Wednesday, March 25, 2020

পুলিশ ও সমাজ

আমরা যখন ঘরে বসে প্রশাসনের হাজারটা খুঁত খুঁজে বের করছি, তখনই এই মহামারী কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে, সমাজে আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রাখার কাজ করে চলেছেন পুলিশ কর্মীরা। এদেরও পরিবার আছে, তারাও আতঙ্কিত হয়। কিন্তু তাদের সেই আকুতিকে হেলায় অবজ্ঞা করে, দিনের পর দিন এই থ্যাঙ্কলেস কাজ করে চলেছেন পুলিশ বাহিনী।

আজকের দু'টো ঘটনার উল্লেখ করি। প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে একজন ভাই তথা বন্ধু জানালো যে কলকাতার একটি হাসপাতালের একজন ডাক্তার, সেখানকার অব্যবস্থা নিয়ে তাকে জানিয়েছেন। সে আগ্রহ করলো যে আমি যেন সেই ডাক্তারের সাথে কথা বলে, সমাধানের চেষ্টা করি। তার কথা শুনে সেই ডাক্তারবাবুকে ফোন করলাম কিন্তু তিনি এরকম কোন পরিস্থিতির কথা সরাসরি অস্বীকার করলেন। এবার দ্বিতীয় ঘটনা - আমারই আগের একটা পোস্টে এক জন ফেসবুক মিত্র জানালেন যে বারাসাত থেকে নাকি কলকাতাগামী সবজি বোঝাই ট্রাক পুলিশ ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। তার কথা শুনেই ঘটনাটা বারাসাতের এসপিকে জানিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করলাম। কিছুক্ষণ পরেই বারাসাতের এসডিপিও ফোন করলেন এবং ঘটনাস্থলের বিশদ বিবরণ চাইলেন। এরপর আমি সেই মিত্রকে ফোন করে, বিশদ বিবরণ চাওয়াতে তিনি জানালেন যে তিনি নাকি শুনেছেন যে গতকাল রাত্রে, কালীবাড়ির কাছে এরকম ঘটনা ঘটেছে। এরকম ছোঁড়া কথার উপর ভিত্তি করে কোন পদক্ষেপ নেয়া যায়না। তাই আমি এসডিপিও কে ফোন করে পুরো ঘটনা জানিয়ে, তাদের বিব্রত করার জন্যে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। যদিও তিনি কালীবাড়ি এলাকায় গতকাল রাতে এরকম ঘটে থাকলে তার নির্দিষ্ট সময় জানতে চাইলেন যাতে ট্র‍্যাক করতে পারেন, কিন্তু আমি আর এই নিয়ে ওনাদের বিব্রত করতে চাইছিলাম না। তাই অভিযোগ ফেরত নিয়ে নিলাম।

তাই সবাইকে অনুরোধ করছি যে এই আপৎকালে, পুলিশকে খালি দোষারোপ না করে, তাদের কাজের চাপটাও একটু উপলব্ধি করুন। হ্যাঁ, কিছু ভুলভাল কাজ তাদের দ্বারাও হয়ে যায়, অনেকসময় অনিচ্ছাকৃতভাবেও হয়ে যায়। কিন্তু সেই দু'একটা ঘটনা দিয়ে, এরকম দুর্যোগের সময়ে, এত বড় বাহিনীর জন্যে সার্টিফিকেট জারি করবেননা, তাদের মনোবল ভেঙে দেবেননা। উর্দির ভিতরে তারাও কিন্তু আমাদের মতই মানুষ। 

No comments:

Post a Comment