হিন্দুত্ববাদীরা হায়দ্রাবাদ বা মালদহ নিয়ে যতটা সরব, উন্নাও নিয়ে ততটাই নীরব। কারণ, হায়দ্রাবাদের ধর্ষক ও খুনীরা মুসলমান আর মালদহের ঘটনার জন্যে মমতার বাপান্ত করা সহজ কিন্তু উন্নাওয়ের ক্ষেত্রে তাদের সমস্যা হল যে অভিযুক্তও হিন্দু আর সরকারও বিজেপির। উল্টোদিকে, বিজেপির এক বিধায়কের ধর্ষণ কান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে, সেকুলাররা উন্নাও কান্ডে ধর্ষকের পরিচয় নিয়ে সোচ্চার হলেও, হায়দ্রাবাদের ঘটনায় যেহেতু তাদের অবৈধ বাপদের গুষ্টি জড়িত তাই সেখানে তারা পরিচয় খুঁজতে যায়না।
হ্যাঁ, হায়দ্রাবাদের ঘটনায় অভিযুক্তরা মুসলিম এটা সত্য। মূল অভিযুক্ত, মহঃ পাশা, সাবালক বলে তার নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এবং বাকিরা নাবালক বলে তাদের আসল নাম প্রকাশ করা হয়নি। তেমনই সত্য হল উন্নাওয়ের ঘটনায় আক্রান্তাকে ধর্ষণ ও একাধিকবার হত্যা করার চেষ্টায় যুক্ত অভিযুক্তরা হিন্দু। আক্রান্তাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে ধৃত ব্যক্তিদের নাম হল হরিশঙ্কর ত্রিবেদী, রাম কিশোর ত্রিবেদী, উমেশ বাজপেয়ী, শিবম ও শুভম ত্রিবেদী। সাথে এটাও সত্য যে কিছুদিন আগেই উন্নাও আক্রান্তাকে পথ দুর্ঘটনার মাধ্যমে হত্যার চেষ্টার পরেও, সিবিআই অভিযুক্তদের সম্পূর্ণ ক্লীনচিট দিয়েছে।
এরইমধ্যে আরেকটা সত্য হল যে দিল্লীর কুখ্যাত নির্ভয়া কান্ডের পর, মহিলাদের নিরাপত্তার জন্যে যে নির্ভয়া ফান্ড গঠিত হয়, তার ৯১% টাকাই এখনও খরচ হয়নি। মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, সিকিম আর ত্রিপুরা, তাদের দেয়া ১৮,২৯২ লাখ টাকার মধ্যে একটাকাও খরচ করতে পারেনি। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে দেয়া ১৬৭২ কোটি টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে মাত্র ১৪৭ কোটি টাকা। যে হায়দ্রাবাদে, এক ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যা হয়েছে, সেই তেলেঙ্গানা রাজ্যে ফান্ড ব্যবহারের হার মাত্র ৪%। প্রাপ্ত ১০৩ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৪.১৯ কোটি টাকাই খরচ করতে পেরেছে তারা। আর যে দিল্লীতে নির্ভয়া কান্ড ঘটেছিল, সেখানে খরচের হার মাত্র ৫%। তেলেঙ্গানাকে One Stop Centres (OCS) স্থাপন করার জন্যে দেয়া ১৩.৯৬ কোটি টাকার মধ্যে তারা খরচ করেছে মাত্র ১.৩৮ কোটি।
নির্ভয়া কান্ডের পর আইন বদলে আর ফান্ড বানানোতে যারা ভেবেছিলাম যে এরকম আর হবেনা, হায়দ্রাবাদ, উন্নাও আর মালদহ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে আমরা কত ভুল ছিলাম। এরপরেও যদি আমরা ধর্ষকের পরিচয় নিয়ে, শাসকের রঙ দেখে নিজেদের প্রতিবাদের ভাষা বাছাই করি তাহলে আমাদের পরিচিতার সাথেও এরকম ঘটনা ঘটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
হ্যাঁ, হায়দ্রাবাদের ঘটনায় অভিযুক্তরা মুসলিম এটা সত্য। মূল অভিযুক্ত, মহঃ পাশা, সাবালক বলে তার নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এবং বাকিরা নাবালক বলে তাদের আসল নাম প্রকাশ করা হয়নি। তেমনই সত্য হল উন্নাওয়ের ঘটনায় আক্রান্তাকে ধর্ষণ ও একাধিকবার হত্যা করার চেষ্টায় যুক্ত অভিযুক্তরা হিন্দু। আক্রান্তাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে ধৃত ব্যক্তিদের নাম হল হরিশঙ্কর ত্রিবেদী, রাম কিশোর ত্রিবেদী, উমেশ বাজপেয়ী, শিবম ও শুভম ত্রিবেদী। সাথে এটাও সত্য যে কিছুদিন আগেই উন্নাও আক্রান্তাকে পথ দুর্ঘটনার মাধ্যমে হত্যার চেষ্টার পরেও, সিবিআই অভিযুক্তদের সম্পূর্ণ ক্লীনচিট দিয়েছে।
এরইমধ্যে আরেকটা সত্য হল যে দিল্লীর কুখ্যাত নির্ভয়া কান্ডের পর, মহিলাদের নিরাপত্তার জন্যে যে নির্ভয়া ফান্ড গঠিত হয়, তার ৯১% টাকাই এখনও খরচ হয়নি। মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, সিকিম আর ত্রিপুরা, তাদের দেয়া ১৮,২৯২ লাখ টাকার মধ্যে একটাকাও খরচ করতে পারেনি। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে দেয়া ১৬৭২ কোটি টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে মাত্র ১৪৭ কোটি টাকা। যে হায়দ্রাবাদে, এক ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যা হয়েছে, সেই তেলেঙ্গানা রাজ্যে ফান্ড ব্যবহারের হার মাত্র ৪%। প্রাপ্ত ১০৩ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৪.১৯ কোটি টাকাই খরচ করতে পেরেছে তারা। আর যে দিল্লীতে নির্ভয়া কান্ড ঘটেছিল, সেখানে খরচের হার মাত্র ৫%। তেলেঙ্গানাকে One Stop Centres (OCS) স্থাপন করার জন্যে দেয়া ১৩.৯৬ কোটি টাকার মধ্যে তারা খরচ করেছে মাত্র ১.৩৮ কোটি।
নির্ভয়া কান্ডের পর আইন বদলে আর ফান্ড বানানোতে যারা ভেবেছিলাম যে এরকম আর হবেনা, হায়দ্রাবাদ, উন্নাও আর মালদহ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে আমরা কত ভুল ছিলাম। এরপরেও যদি আমরা ধর্ষকের পরিচয় নিয়ে, শাসকের রঙ দেখে নিজেদের প্রতিবাদের ভাষা বাছাই করি তাহলে আমাদের পরিচিতার সাথেও এরকম ঘটনা ঘটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
No comments:
Post a Comment