ্বারা মন্দির ভাঙার কোন তথ্য ইতিহাস বইতে দেয়া যাবেনা।

এই মূর্খ প্রকাশক যে ভুল করেছে তারজন্যে কাল যদি কেউ তার কল্লা নামিয়ে দেয় তাহলে কিন্তু ভুল বুঝবেন না। সমাজে সম্প্রীতি ও ঐক্য বজায় রাখার জন্যে এই দায়িত্ব তো কাউকে নিতেই হবে, তাই না?


https://www.news18.com/news/india/telangana-govt-urged-to-delete-islamophobic-content-showing-terrorist-with-quran-from-school-textbook-4247354.html