Monday, January 26, 2015

A Thought

“To save the Sun (which might, one feels, very safely be left to look after itself) a million of Hindus will assemble on the banks of the Ganges. How many, I wonder, would assemble to save India?” – This observation was made by famous English novelist, essayist, critic, and poet, Aldous Huxley in Benares describing what he witnessed during one eclipse when millions of Hindus took holy dip in the river Ganges as part of their rituals.

I think, if my growing age has not made any substantial impact on my memory, I read this piece of composition while I was studying in Higher Secondary. Being born and brought up in a conventional Hindu family and nurtured with RSS ideology of Hindutva from very childhood, I could not be agree with this skepticism from one white colour person and had a heated discussion with the teacher who happened to be alumni of Oxford. Now, with the emergence of each grey hair, I can realize the authenticity of the observation made by Mr. Huxley.

If we carefully look around our surroundings, we can hardly see the existence of our Hindu identity except some rituals. And we, Bangali Hindus, have got so much carried away with these rituals, we have, somehow, conceived them as our identity. We do worship at home but remain alert if there is any call on our mobile. We go to temples on given days for well being of our families but overlook how the properties of temple are constantly being encroached. We donate to deities in the temple but never raise our voice against taking away of that donation by the concerned governments though we know that the government shall never dare doing such thing for funds deposited at masjid or church. We happily pay pilgrimage tax to government for visiting our holy places but never protest against providing subsidy for Haj.

We are happy to live with this because we have compromised our identity with rituals. Somewhere in our mind, we have conceived that mere performance of rituals is the sole way to Moksha (salvation). We have succumbed ourselves in the sphere of only ‘Me and Mine’ and this notion has led us to selfishness. Once Swami Vivekananda said, “expansion is life and contraction is death”. We have voluntarily chosen the path of contraction and that has resulted in death of our identity. That’s why we have become vulnerable to attacks from different quarters yet we cannot protest against that as we are averse to stand by social causes.

Our religion and religious leaders, too, are responsible for such scenario. The flexibility and generosity are the two benchmarks of Hindu dharma and these two features, which have made it the most dynamic religion ever in the history of mankind, have turned it into the target of other Semitic religions. Roles of the most religious leaders are also not beyond question. With huge number of disciples in front of them, they preach for salvation for individuals. They fail to add that no individual can reach the goal of salvation when society is under threat.

বাঙ্গালী হিন্দুর ভবিষ্যৎ

আমাদের অফিসে বেশ কয়েকটা রোডেশিয়ান কুকুর আছে। তাদের বিরুদ্ধে জারি করা HR-র নিয়মিত ফরমানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মা ষষ্টির কৃপায় তারা প্রতি বছর বেশ বংশবৃদ্ধিও করে চলেছে। অফিসের অনেকেই তাদের (প্রকাশ্যে বা আড়ালে) নিয়মিত খেতেও দেয়। HR যতই circular জারী করুক, তারাও তো কৃষ্ণের জীব। এরকমই একটি কুকুর লাঞ্চটাইমে নিয়মিত আমাদের ডিপার্টমেন্টের সামনে হাজিরা দেয়। তার নাম আমরা রেখেছি হ্যালো। আমাদের ডিপার্টমেন্টের দুজন বন্ধু তো তাকে নিয়মিত খেতেও দেয়।

রোজকারমত আজও আমি খাওয়া শেষ করে বাইরে বসে ধূমপান করছি, বাকিদের খাওয়া তখনও শেষ হয়নি, এমন সময় হ্যালো এসে হাজির। আমাকে বাইরে দেখেই সে তার পতাকা নাড়াতে নাড়াতে গুটি গুটি পায়ে আমার কাছে ঘনিয়ে আসলো। আমি তার মাথায় হাত বোলাতে সে চোখ বুজে আদর খেতে লাগলো। এমনসময় সেই দুই বন্ধুর একজন দরজা খুলে বেরোতেই হ্যালো আমাকে ছেড়ে একছুটে নিজের খাবার জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালো। এরপর, একে একে দুইজনের দেয়া খাবার শেষ করে সে আবার আমার কাছে এসে দাঁড়ালো। বুঝলাম, খিদের মত মূল চাহিদা অপূর্ণ রেখে আদর খেয়ে পেট ভরানো যায়না।


আমরা বলি সকল প্রানীদের মধ্যে মানুষ হল সবচেয়ে উন্নত প্রজাতি কারণ তারা চিন্তাশীল এবং যুক্তিবোধ দ্বারা চালিত। অন্যান্য প্রানীদের মত তারা প্রবৃত্তির অধীন নয়। কিন্তু প্রবৃত্তির নিবৃত্তি না হলে কি সত্যিই চিন্তাশীল হওয়া যায়? রোটি, কাপরা আউর মকান-এর মত মূল সমস্যার সমাধান না হলে মানুষ কি মৌলিক চিন্তার শরিক হতে পারে? বিশ্বের ইতিহাসের ধারা ভাল করে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যেসব জাতি যখন দার্শনিক চিন্তাভাবনার তুঙ্গে উঠেছে তারা তার পূর্বেই আর্থিক সমৃদ্ধিরও শীর্ষস্থান দখল করেছে। ঠাকুর যথার্তই বলেছিলেন, “খালি পেটে ধর্ম হয়না”।

ধান ভাঙতে গিয়ে শিবের গীতটা কি একটু বেশীই গেয়ে ফেললাম? নিজের ‘হিন্দুত্ববাদী’ পরিচয়টা সম্পর্ক্যে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল থেকেও আজ মনে প্রশ্ন জাগছে, হিন্দুত্ব, নিঃসন্দেহে, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম কিন্তু হিন্দু ছাড়া এই ধর্মের অস্তিত্ব আছে কি? আজকের দিনে অতিবড় হিন্দুত্ববাদীও কি হিন্দুশুণ্য স্থানে হিন্দুত্বের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারেন? তাই, মহান এই হিন্দুত্বকে সযত্নে লালন করার জন্যে কি হিন্দুদের অস্তিত্ব বজায় রাখাও অনুরূপ প্রয়োজন নয়? আর হিন্দুদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্যে কি তাদের মূল চাহিদাগুলির পরিপূরণ একান্তই দরকারি নয়?

কিন্তু কই, আজকের দিনে আমাদের এই রাজ্যে, হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে ব্যগ্র ব্যক্তি বা সংগঠনগুলির মধ্যে তো হিন্দুদের এই ন্যুনতম চাহিদাপূরণের জন্যে অনুরূপ আকুতি দেখিনা। একমাত্র ব্যাতিক্রম অবশ্যই হিন্দু সংহতি। কিন্তু বাকিরা এই বিষয়ে নিরাসক্ত কেন? পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে গ্রামে হিন্দুরা যখন জিহাদি আক্রমণের ফলে নিজেদের বাড়ি, জমি, পুকুরের দখল হারাচ্ছে, তাদের ঘরের মেয়েদের সম্মান খোয়াচ্ছে, কই তখন তো হিন্দু সংহতি ছাড়া আর কেউ গিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছেনা। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই লড়তে ব্যস্ত হিন্দুদের কাছে প্রাথমিক প্রয়োজন কোনটা, এই লড়াইয়ে জয়লাভ নাকি হিন্দুত্বের তাত্বিক বুলি?

অবশ্য কেউ বলতেই পারেন যে প্রত্যেককে নিজের লড়াই নিজেকেই লড়তে হয়। স্বয়ং প্রভুপুত্র বলে গিয়েছেন যে One has to bear one’s own cross কিন্তু সেক্ষেত্রে মনে প্রশ্ন জাগে যে তাহলে সংগঠনের কি দরকার? প্রতিটা গ্রামের হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষা করার দায় যদি শুধু তাদেরই হয় তাহলে রাজ্য বা দেশব্যাপী সংগঠন থাকার প্রয়োজনটা কি? তাছাড়া স্বয়ং প্রভুপুত্রকেও তো তার কথার জবাবও সেন্ট ভেরোনিকা তৎক্ষণাৎই দিয়েছিলেন, আমি আপনার ক্রসের ভার না বইতে পারি কিন্তু আমার আঁচল দিয়ে আপনার কপালের ঘামটা তো মুছিয়ে দিতে পারি। আজকের দিনে আমাদের রাজ্যে হিন্দু সংহতি ছাড়া আর কোন সংগঠন নেই যারা অন্ততঃ সেন্ট ভেরোনিকার ভুমিকাটাও পালন করতে পারে?

বেবি - পর্যালোচনা

অনেকদিন আগের কথা। বোধহ্দয় নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি। দূরদর্শনের মেট্রো চ্যানেল কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে। প্রতি সোমবার রাত ৯টা থেকে সেই মেট্রো চ্যানেলে প্রচারিত হত একটি সিরিয়াল - রিপোর্টার। নাম ভূমিকায় শেখর সুমন । এক নির্ভীক সাংবাদিকের খবর সংগ্রহ করার জন্যে যেসব বাধাবিপত্তির সম্মুখিন হতে হয়, তাই নিয়েই গল্প। সারা সপ্তাহ অপেক্ষা করে থাকতাম ঐ আধঘণ্টার জন্যে। পরেরদিন স্কুলে গিয়েও বন্ধুদের সাথে চলতো আগেরদিনের এপিসোড নিয়ে আলোচনা। টানটান উত্তেজনায় ঠাসা একটি অসাধারন প্যাকেজ। পরিচালকের নাম নীরজ পান্ডে।

জাম্পকাট টু ২০০৮। গজনী, রব নে বানা দি জোড়ি, ফ্যাসন বা দোস্তানা-র মত মেগাহিটের সময়েও আলাদা করে একটি সিনেমা সবার নজর কেড়ে নিল তার ভিন্ন স্বাদের গল্প ও মেদহীন ছিমছাম পরিবেশনার গুনে - আ ওয়েডনেসডে। নাসিরুদ্দিন শা আর অনুপম খেরের অনস্ক্রিন দ্বৈরথ চুটিয়ে উপভোগ করেছিলেন দর্শকরা। বলিউডকে সাবালক হবার দিকে একধাক্কায় অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল এই সিনেমাটি। কাহিনীকারের নাম নীরজ পান্ডে।

সাল ২০১৪। নির্মল হাস্যরসের একটি সিনেমা আবার সবার মন জয় করে নিল। স্পেশাল ২৬। এই সিনেমাটি শুধু শাহরুখ খানের মেগা ছবি চেন্নাই এক্সপ্রেসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবসাই করেনি, নিজের পৃথক দর্শক লবিও তৈরি করেছে। তার প্রমান imdb তে ৭.৮-এর ঈর্ষনীয় রেটিং। কাহিনীকারের নাম নীরজ পান্ডে।

এই প্রেক্ষিতেই নীরজ পান্ডের নতুন সিনেমা বেবি দেখার জন্যে বাড়তি আগ্রহ ছিল। বলতে কোন দ্বিধা নেই যে সিনেমাটি আমার আগ্রহের প্রতি কোন অন্যায় করেনি। NSA অজিত দোভালের সাথে এই সিনেমার Head of National Security ফিরোজ (ড্যানি) বা নরেন্দ্র মোদীর সাথে এই সিনেমার প্রধানমন্ত্রীর চেহারাগত সাযুজ্জ্যর অতিরঞ্জনটুকু বাদ দিলে, এই সিনেমাটি নিঃসন্দেহে একটি বলিষ্ঠ পরিবেশনা। চিড়িতনকে চিড়িতন বলার মত সাহস সিনেমাটি দেখাতে পেড়েছে। বলিউডে নিঃসন্দেহে এক নতুন ঘরানার জন্ম দিল এই সিনেমাটি। সাথে উপরিপাওনা অনুপম খের, ড্যানি বা কেকে-র অভিনয়। অক্ষয় কুমার এই বয়সেও যথেষ্ট ফিট এবং চরিত্রানুযায়ী সাবলীল। গানের আধিক্য ছাড়াই এই সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট কিন্তু সেই সময় কিভাবে কেটে গেল, বোঝাই যায়না। ধন্যবাদ নীরজ পান্ডে, এরকম একটি সাহসী সিনেমা উপহার দেবার জন্যে।
আমার রেটিং – ৪.৫/৫।