না, শঙ্খ, কাঁসর, ঘন্টা বাজালে বা হাততালি দিলে করোনা প্রতিরোধ হয়না কিন্তু এই দুর্যোগের সময়ে, সারা দেশ যখন একযোগে একই কাজ করে তখন সেটা প্রমাণ করে দেয় দেশবাসীর মধ্যে দেশের প্রতি কতটা একাত্মতা রয়েছে। প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী বা জরুরী পরিসেবার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা আমাদের হাততালির আশায় বা অপেক্ষায় বসে নেই, নিজেদের কর্তব্য পালন করে চলেছেন কিন্তু আমরা যে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা প্রকাশ করার জন্যে আর গোটা সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে সচেতন করার জন্যে, এর চেয়ে ভাল আর কোন উপায় ছিলনা।
আজ সারা দেশজুড়ে যারা শঙ্খনাদ, ঘন্টাধ্বনি বা করতালরব করেছেন তারা সবাই মোটেই বিজেপির সমর্থক নন, বহু অবিজেপি সমর্থকও প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে নিসঙ্কোচে এগিয়ে এসেছেন, এই জনআন্দোলনে সামিল হয়েছেন। আর এটাই কাম্য কারণ রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও, সবার কাছেই জাতীয় স্বার্থ সর্বোপরি। কিছু ক্ষুদ্র মানসিকতার লোক এতেও রাজনীতি খুঁজতে পারেন কিন্তু দেশবাসীরা আজকে যুধিষ্ঠিরের সেই কথাকে, "আপৎকালে সমুৎপন্নে বয়ম পঞ্চাধিক শতম", সত্য করে দেখিয়ে দিয়েছেন। তারা প্রমাণ করে দিয়েছেন রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও দেশের বিপদের সময় আমরা ১৩৫ কোটি ভারতীয় একজোট হয়ে রুখে দাঁড়াতে পারি।
No comments:
Post a Comment