প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে মুসলমানদের বাদ দিয়ে, শুধু হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসিক আর খ্রিস্টানদের অন্তর্ভুক্ত করা যাদের কাছে সংবিধানের ১৪ নং ধারা অর্থাৎ আইনের চোখে সমতার বিরোধী বলে মনে হচ্ছে, তাদেরকে অনুরোধ যে একবার যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও আনোয়ার আলি সরকার মামলায় (AIR 1952, SC 75) চোখ বুলিয়ে নিন।
উক্ত মামলার রায় দান করতে গিয়ে, কলকাতা হাই কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি, জাস্টিস হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ঘোষণা করেন যে কোন এক বিশেষ শ্রেণীর জন্যে, বিশেষ আইন কখনই সংবিধানের ১৪ নং ধারার বিরোধী নয়। এমনকি সেই শ্রেণী যদি মাত্র একজনের হয়, তাহলেও সেটা অবৈধ নয়। আইনটি সংবিধানের মূল ভাবনার বিরোধী কিনা সেটা বিচারের মাপদন্ড হচ্ছে আইনটির গঠন ১) Reasonable, ২) Natural এবং ৩) Substantial কিনা সেটা দেখা।
১৪ নং ধারার লক্ষ্য হল undue favour এবং hostile discrimination প্রতিরোধ করা আর সেটাই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এই কারণেই, ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত ভারতবর্ষের খন্ডিত অংশে, সেখানকার সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হলে, তাদের সেই পরিবেশ থেকে মুক্তি দেয়ার মানবিক উপায় হল আসন্ন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
https://indiankanoon.org/doc/1156606/
উক্ত মামলার রায় দান করতে গিয়ে, কলকাতা হাই কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি, জাস্টিস হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ঘোষণা করেন যে কোন এক বিশেষ শ্রেণীর জন্যে, বিশেষ আইন কখনই সংবিধানের ১৪ নং ধারার বিরোধী নয়। এমনকি সেই শ্রেণী যদি মাত্র একজনের হয়, তাহলেও সেটা অবৈধ নয়। আইনটি সংবিধানের মূল ভাবনার বিরোধী কিনা সেটা বিচারের মাপদন্ড হচ্ছে আইনটির গঠন ১) Reasonable, ২) Natural এবং ৩) Substantial কিনা সেটা দেখা।
১৪ নং ধারার লক্ষ্য হল undue favour এবং hostile discrimination প্রতিরোধ করা আর সেটাই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এই কারণেই, ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত ভারতবর্ষের খন্ডিত অংশে, সেখানকার সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হলে, তাদের সেই পরিবেশ থেকে মুক্তি দেয়ার মানবিক উপায় হল আসন্ন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
https://indiankanoon.org/doc/1156606/
No comments:
Post a Comment