Monday, April 13, 2020

করোনা পরীক্ষা

গত ৮ই এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্ট তাদের আদেশে, বিভিন্ন বেসরকারি পরীক্ষাগারে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার আদেশ দেখে স্তম্ভিত হয়েছিলাম এবং এরকম একটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, বিচার বিভাগ কিভাবে নিতে পারে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলাম।
বিচারালয়ের শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে আদেশ দেয়া খুব সহজ কিন্তু সেটা পালনের বাস্তবিকতা কতখানি, সেটা অভিজ্ঞতা ছাড়া বোঝা কঠিন। তাদের এই আদেশের ফলে পরীক্ষাগারগুলির যে খরচ হবে সেটার দায়িত্ব কে নেবে, খরচের কারণে তারা যদি টেকনিক্যাল কারণ দেখিয়ে নিজেদের অক্ষমতা প্রকাশ করে তাহলে কি হবে, ইত্যাদি অনেক প্রশ্নেরই উত্তর ছিল অজানা। অবশেষে আজ কোর্ট তাদের আগের আদেশ পরিবর্তন করে, আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার অধীনে,
বিনামূল্যে এই পরীক্ষা হবে বলে নতুন আদেশ দিলেন।

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে প্রাথমিক অবস্থায় মমতা ব্যানার্জীর প্রশাসন, এই রাজ্যেকে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে আনেননি। তাঁর দাবী ছিল যে রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পই রাজ্যবাসীর যাবতীয় চাহিদা পূরণের জন্যে সক্ষম। তবে সুখের বিষয় হল যে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে, রাজ্য সরকারের শুভবুদ্ধির বিকাশ ঘটে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সাথে যুক্ত করা হয়। আর তার ফলে সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা ৪৭ লক্ষ থেকে এক ধাক্কায় ৬ কোটিতে পৌছে যায়।

আজ পশ্চিমবঙ্গ আয়ুষ্মান ভারতে যুক্ত হয়েছে বলেই নথিভূক্ত ব্যক্তিরা প্রয়োজনে বেসরকারি পরীক্ষাগারেও করোনার পরীক্ষা করাতে পারবেন। তাই রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ যে যতই রাজনৈতিক বিরোধ থাক, জনহিতকর প্রকল্পগুলো রূপায়ণের ক্ষেত্রে প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেই চলে।

No comments:

Post a Comment