Thursday, May 14, 2020

নিধিরামের সাফল্য


আপনারা অবগত আছেন যে গুজরাটের সুরাট ও ভালসারে আটক বাঙালীদের কিছু আর্থিক সাহায্য এবং স্থানীয় পরিচিতদের মাধ্যমে তাদের রেশনের ব্যবস্থা #আত্মদীপ-এর উদ্যোগে করা হয়েছে। সুরাটে আটকে যাওয়া এইরকমই একজন ব্যক্তি গতকাল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ফোন করেন এবং কবে বাড়িতে ফিরতে পারবেন এই হতাশায় কান্নাকাটি শুরু করেন। বাকি রাজ্যের লোকেরা ফিরে যাচ্ছে আর ওনারা আটকে আছেন, এই বলে তিনি হতাশায় ভেঙে পড়েন। ভদ্রলোকের অসহায় অবস্থার কথা বিবেচনা করে, আমি ওনাকে আশ্বস্ত করি যে সাতদিনের মধ্যেই গুজরাট থেকে ওনাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো।

ওনাকে তো আশ্বস্ত করে দিলাম কিন্তু আমি নিজে তো ঢাল-তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দার। তাই কাল রাত থেকেই শুরু করলাম বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ।
পাব্লিকলি ট্যুইটারে লেখা থেকে শুরু করে মেসেজ করা শুরু করলাম প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের। আজ সারাদিন ধরে লেগেছিলাম এই কাজেই যাতে ঐ ব্যক্তিকে দেয়া কথার খেলাপ না হয়ে যায়। কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনের এবং উভয় ক্ষেত্রের শাসক দলের বিভিন্ন নেতানেত্রীদের কাছে সারাদিন ধরে চললো দরবার।

কিছুক্ষণ আগে সুরাট থেকে সেই ভদ্রলোক ফোন করে জানালেন যে তাঁরা মেসেজ পেয়েছেন যে গুজরাট থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফেরার জন্যে তিনটি ট্রেন দেয়া হয়েছে। সারাদিন ধরে যে কাজে রত ছিলাম, দিনের শেষে সেটা সাফল্যের মুখ দেখলে ভাল তো লাগেই কিন্তু এক্ষেত্রে ভাললাগার থেকেও বেশী ছিল তৃপ্তি যে তাঁরা অবশেষে ঘরে ফিরতে পারবেন।
পরে যখন ঐ ব্যক্তির থেকে মেসেজের কপিটা চাইলাম, দেখলাম যে গুজরাট থেকে ৩টে নয়, ৫টা ট্রেন দেয়া হয়েছে। ভদ্রলোক আবারও ফোন করছেন যে সেই ট্রেনে তাঁরা কিভাবে ফিরবেন সেটার পদ্ধতি জানতে। কালকে সারাদিন হয়তো এটা নিয়েই কেটে যাবে। তবে
এটা হওয়াতে যা আনন্দ পেয়েছি, সেটা বলে বুঝাতে পারবনা।

No comments:

Post a Comment