Thursday, July 9, 2015

যোগ দিবস উদযাপন

"বিরোধীরা যখন তোমার দিকে ফুল ছুড়বে তখন বুঝবে তুমি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছ আর বিরোধীরা যখন তোমার দিকে জুতো ছুড়বে, বুঝতে পারবে যে তুমি তোমার লক্ষ্যে স্থির আছো।" - প্রাচীন প্রবাদ।

ভারতীয় যোগব্যায়াম আজ সারা পৃথিবীতে এমন জায়গায় পৌছে গেছে যে সেটার উপযোগিতা আজ আর কারুর স্বীকৃতির মুখাপেক্ষী নয়। স্থান, কাল আর পাত্রের উপস্থিতি উপেক্ষা করে আজ তা কালজয়ী আর সার্বজনীন। সারা বিশ্ব নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছে যে গণিতের শূন্য (০) বা চিকিৎসায় আয়ুর্বেদের মত যোগব্যায়ামও হল বিশ্বের সমস্ত জনসাধারণের প্রতি প্রাচীন ভারতের সনাতনী সভ্যতার এক অমূল্য অবদান।
এমতাবস্থায়, যোগ নিয়ে মোদী সরকারের অবস্থান ও প্রচার আমার কাছে নিছকই বাগাড়ম্বর বলে মনে হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের মত সময়োপযোগী বিষয়গুলিকে অবজ্ঞা করে যোগের মত একটি বিষয়, যা ইতিমধ্যেই সর্বজন স্বীকৃত, নিয়ে ঢক্কানিনাদ আমাকে আকৃষ্ট করেনি। আমার স্থির বিশ্বাস ছিল এবং আছে যে যোগ হল এমন একটি বিষয় যার প্রসঙ্গ ওঠা মাত্র সবাই নির্বিরোধে মেনে নেবে। লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের থেকে জনগন আরও বেশী কিছু আশা করে।

কিন্তু যোগব্যায়াম নিয়ে এদেশে বসবাসকারী মুসলিমদের আচরণ এবং তাদের তোষামোদকারী বিরোধী দলগুলির আচরন প্রমান করে দিয়েছে যে তারা এইদেশে বংশপরম্পরায় বাস করে আসলেও নিজেরা কখনই এইদেশের হয়ে উঠতে পারেনি। এই কারণেই ভারতের সুমহান পরম্পরা নিয়ে গর্ব করতে তাদের এত কুণ্ঠা। এক্ষেত্রে ওয়েশীর সাথে সোনিয়া গান্ধী বা সীতারাম ইয়েচুরির মানসিকতার কোন তফাৎ নেই, ভাষাটা আলাদা কিন্তু ভাবটা এক। এদের একমাত্র লক্ষ্য ভারতীয়দের হীনমন্যতায় ডুবিয়ে রাখা যাতে তারা তাদের গৌরবময় ইতিহাস থেকে প্রেরণা না পেতে পারে। স্বদেশের ঠাকুর ছেড়ে বিদেশের কুকুর পূজা করতেই এদের বেশী আগ্রহ।

এদের সম্মিলিত বিরোধিতা সত্বেও গত ২১শে জুন সমগ্র বিশ্বের সাথে দিল্লীর রাজপথেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে হাজার হাজার দেশবাসীকে সোৎসাহে যোগব্যায়াম করতে দেখলে এদের রাতের ঘুম উড়ে যায়। আগত দিনে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার ইঙ্গিত এদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই যোগাভ্যাস করাকালীন নরেন্দ্র মোদী অবস্থানগত কি কি ভুল করেছেন তাই নিয়ে এরা সোশাল মিডিয়াতে ঝড় তোলার ব্যর্থ চেষ্টা করে। এ যেন সেই মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করা নিয়ে বাড়ির বিধবা পিসিমার ভূমিকা। প্রথমে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতেই আপত্তি আর তার আপত্তি অগ্রাহ্য করে মেয়েটি স্কুলে ভর্তি হলেও সে কেন পরীক্ষায় ফার্স্ট হলনা তাই নিয়েও তাকে কটুক্তি। পঁয়তাল্লিশ বছরের "যুবরাজ" নিজেকে "তরতাজা" করতে ব্যাঙ্ককে চুপিচুপি ছাপান্ন দিনের ছুটি কাটিয়ে আসলে কারুর মাথাব্যথা নেই কিন্তু পঁয়ষট্টি বছরের বৃদ্ধ সকলের সাথে প্রকাশ্যে যোগাভ্যাস করলে এরা খুঁত খুজতে ব্যস্ত।

তবে প্রাচীন প্রবাদে বিশ্বাস রাখলে স্বীকার করতেই হবে যে মোদী তার উদ্দেশ্যে একশ শতাংশ সফল। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের মাধ্যমে তিনি শুধু ভারতের ঐতিহ্যময় অতীতকেই তুলে ধরেননি সাথে এদেশে বসবাসকারী সেই সব বিশ্বাসঘাতকদেরও মুখোশ খুলে দিয়েছেন যারা শারীরিকভাবে এদেশে বাস করলেও মানসিকভাবে কখনই এদেশের হয়ে উঠতে পারেনি।

No comments:

Post a Comment