আম্মার ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই মনটা আশায় আশায় ছিল যে সল্লুভাইয়ের আচ্ছেদিনও আর বেশী দূর নয়। আর হলও তাই। আচ্ছা, হবে নাই বা কেন, সেই কোন যুগে, সামান্য নেশা করে না হয় কয়েকজনকে গাড়িচাপা দিয়েই ছিলেন তাই বলে ভাইয়ের মনটা তো খারাপ নয়। কতলোকের কত উপকার নাকি তিনি করে থাকেন, তাদের দোয়ার কি কোন জোরই নেই? সকলের দোয়ায় ভাই আজ জেল থেকে বেড়িয়েও এসেছে আর কোর্ট বলে দিয়েছে যে শুটিং-র জন্যে ভাইয়ের বিদেশ যেতেও বাধা নেই। মার কৈলাশ, এই রকম রায় না দিলে কি আর জনগনের আইন আদালতের উপর ভরসা থাকে!
ভাই বেড়িয়ে গেলেও আম্মাকে নিয়ে একটা চাপা উত্তেজনা থেকেই গেছিল। সদাচারী সরল মহিলা, কোর্ট তাকে দোষী বলা মাত্রই বিবেকের ডাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। যদিও সল্লুভাইয়ের মত ওনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিলনা। হিসাবের ভুলে কিছু দুষ্টু লোক বলেছিল যে তার নাকি আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি আছে। বিচারকদের এই হিসাব কষতে বেশী সময় লাগেনি। তাই, তিনিও ছাড়া পান। ছাড়া পাওয়ার পর স্বয়ং মোদীভাই তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান।
কিন্তু কি একটা কথা আছে না যে ভাঙা দেয়াল, খ্যাপা শেয়াল আর বড়লোকের খেয়াল - কোন ভরসা নেই। তাই আম্মাকেও সেই জনতার দরবারে হাজির হতে হল আবার নির্বাচিত হওয়ার জন্যে। এই জায়গাটাতেই আমার একটা আশঙ্কা ছিল। আগে-পরে যতই কারিকুরি করা হোক না কেন, ভোটের দিন তো সবকিছু সেই জনগণের হাতে। কোর্ট ছেড়ে দিলেও জনতা ছাড়বে তো?
আমার আশঙ্কাকে অমূলক প্রমান করে আজ আম্মা জেতায় আমি যারপরনাই আনন্দিত। সল্লুভাই আর আম্মা দুজনেই চক্রান্তের জাল ছিঁড়ে বেড়িয়ে এসেছেন। কিন্তু এত খুশীর দিনেও একটা কাঁটা আজও বুকের মধ্যে খচখচ করে যায়, মদনদা আজও ছাড়া পেল না।
No comments:
Post a Comment