Sunday, January 31, 2021

দলবদল ও ভোলবদল

বছরখানেক আগেও বৈশালী ডালমিয়াকে যেক'জন জানতেন, তারাও তাকে চিনতেন পিতৃপরিচয়ের কারণে। একইভাবে, ক্রিকেটার হিসাবে লক্ষ্মীরতন শুক্লার যা পরিচিতি ছিল, তার থেকে বেশী পরিচিতি হয় মমতা ব্যানার্জীর কৃপাদৃষ্টি পড়ার পরে। সস্তা চমকের জন্যে মমতা এমন অনেককে প্রার্থী করেছেন যাদের রাজনীতিতে বুথ লেভেলে ঢোকারও যোগ্যতা নেই। সন্ধ্যা রায় থেকে মুনমুন সেন, কল্যাণ ব্যানার্জী থেকে মিমি, নুসরাত বা দেব - একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

কিন্তু মজা হলো যে, কেউ যতই অযোগ্য হোক না কেন, রাজনীতিতে সে যদি একবার রক্তের স্বাদ পেয়ে যায় তাহলে সেটা থেকে বিরত থাকা খুবই কঠিন। একই ঘটনা বিজেপিতেও ঘটছে। সঙ্ঘের এক তদানীন্তন ক্ষমতাশালী প্রচারক, বিজেপির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখার জন্যে, পরিবারের অন্য সংগঠন থেকে এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসে মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার ধুলো থেকে ক্ষমতার গজদন্ত মিনারে বসিয়ে দিয়েছিলেন। ফলাফল, সেই প্রচারক আজ আর নিজের পদে না থাকলেও, সেই rag to rich ব্যাক্তি আজও সেই ক্ষমতায় আসীন।

রাজনীতিতে যে জিনিসটার সবচেয়ে অভাব সেটা হলো নীতি। এটা দোষের নয়, এটাই রাজনীতির চরিত্র। আজ মমতা যদি আবার হুমায়ুন কবীরের মত নতুন কোন মুখ নিয়ে এসে, নিজের হৃত সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করেন তাহলেও তাঁর মাথায় রাখা উচিত যে তিনি সেই নতুন মুখকে কি ভেবে আনছেন সেটার সাথে নতুন মুখ কি ভেবে আসছেন, সেটাও মাথায় রাখা দরকার। যেকোন দলে আসা ব্যক্তিদের, ব্যক্তিগত স্বার্থ উপলব্ধি না করে, যদি নির্বিচারে দল ভরানো হয়, তাহলে দলের ভাল সময়ে all is well চললেও, খারাপ সময়ে অনেককেই পাশে পাওয়া যাবেনা।

No comments:

Post a Comment