Tuesday, January 16, 2024

হাইকোর্টে অ-ইংরেজি ভাষার ব্যবহার


বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি। হিন্দি বলয়ে যখন আদালতের কাজকর্ম হিন্দি ভাষায় হয়, পশ্চিমবঙ্গে সেটা বাংলায় বা তামিলনাড়ু'তে তামিল ভাষায় হলে সংবিধান অশুদ্ধ হয়ে যাবেনা। আর নেহাতই যদি কোর্ট ল্যাঙ্গুয়েজ সংক্রান্ত ৩৪৮(১)(এ) ধারা বা ২১শে মে, ১৯৬৫ সালের ক্যাবিনেট কমিটির সিদ্ধান্ত যা অনুসারে কোন হাইকোর্টে ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অনুমতি আবশ্যক হওয়া অশুদ্ধ হয়, সেক্ষেত্রে উপযুক্ত সংশোধন অবিলম্বে করা উচিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে তামিলনাড়ু, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিসগড় এবং কর্ণাটক সরকার বছরখানেক আগেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টে যথাক্রমে তামিল, গুজরাটি, বাংলা, হিন্দি ও কন্নড় ভাষা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল যা কেন্দ্র সরকার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয় এবং সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চ সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন যদিও ১৯৫০ সালে সংবিধানের ৩৪৮(২) অনুসারে  রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ (১৯৬৯), মধ্যপ্রদেশ (১৯৭১) বা বিহারের (১৯৭২) ক্ষেত্রে হিন্দি ভাষায় কোর্টের কার্যাবলী পরিচালনের অনুমতি দিতে সুপ্রিম কোর্ট আপত্তি করেনি। ঔপনিবেশিক দাসত্ব থেকে মুক্তির পর্যায় হিসাবে মোদী সরকার IPC, CrPC ও Evidence Act-এর বদলে নতুন আইন প্রনয়ন করছেন। এমতাবস্থায়, হাইকোর্টের কার্যাবলী শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষায় পরিচালনা সেই ঔপনিবেশিক দাসত্বের পরিচায়ক হয়ে থাকবে ঠিক যেমন আরেকটি দাসত্বের পরিচায়ক হলো ভারতের মত গ্রীষ্মপ্রধান দেশে কালো কোট, গাউন ও গলাবন্ধ পরে উকিলদের সওয়াল করা।