মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সভানেত্রী হিসাবে রুপা গাঙ্গুলীকে মেনে নিতে এই রাজ্যের আরএসএসের কোনো আপত্তি নেই। এই রিপোর্ট সত্যি না মিথ্যা সেটা সময়ই বলবে তবে এই রিপোর্ট পরে যারা বিজেপি বা আরএসএসের মুন্ডুপাত করছেন, আমি তাদের দলে নই। আমি বরং বিজেপি ও আরএসএসের এই সিদ্ধান্তে খুশীই হয়েছি।
২০১১ জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২৭%। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষন স্থির করা সংক্রান্ত মামলায় স্বয়ং রাজ্য সরকার সুপ্রীম কোর্টে হলপনামা দিয়ে বলেছিল যে রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ লোকের ভাবাবেগকে আহত করে রমজান মাসের সময় ভোট নেয়া সমীচীন হবে না। এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৩%। তারমানে ২০১১ থেকে ২০১৩ - এই দুই বছরের মধ্যে রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যার হার বেড়েছে প্রায় ৬% অর্থাৎ ফি বছর ৩% হারে। এই অনুপাতে, আজ রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যার হার প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি, তাই নয় কি? এমতাবস্থায়, এই রাজ্য মুসলিমবহুল হতে আর মাত্র তিন থেকে চার বছর বাকি।
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের আরএসএস ও বিজেপি যে গুজরাট দাঙ্গার মুখ কুতুবুদ্দিনের হাতে রাখী বেঁধে দেয়া রুপা গাঙ্গুলীকেই দলীয় মুখ হিসাবে তুলে ধরবে এটাই তো স্বাভাবিক। মাসখানেক আগে আরএসএসের পক্ষ থেকে মুসলিমদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠিয়ে আরএসএসে সম্পর্কে তাদের ধারণা বদলানোর যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল সেটাও তো আগামী দিনের পরিস্থিতির কথা ভেবেই।
এই কারণেই রুপা গাঙ্গুলীকে গত ১০ই জুলাই টুকটুকি মন্ডলের উদ্ধারের দাবীতে জন অধিকার মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগদান করার আমন্ত্রণ জানালে তিনি সেটা গ্রহণ করেন না, কারণ টুকটুকির অপহরণকারীর নাম যে বাবুসোনা গাজী। তাই তিনি মল্লিকপুর, কালীগঞ্জ, সমুদ্রগড় বা পঞ্চগ্রাম না গিয়ে ছুটে যান পাড়ুই বা সাত্তোরে।
আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি কি হবে সেটা ভেবে বঙ্গ আরএসএস ও বিজেপি যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সবার উচিত সেটাকে সাধুবাদ জানানো। টুকটুকি মন্ডল উদ্ধারের মত ছোটখাটো বিষয়ে নিজের সাংগঠনিক ক্ষমতার অপচয় না করার জন্যে আরএসএসের দুরদৃষ্টির প্রশংসা করা উচিত কারণ এই রাজ্যে সেই দিন আর বেশী দূরে নয় যখন প্রতিটা হিন্দু বাড়িতেই টুকটুকির জন্ম হবে।
No comments:
Post a Comment