Tuesday, March 31, 2020

করোনা

খুসখুসে গলা আর ছ্যাঁকছ্যাঁকে গা দেখে
মন করে দুরুদুরু;
করোনা যে এসে গেছে।
মুখে বেঁধে মাস্ক আর হাতে স্যানিটাইজার মেখে
নিজেকে বাঁচাতে থাকি
করোনা যে এসে গেছে।
নিরিবিলি টাউনে থাকি লকডাউনে
সাথী শুধু ফেসবুক।
করোনা যে এসে গেছে।

দিদি-দাদা বলেছেন একা একা থাকতে
ঘরে ঘরে লোক বসে মোবাইল হাতে তে
কাঁহাতক বসে আর সেল্ফি তোলা যায়
করোনার ভয়েতে??

তবুও তবলিগ চলে জেহাদির খুশীতে
কেউ যে পারেনা তাদের জমায়েত রুখিতে
আমি শুধু শ্বাস ফেলি আর ভাবি নীরবে
করোনায় বাঁচিলেও কি জীবন এ টিঁকিবে!!

Sunday, March 29, 2020

লাশের রাজনীতি

যাবতীয় শ্রমিক কি শুধু দিল্লীতেই আছে? মহারাষ্ট্র, গুজারাট বা তামিলনাড়ুর মত শিল্পবহুল রাজ্যগুলিতে তো এই চিত্র নেই। লকডাউনের সময় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা তৈরী হওয়া স্বাভাবিক কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে, অন্যান্য রাজ্যের মত, এদের জন্যে নিরাপদ আশ্রয়ের বন্দোবস্ত না করে, বাস সার্ভিস চালু করার মাধ্যমে, তাদের বেড়িয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হল দায় ঝেড়ে ফেলার নামান্তর। এই সময়ে, এত বিপুল সংখ্যক লোকের জমায়েত, সারা দেশের জন্যে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এই পরিস্থিতির জন্যে দায়ী কেজরীওয়াল সরকারের অপদার্থতা। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন, দিল্লী পুলিশ শাহিনবাগ তুলে দেয়ার পর, কেজরীওয়াল কে সামনে রেখে, অন্য খেলা চললেও অবাক হবনা। দেশবাসী এবার লাশের রাজনীতির জন্যে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকুন।

Thursday, March 26, 2020

করোনা ত্রাণ

সবাইকে একসাথে সমান খুশী করা যায়না। দু'জন সন্তান থাকলে, স্বয়ং মা যেখানে উভয়কে একইসাথে সমান খুশী করতে পারেনা, একজন ভেবেই নেয় যে সে কম পেল, সেখানে সরকারের পক্ষে, সবাইকে সমানভাবে খুশী করার কথা ভাবা কেবল অবাস্তব নয়, অসম্ভবও। 

মা যেমন সন্তানের প্রয়োজনীয়তা ও উপযোগিতা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেন, সরকারকেও তেমনই প্রায়োরিটি ঠিক করে এগোতে হয়। সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন যার, তার চাহিদার যোগান সবার আগে আর তারপর প্রয়োজন অনুসারে ক্রমবিন্যাস করা হয়। এটাই সরকারি নীতি। এর চেয়ে ভাল কোন নীতি আপনার কাছে থাকলে, আপনি সেটা প্রশাসনকে জানাতেই পারেন কিন্তু একটা নীতি বদলের আগে, বিকল্প নীতি কিছু দিন। নাহলে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরী হয়ে যাবে।

আজ কেন্দ্রীয় সরকার ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন সেটার প্রাথমিক লক্ষ্য হলেন সমাজে আর্থিকভাবে দুর্বলতর শ্রেণীর মানুষ। আমি নিজেও দু'দিন আগে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম এবং সরকার যে বিষয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করে, সেটাতে সাড়া দিয়েছেন, এতে আমি খুশি। তবে প্রথমেই যেটা বললাম, প্রয়োজনীয়তা অনুসারে চাহিদা পূরণের প্রক্রিয়া, সেটা এক্ষেত্রেও বিবেচিত হবে। সমাজের দুর্বলতর শ্রেণীর পরে নজর দেয়া হবে তাদের থেকে আর্থিকভাবে সচ্ছল মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতি।

তাই আজকের এই প্যাকেজে যেসব মধ্যবিত্তরা একটু ক্ষুব্ধ হচ্ছেন (ছোটবেলায় ভাই বা বোন আগে পেলে যেমন হতেন), তাদের বলছি যে একটু ধৈর্য্য ধরুন। আগামীদিনে সরকার আপনাদের জন্যেও, বিশেষত ব্যবসায়ীদের জন্যে, (চাকুরিজীবীদের মাস শেষে বেতন নিশ্চিত কিন্তু ব্যবসায়ীদের আয় সামাজিক পরিকাঠামোর উপর নির্ভর করে) নিশ্চিত কিছু নিয়ে আসবে। সেটা কি, আমি জানিনা তবে সেটা কয়েক মাসের ট্যাক্স হলিডে হতে পারে বা যারা ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন তাদের কয়েকটা কিস্তি মাফ বা কিস্তির সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়া হতে পারে। তাই ছোটবেলার মত, 'ও কেন আগে পেল' বলে ঠোঁট না ফুলিয়ে, 'ওর' পাওয়াতে খুশী হন, কারণ 'ওর' প্রয়োজন বেশী।

Wednesday, March 25, 2020

পুলিশ ও সমাজ

আমরা যখন ঘরে বসে প্রশাসনের হাজারটা খুঁত খুঁজে বের করছি, তখনই এই মহামারী কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে, সমাজে আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রাখার কাজ করে চলেছেন পুলিশ কর্মীরা। এদেরও পরিবার আছে, তারাও আতঙ্কিত হয়। কিন্তু তাদের সেই আকুতিকে হেলায় অবজ্ঞা করে, দিনের পর দিন এই থ্যাঙ্কলেস কাজ করে চলেছেন পুলিশ বাহিনী।

আজকের দু'টো ঘটনার উল্লেখ করি। প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে একজন ভাই তথা বন্ধু জানালো যে কলকাতার একটি হাসপাতালের একজন ডাক্তার, সেখানকার অব্যবস্থা নিয়ে তাকে জানিয়েছেন। সে আগ্রহ করলো যে আমি যেন সেই ডাক্তারের সাথে কথা বলে, সমাধানের চেষ্টা করি। তার কথা শুনে সেই ডাক্তারবাবুকে ফোন করলাম কিন্তু তিনি এরকম কোন পরিস্থিতির কথা সরাসরি অস্বীকার করলেন। এবার দ্বিতীয় ঘটনা - আমারই আগের একটা পোস্টে এক জন ফেসবুক মিত্র জানালেন যে বারাসাত থেকে নাকি কলকাতাগামী সবজি বোঝাই ট্রাক পুলিশ ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। তার কথা শুনেই ঘটনাটা বারাসাতের এসপিকে জানিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করলাম। কিছুক্ষণ পরেই বারাসাতের এসডিপিও ফোন করলেন এবং ঘটনাস্থলের বিশদ বিবরণ চাইলেন। এরপর আমি সেই মিত্রকে ফোন করে, বিশদ বিবরণ চাওয়াতে তিনি জানালেন যে তিনি নাকি শুনেছেন যে গতকাল রাত্রে, কালীবাড়ির কাছে এরকম ঘটনা ঘটেছে। এরকম ছোঁড়া কথার উপর ভিত্তি করে কোন পদক্ষেপ নেয়া যায়না। তাই আমি এসডিপিও কে ফোন করে পুরো ঘটনা জানিয়ে, তাদের বিব্রত করার জন্যে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। যদিও তিনি কালীবাড়ি এলাকায় গতকাল রাতে এরকম ঘটে থাকলে তার নির্দিষ্ট সময় জানতে চাইলেন যাতে ট্র‍্যাক করতে পারেন, কিন্তু আমি আর এই নিয়ে ওনাদের বিব্রত করতে চাইছিলাম না। তাই অভিযোগ ফেরত নিয়ে নিলাম।

তাই সবাইকে অনুরোধ করছি যে এই আপৎকালে, পুলিশকে খালি দোষারোপ না করে, তাদের কাজের চাপটাও একটু উপলব্ধি করুন। হ্যাঁ, কিছু ভুলভাল কাজ তাদের দ্বারাও হয়ে যায়, অনেকসময় অনিচ্ছাকৃতভাবেও হয়ে যায়। কিন্তু সেই দু'একটা ঘটনা দিয়ে, এরকম দুর্যোগের সময়ে, এত বড় বাহিনীর জন্যে সার্টিফিকেট জারি করবেননা, তাদের মনোবল ভেঙে দেবেননা। উর্দির ভিতরে তারাও কিন্তু আমাদের মতই মানুষ। 

Sunday, March 22, 2020

আপৎকালে সমুৎপন্নে

না, শঙ্খ, কাঁসর, ঘন্টা বাজালে বা হাততালি দিলে করোনা প্রতিরোধ হয়না কিন্তু এই দুর্যোগের সময়ে, সারা দেশ যখন একযোগে একই কাজ করে তখন সেটা প্রমাণ করে দেয় দেশবাসীর মধ্যে দেশের প্রতি কতটা একাত্মতা রয়েছে। প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী বা জরুরী পরিসেবার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা আমাদের হাততালির আশায় বা অপেক্ষায় বসে নেই, নিজেদের কর্তব্য পালন করে চলেছেন কিন্তু আমরা যে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা প্রকাশ করার জন্যে আর গোটা সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে সচেতন করার জন্যে, এর চেয়ে ভাল আর কোন উপায় ছিলনা।

আজ সারা দেশজুড়ে যারা শঙ্খনাদ, ঘন্টাধ্বনি বা করতালরব করেছেন তারা সবাই মোটেই বিজেপির সমর্থক নন, বহু অবিজেপি সমর্থকও প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে নিসঙ্কোচে এগিয়ে এসেছেন, এই জনআন্দোলনে সামিল হয়েছেন। আর এটাই কাম্য কারণ রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও, সবার কাছেই জাতীয় স্বার্থ সর্বোপরি। কিছু ক্ষুদ্র মানসিকতার লোক এতেও রাজনীতি খুঁজতে পারেন কিন্তু দেশবাসীরা আজকে যুধিষ্ঠিরের সেই কথাকে, "আপৎকালে সমুৎপন্নে বয়ম পঞ্চাধিক শতম", সত্য করে দেখিয়ে দিয়েছেন। তারা প্রমাণ করে দিয়েছেন রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও দেশের বিপদের সময় আমরা ১৩৫ কোটি ভারতীয় একজোট হয়ে রুখে দাঁড়াতে পারি।

Thursday, March 19, 2020

Legal aid by Aatmadeep



On 17th March, 2020 at around 2200 hours, Aatmadeep was contacted seeking legal aid for a girl in distress. On enquiry, we came to know that the girl had been threatened with abduction, rape & acid attack by Tanveed Hussain and Arshad Khan for her Facebook post dated 1st of March, 2020.

The girl was courageous enough to lodge complaints
against the accused at Jadavpur Police Station; Cyber Police Station at Lalbazar and based on her complaints, 2 accused were said to be immediately arrested by Kolkata Police and kept in custody before they got out on bail on 16th March, 2020.

The girl, reportedly, received a call from the Cyber Police Station in the evening of 17th March and she was asked to make her deposition before the 9th Metropolitan Magistrate at Bankshal Court
on 18th March at 1230 hours. Unaware of the legal complications and procedures, with sick parent, the girl felt somehow clueless regarding her action and contacted us through her a friend in Facebook. On late night of 17th March, we contacted with the girl and assured her legal assistance.

On 18th March, our team from comprising Sh. Krishanu Mitra, Sh. Rajiv K Singh, Sh. Gautam De and Sh. Prasun Maitra reached Lalbazar. Once she came with her ailing mother, she was made aware of her legal rights and then escorted her to the court where she made her deposition.
On return, our team discussed the case with the Md. Nurul Absar, Officer in Charge of the Cyber Police Station and we were assured that police will strictly pursue the case as per law of the land to ensure that the justice is served to the victim.

Tuesday, March 17, 2020

কার্সিয়ঙের অভিজ্ঞতা


ভুটান ভ্রমণ আচমকা বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে, শেষ মূহুর্তে পুরো পরিকল্পনাই ঢেলে সাজাতে হয়। কালিম্পং যেহেতু আগেই দেখা ছিল তাই এবার দার্জিলিঙে তিন রাত আর কার্সিয়ঙে এক রাত কাটানোর পরিকল্পনা করি। হাতে যেহেতু সময় একেবারেই ছিলনা, তাই গাড়িতে ফিরতে ফিরতে হোটেল বুকিং করি। দার্জিলিঙে তিন রাত কাটানোর জন্যে, Goibibo মারফৎ বুক করি হোটেল সেন্ট্রাল হেরিটেজ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা এবং কার্সিয়ঙে এক রাতের জন্যে, Oyo সূত্রে বুক করি হোটেল #মহিপাল_রিজেন্সি
৬ই মার্চ থেকে তিন রাত দার্জিলিঙে কাটানোর পরে, ৯ই মার্চ দার্জিলিঙ থেকে কার্সিয়ঙ পৌছাই বেলা আড়াইটে নাগাদ। হোটেলে চেক-ইন করতে গেলে ম্যানেজার জানান যে ঘর তখনও পরিস্কার হয়নি, অপেক্ষা করতে হবে। কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে জানতে চাওয়াতেই ম্যানেজার হঠাৎই ক্ষেপে ওঠেন এবং বলেন যে Oyo তাদের টাকা ঠিকমত দিচ্ছেনা, তাই তাদের গ্রাহকদের দায় হোটেলের নয়। Oyo যখন তাদের টাকা দিচ্ছেনা, তাহলে তাদের হোটেলের নাম কেন Oyo-র তালিকায় রয়েছে, এই কথা বলতেই ম্যানেজার রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান এবং পরিস্কার বলে দেন যে তিনি আমাকে হোটেলে ঘর দেবেন না, আমি যা পারি করে নিতে পারি।
আমি ছাপোষা মধ্যবিত্ত, সাথে পরিবারও রয়েছে, তাই কিই বা করতে পারি? তাই ম্যানেজারকে সেটাই জানালাম যে, "বেশ, তাহলে তাই করি"। এতে ম্যানেজার তিড়িং করে লাফিয়ে ওঠেন আর বলেন, "কি করবেন, Oyo তে কমপ্লেন করবেন তো? করুন গিয়ে, কিচ্ছু এসে যায়না"। আমি আইন মেনে চলা নাগরিক, তাই ম্যানেজারকে জানালাম যে Oyo তে অবশ্যই করবো তবে তার আগে স্থানীয় থানায় একটা অভিযোগ জানাবো। এই শুনে ম্যানেজারের চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং বলেন যে "পুলিশ? ওহ তো মেরে পাসই হ্যায়"! বলে তিনি কাউকে ডাকতে বলেন এবং ডাক শুনে, উপরের তলা থেকে পুলিশের এক কর্মচারী নেমে আসেন। ভদ্রলোকের মুখ থেকে তখনও মদের গন্ধ যায়নি। বুঝলাম যে দোলের দিনে তিনি এই হোটেলে একটু নিভৃতে আসবাসিক্ত হতে এসেছিলেন।
পুলিশ কর্মচারী এসে প্রথমে জানান যে "এখানে এরকমই নিয়ম। তাই আমাদের অপেক্ষা করা উচিত"। সেটা কতক্ষণ জানতে চাওয়ায় তিনি আর উত্তর দিতে পারেননা তবে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে বলেন। আমি ভদ্রলোকের নাম জানতে চাই কিন্তু তিনি নিজের নাম জানিয়ে উল্টে কেন জানতে চাই সেই প্রতিপ্রশ্ন করেন। আগেই বলেছি যে আমি আইন মেনে চলা নাগরিক, তাই খোদ আইনের প্রতিনিধি (মাতাল হলেও, প্রতিনিধি তো) প্রশ্ন করলে নিরুত্তর থাকাটা শ্রেয় নয়। অতএব জানাতেই হল যে আমি ওনার কার্যকলাপ নিয়ে, উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ অধিকর্তার কাছে অভিযোগ জানাবো।
অধিকর্তার নামটা যেন একটা ম্যাজিক ওয়ার্ড। নাম শুনেই সেই পুলিশ কর্মচারী চুপচাপ নীচে নেমে গেলেন আর ম্যানেজারটিও ফোনে হোটেলের মালিক, জনৈক সুরজ বাবুকে ধরলেন। কয়েক সেকেন্ড পর ম্যানেজার সেই ফোন আমাকে হস্তান্তরিত করলেন এবং ফোনের অপর প্রান্তে সুরজ বাবু ম্যানেজারের এরকম আচরণের জন্যে ক্ষমা চাইলেন এবং সব ভুলে হোটেলে থাকার জন্যে বারবার অনুরোধ করলেন। কিন্তু ঐ হোটেলে থাকার কোন ইচ্ছা আমার আর ছিলনা, তাই সুরজ বাবু ও ম্যানেজার বারবার ক্ষমা চাইলেও, আমি ক্ষমা করতে প্রস্তুত ছিলামনা। হোটেল থেকে বেড়িয়ে Oyo তেও পুরো ঘটনা জানাই এবং টাকা ফেরত দিতে বলি।
হোটেল থেকে বেড়িয়ে, ডাউনহিল ঘুরতে যাই এবং সেখান থেকে নামার পথে, যেখানে ইন্টারনেট কানেকশন পাই, Goibibo দিয়েই #মেরী_বিলাস নামে আরেকটা হোটেল বুক করি। এই নতুন হোটেলটা শহরের একটু বাইরের দিকে এবং মালিক, আদিত্য সাহু, নিপাট ভদ্রলোক। অবশ্য লোক বলাটা হয়তো ঠিক হলনা কারণ ওনার বয়স এখনও মধ্য তিরিশের কোঠায়। এই হোটেলে এসে উত্তরবঙ্গের সেই পুলিশ অধিকর্তাকে ফোন করি এবং তিনি বিষয়টা দার্জিলিঙের জেলা পুলিশের এক অধিকারীকে জানাতে বলেন। অতঃপর জেলা পুলিশের সেই অধিকারীর নম্বর যোগার করে, তাকে সম্পূর্ণ বিষয়টা জানাই। তিনি সব শুনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
পরদিন সকালে একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন ধরে অপর প্রান্তে পাই কার্সিয়ঙ থানার আইসি ভদ্রলোক কে। তিনি ফোন ধরেই, তাঁর এলাকায় এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করেন এবং সব ঘটনা শুনে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ১১ই মার্চ ফেরার প্রতীক্ষায় যখন বাগডোগরা এয়ারপোর্টে বসে আছি, তখন উনি ফোনে জানান যে পুলিশ হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে এসেছে এবং তদন্ত চলছে। সেই পুলিশ কর্মচারীর বিরুদ্ধে তিনি যে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন, সেটাও উনি নিশ্চিত করেন।
যে ঘটনা আমার সাথে হয়েছিল সেটা অন্য কারুর সাথেও হতে পারতো। পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়ে কোন ব্যক্তি যদি এরকম পরিস্থিতিতে পড়েন, তাহলে তাঁর মানসিক স্থিতি কি হবে আন্দাজ করতে পারছেন? আমি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশদের সাথে কথাবার্তা বলায় যে সহজ সম্পর্কটা আছে, যে সুবাদে সেই অধিকারীর নম্বর যোগার করতে পারলাম, সবার তো আর সেটা নেই। তাছাড়া পুলিশি হাঙ্গামা সবাই সচরাচর এড়াতেই চায়। এমতাবস্থায় সেই ব্যক্তির তো জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘ দশা। তাই প্রশাসন যদি ভ্রমনার্থীদের এরকম অসুবিধার কথা মাথায় রেখে বিশেষ সেল বানান, যেখানে পুলিশ থাকলেও নাগরিক পোশাকে থাকুক, যাতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন, তাহলে বোধহয় ভাল হয়। আর যেসব হোটেল ভ্রমনার্থীদের সাথে এরকম রূঢ় আচরণ করছে তাদেরও মাথায় রাখা উচিত যে ভ্রমনার্থীদের জন্যেই তাদের রুজিরোজগার চলছে। তাই পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকাটা খুবই প্রয়োজন।

রাজ্যসভায় গোগোই

ভারতের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরগ্রহণ করার মাত্র চার মাস পরেই, রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে রঞ্জন গোগোইয়ের মনোনয়ন প্রমাণ করে দেয় যে ভারতের বিচার ব্যবস্থা এবং তাদের রায় কতটা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। 

সর্বোচ্চ বিচারালয়ের বিচারপতির সামনে, কোন নির্দিষ্ট কুলিং অফ পিরিয়ড ছাড়াই, যদি অবসর পরবর্তী সময়ে রাজ্যসভা বা কমিশনের টোপ ঝুলিয়ে রাখা যায়, তাহলে তাদের থেকে কাঙ্ক্ষিত রায় পাওয়া খুব একটা অসুবিধার হতে পারেনা।

গোগোই বিচারপতি থাকুন বা আইনসভার সদস্য, নিজের কায়েমি স্বার্থে, আসামের ২৫ লক্ষেরও বেশী বাঙালীর জীবনে NRC নামক অভিশাপ নিয়ে আসার জন্যে, কোনদিন তাঁকে ক্ষমা করতে পারবনা।

তবে গোগোইকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দেয়া মোদীর মাস্টারস্ট্রোক। এতে ১) বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে লোকের মনে প্রশ্ন তোলা গেল, ২) রাম মন্দির রায়ের কৃতিত্ব নেয়া গেল আর ৩) ভবিষ্যতে আরও সদর্থক রায় পাওয়ার রাস্তা খোলা গেল।

Monday, March 16, 2020

বৌবাজার বিস্ফোরণের ইতিহাস

১৬ই মার্চ, ১৯৯৩ সালের মধ্যরাত, বম্বেতে উপর্যুপরি ১১টা বিস্ফোরণের ঠিক পাঁচ দিনে পরে, ঠিক একই ধাঁচের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কলকাতার বৌবাজার। বাবরী মসজিদ ধ্বংসের বদলা নেয়ার প্রস্তুতি হিসাবে, কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর, লালবাজারের নাকের ডগায় গড়ে ওঠা রশিদ খানের অস্ত্রাগারের হদিশ রাখেনি পুলিশ। মার্কিন পুলিশের আগাম হুশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও, দাউদ ইব্রাহিমের ১১ই মার্চ বম্বে আক্রমণ রুখতে ব্যর্থ হয় তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। মহারাষ্ট্রের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী, সুধাকর রাও নায়েকের উপর রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করার স্বার্থে তদানীন্তন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী, শরদ পাওয়ার, সমুদ্র সীমার নিরাপত্তা শিথিল করে, অবাধে প্রবেশ করতে দেন RDX-এর মত বিস্ফোরক। আর সেই বিস্ফোরণের মাত্র পাঁচ দিন পরে, সারা দেশে যখন চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তখনও রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তর, মহাকরণ আর কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর, লালবাজার থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে বসে, অবাধে নিজের কৌমের হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছিল দাউদের অনুচর, রশিদ খান।

হ্যাঁ, রশিদ খান, কলকাতায় আসলে যার আতিথ্য গ্রহণ করতেন ইউসুফ খান ওরফে দিলীপ কুমার থেকে সঞ্জয় দত্ত। সেই রশিদ খান যাকে 'ভাইজান' বলে ডাকতেন সায়রা বানু। সেই রশিদ খান যার দলবলকে নারীমাংস সরবরাহ করার দায়িত্ব ছিল গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির তদানীন্তন সভানেত্রী, শ্যামলী চক্রবর্তীর উপরে। সিপিএম আমলে তার কেশাগ্র স্পর্শ করবে এমন ক্ষমতা কলকাতা পুলিশের ছিলনা। আর কলকাতা পুলিশের তদানীন্তন নগরপাল, তুষার তালুকদার, যেখানে নিজের শয়নকক্ষে লেনিনের ছবি বাঁধিয়ে রাখেন, সেখানে তাঁর নেতৃত্বাধীন পুলিশ যে কতটা নিরপেক্ষ হবে সেটা সহজেই অনুমেয়।

মুহূর্তের অসাবধানতায় ঘটে যাওয়া বৌবাজার বিস্ফোরণে ৬৯ জন মারা গেলেও বেঁচে গিয়েছিলেন রাজ্যের কয়েক'শ মানুষ। সেই মঙ্গলবার যদি বিস্ফোরণ না ঘটতো তাহলে পরের জুম্মাবারেই হয়তো কেঁপে উঠতো কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশ আর বম্বের মতই নিহত হতেন শতাধিক মানুষ। বামফ্রন্ট নেতাদের ও কলকাতা পুলিশের একাংশকে রসেবশে রেখে, রশিদ খান নিজের কৌমের স্বার্থে যে ষড়যন্ত্র বুনেছিল সেটা বানচাল হয়ে যায় মুহুর্তের অসাবধানতায়।

Wednesday, March 11, 2020

মূল্যবোধ

বাচ্চারা নীতিজ্ঞান, মূল্যবোধ ও শালীনতার প্রাথমিক শিক্ষা পায় তাদের পরিবারের থেকে। যার বাবা অফিসের জিনিস লুকিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে আর মা সেটাকে সহজভাবে মেনে নেয়, সে কখনও চুরির মধ্যে অনৈতিক কিছু খুঁজে পায়না। যার বাবা ঘুষ খায় আর মা সেই টাকায় ফুর্তি করে, সে কখনও ঘুষের মধ্যে খারাপ কিছু দেখতে পারেনা। তাই, আমি বিশ্বাস করি যে বাচ্চাদের যেকোন অন্যায়ের পিছনে প্রাথমিক কারণ তাদের মধ্যে ন্যায়বোধের অভাব যেটা তার পরিবার তাকে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি ভবিষ্যতে সেই বাচ্চা কেমন সঙ্গ গ্রহণ করবে, তাদের দ্বারা কতটা প্রভাবিত হবে, সেটাও নির্ভর করে পরিবারের দেয়া প্রাথমিক শিক্ষার উপরে।

আজ যেসব ছাত্রছাত্রীদের অশালীন আচরণ নিয়ে সোশাল মিডিয়া তোলপাড় হচ্ছে, আমি মনে করি, তাদের এই আচরণের মূল কারণ তাদের পরিবারের আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব। আত্মকেন্দ্রিক পরিবার কখনই নিজেদের সন্তানের মধ্যে মূল্যবোধের, কর্তব্যের, শালীনতার শিক্ষা দিতে পারেনা। আর যৌবনের স্বভাবই যেখানে অবাধ্য হওয়া, সেখানে মূল্যবোধের শিক্ষা ছাড়া আর কিছুই লাগাম পরাতে সক্ষম হতে পারেনা।

জনপ্রিয় হওয়ার ইচ্ছা, কখনও সুপ্ত আর কখনও সোচ্চার হয়ে, প্রায় সকলের মধ্যেই থাকে। আর জনপ্রিয় হওয়ার সহজ উপায় হল ব্যতিক্রমী হওয়া। নামজাদা হোক বা হারামজাদা, দিনের শেষে জনপ্রিয় হওয়াটাই লক্ষ্য। আজকে সোশাল মিডিয়ার প্রবল ব্যপ্তির যুগে নামজাদা হয়ে জনপ্রিয় হওয়াটা কঠিন হলেও হারামজাদা হয়ে জনপ্রিয় হওয়াটা তুলনামূলক কঠিন (যদিও সেখানেও দিনে দিনে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাচ্ছে)। এমতাবস্থায়, শরীরের বিশেষ অঙ্গ নিয়ে বা নারী-পুরুষের স্বাভাবিক জৈবিক সম্পর্ক নিয়ে দুই ছত্র আউড়ে যদি সস্তার জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়, তাহলে সেই প্রলোভন দমন করার জন্যে যে নীতিজ্ঞান ও মূল্যবোধের প্রয়োজন, সেটা, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সবার পরিবার দিতে পারেনা। আর সেটারই ফলশ্রুতিতে আবেগে ভেসে যায় যুবসমাজ।

নিজেদের সন্তানদের মধ্যে যদি আমরা মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়িত্বের উপলব্ধি না দিতে পারি, তাহলে সেই ব্যর্থতা আমাদের অর্থাৎ পূর্ববর্তী প্রজন্মের। শুধু নতুন প্রজন্মকে দোষারোপ করে আমরা নিজেদের পাপ কখনই ধুয়ে ফেলতে পারবনা।

Wednesday, March 4, 2020

বঙ্গ রাজনীতির দিশা

এর আগে যখন বলেছিলাম যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করানোই যথেষ্ট নয়, সেটার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে শরণার্থীদের সুবিধা দেয়াটাও প্রয়োজন, তখন সেটা অনেকেরই পছন্দ হয়নি। আসলে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হতে হতে হিন্দুদের মধ্যে একটা স্বল্প-সন্তুষ্টির উপসর্গ জন্ম নিয়েছে। মানে, যা চেয়েছিলাম সেটা না পেলেও, যেটুকু পেয়েছি তাতেই খুশী।

সৌভাগ্যের বিষয় হল যে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ এই রোগে আক্রান্ত নন। তাই তাঁদের কাছে এই মর্মে বার্তা পৌছালে তাঁরা সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন। তাই আমার গত ৬ই ফেব্রুয়ারীর পোস্ট দলদাসদের কাছে অপ্রিয় হলেও, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেটার গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন এবং ১৫৮৯ জন শরণার্থী আজ ডিটেনশন ক্যাম্পে থেকে মুক্ত।

বিগত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে উত্তরবঙ্গ ও রাঢ়বঙ্গে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। এর প্রধান কারণ ছিল নরেন্দ্র মোদীর ইমেজ এবং কেন্দ্রে বিজেপির সরকার গঠনের আকুতি। লোকসভা পরবর্তী পর্যায়ে বিজেপি এই রাজ্য সম্পর্কে অনেকটাই নিস্পৃহ হয়ে যায় আর তার অন্যতম প্রধান কারণ হল ভরসাযোগ্য মুখের অভাব। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খুব ভালভাবেই জানেন যে বঙ্গ বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব মমতা ব্যানার্জীর বিকল্প হওয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা রাখেননা আর তাই তাঁরা খোঁজে ছিলেন বিকল্প মুখের।

এমতাবস্থায়, সৌরভ গাঙ্গুলীর উপর বাজী ধরা হচ্ছিল যে তিনি এই রাজ্যে বিজেপির মুখ হতে পারেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেয়ার খবর যদি সত্যি হয় তাহলে স্বীকার করতেই হবে যে তাঁর থেকে যোগ্য মুখ বিজেপি যোগার করতে পারতনা। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড হারানোর পর, বিহারেও যদি বিজেপির আশানুরূপ ফল না হয় তাহলে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্যে ঝাঁপাবে। আর সেক্ষেত্রে পার্টির জন্যে CAA-র মাধ্যমে বাঙালীদের সুফল আর শুভেন্দু অধিকারীর মত মুখ একবারে রাজযোটক হতে বাধ্য।

২০২১-র বিধানসভা নির্বাচন যে অনেক পরিচিত ছক ভেঙে দেবে, সেটা এখন থেকেই দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। আপনি যদি রাজনীতির ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে চোখকান খোলা রাখুন, আগামী দিনগুলি অনেক নতুন শিক্ষা দেবে।

Monday, March 2, 2020

অশান্ত পূর্বাঞ্চল

শাহিনবাগ আন্দোলনের সময়, শার্জিল ইমামের 'চিকেন নেক' কেটে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে আলাদা করে দেয়ার কথাকে যারা হালকভাবে নিয়েছিলেন, তারা নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন যে সেই স্বপ্ন কত পরিকল্পনা অনুসারে বাস্তবায়িত হতে চলেছে।

আসামে সুষেন দেব ছাড়াও, গত দুই দিনে, শিলং এ ছুরিকাহত হয়েছেন ১০ জন বাঙালী হিন্দু, যাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন আর বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেঘালয়ের অন্যান্য যায়গায় সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরও ৩ জন।

মেঘালয়ের নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন, HNLC খোলাখুলি ঘোষণা করেছে যে বাঙালী হিন্দুরা যদি খাসি পাহাড়ের ইছামতী ও মাজাল অঞ্চল ছেড়ে না যায়, তাহলে তাদের ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে। একইসাথে, আসামের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হচ্ছে বাঙালী, বিহারী, শিখ, মারোয়ারীদের উপর যাতে তারা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।

এই ষড়যন্ত্রের পুরোটাই রচিত হয়েছে ভারতের ভিতরে রক্তক্ষরণ ঘটানোর জন্যে। এই আক্রমণের পিছনে জেহাদি ফান্ড ও মিশনারী ফান্ডের অঢেল যোগান রয়েছে আর এর একমাত্র লক্ষ্য হল দেশ ও সরকারকে অস্থির করা, এলাকার উন্নয়ন রোধ করা আর আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ছবি খারাপ করা। আসাম চুক্তির মাধ্যমে যে ষড়যন্ত্র ও বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ পোঁতা হয়েছিল, এগুলি তারই ফল।

https://www.guwahatiplus.com/article-detail/uneasy-calm-prevails-in-meghalaya-banned-militant-outfit-threatens-to-carry-out-mass-bloodshed-of-hindu-bengalis