Thursday, July 9, 2015

সিদ্ধান্ত আপনার

আগের কথা যদি নাও ধরি, গত ১৫ দিনে হিন্দু সংহতি ও জন অধিকার মঞ্চ উভয় মিলে মল্লিকপুর, কলিগঞ্জ আর হাঁসখালি সহ তিনটি ঘটনা সারা রাজ্য তথা দেশ তথা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেছে। কলেজ স্কোয়ার ও বউবাজারে দুটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে। প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত করেছে। মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার একটা অংশকে বাধ্য করেছে খবরগুলি জনসমক্ষে আনতে।
তাদের এই ভূমিকা বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। 'লাইক', 'শেয়ার', 'রিটুইট' আর 'ফেবারিট'-র জোয়ার এসেছে তাদের প্রতিটা পোষ্টে। কমেন্টে কমেন্টে উপচে পরেছে তাদের ছবি ও পোষ্টগুলি। www.hindusamhati.net এর ভিসিটর সংখ্যা এই পনের দিনেই ৬ হাজার থেকে বেড়ে ৯১ হাজারে পৌছে গেছে। কিন্তু তারপর?
উক্ত পোষ্টগুলিতে যারা কমেন্ট করেছেন বা সেগুলি 'লাইক', 'শেয়ার', 'রিটুইট' আর 'ফেবারিট' করেছেন বা যারা হিন্দু সংহতির ওয়েব সাইট পর্যন্ত ভিসিট করেছেন তাদের মধ্যে কতজন সেই সাইটেই 'ডোনেট' অপশনে ক্লিক করেছেন? সোশাল মিডিয়ায় হিন্দু সংহতি বা জন অধিকার মঞ্চের কাজের প্রশংসা করলে বা সেটা শেয়ার করলেই আপনার দায়িত্ব শেষ? ভার্চুয়াল দুনিয়ার বাইরে আসল দুনিয়ায় হিন্দু স্বার্থ রক্ষা করতে আপনার কি ভূমিকা? আপনারা স্বপ্ন দেখেন হিন্দুদের নবজাগরনের কিন্তু সেটার জন্য কতটা মূল্য আপনি নিজে দিয়েছেন?
না, আপনাকে লজ্জা দেয়া বা বিব্রত করার জন্যে এই লেখা নয়। আমাদের লড়াইতে আমাদের আপনাকে দরকার। আপনার 'তন মন ধনের' মাঝেরটা যে আমাদের সাথে সবসময় আছে সেটা আমরাও জানি কিন্তু আজকের দিনে শুধু সেটা যথেষ্ট নয়। তার সাথে আপনাকে হয় তন অর্থাৎ শারীরিক অবদান নয় ধন অর্থাৎ আর্থিক সহযোগিতা আপনাকে করতে হবে।
আপনার প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্বই আমাদের কাছে প্রথম কাম্য কারন আমরা বিশ্বাস করি যে এই রাজ্যে হিন্দুদের পুনরায় মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্যে প্রত্যক্ষ সংগ্রামই একমাত্র পথ। কিন্তু আপনি যদি সেটা একান্তই না পারেন তাহলে অন্তত আপনার বাড়িতে মা লক্ষ্মীর ঝাঁপির পাশে আরেকটা কৌটো বসান আর সেটার গায়ে লিখুন 'আত্মসম্মানের মূল্য'। মাসের প্রতিদিন নিয়ম করে ঐ কৌটোতে, কয়েন হলে কয়েন আর টাকা হলে টাকা, যা পারেন জমা করুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি সেটা বাড়ির ছোটদের দিয়ে জমা করান যাতে তারাও 'আত্মসম্মানের মূল্য' বুঝতে পারে। মাসের শেষে জমা টাকা সম্ভব হলে সরাসরি হিন্দু সংহতির অফিসে অন্যথায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়ে পরের দিন থেকে আবার সেই জমানো শুরু। বাড়িতে লক্ষ্মীর ঝাঁপি নেই? নো প্রবলেম। আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে টাকা পাঠিয়ে দিন। অনলাইন অ্যাকাউন্টও নেই? আপনার ব্যাঙ্কে স্ট্যান্ডিং ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখুন যাতে একটা নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ট্রান্সফার হয়ে যায়।
একবার দেশভাগ মেনে নিয়েছি, আবারও কি সেটা দেখতে হবে? লড়াই না করেই আবার নিজেদের জমি মুসলমানদের হাতে সঁপে দিয়ে উদ্বাস্তু হবো? মন দিয়ে আপনি যে এ লড়াইতে আমাদের সাথে আছেন সেটা জানি, এবার প্রয়োজন হয় রক্ত নয় অর্থ। কোনটা দেবেন, সিদ্ধান্ত আপনার।

No comments:

Post a Comment