Saturday, January 9, 2021

সাধু সাবধান

সাধু সাবধান। এবার ১২-ই জানুয়ারী বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিরা নিজেদের এলাকায় ঝাঁপিয়ে পড়বে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করতে। সচেতন হিন্দুরা খুব খুশি হয়ে যাবে। ভাববে, বোধহয় এনাদের মতি ফিরল। এনারা বোধহয় এইবার সেকু থেকে হিন্দু হচ্ছেন। 

ভুল, ভুল!.......এনাদের মতি ফেরার নয়। এনারা তো ক্রিমিনাল, স্মাগলারদের, তোলাবাজ আর জেহাদীদের সঙ্গে জয়েন্ট বিজনেসে যুক্ত। তাদের সঙ্গ তো এঁরা ছাড়তে পারবেন না। তাহলে হঠাৎ বিবেকানন্দ ভক্তি কেন? একটু ভাবুন। 

সারা বছর ধরে সারা পশ্চিমবঙ্গব্যাপী মুসলিম দুষ্কৃতিদের দ্বারা এত থানা জ্বালানো, এত আক্রমণ, এত অত্যাচার দেখে হিন্দুর চোখ খুলছে। চেতনা জাগ্রত হচ্ছে। সংঘবদ্ধ হচ্ছে। একজোট হচ্ছে। ফলে সেই "তেনারা" বিপদসংকেত দেখছেন। দুস্কৃতির বিরুদ্ধে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে জনতা যদি একজোট হয়ে যায়, তাহলে তো সমূহ বিপদ! রাজত্বে হাত পড়বে যে!

তাই রাজত্ব বাঁচানোর জন্য "তেনারা" এখন হিন্দু সাজবেন। তার জন্য ১২-ই জানুয়ারী সুবর্ণ সুযোগ। ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মঞ্চ বাঁধতে হবে। বিবেকানন্দের বড় ছবি লাগাতে হবে। গাঁদা ফুলের মালা নয়, বিবেকানন্দের জন্য কেনা হবে রজনীগন্ধার মোটা মালা। একটু ভিতরে খোঁজ নিয়ে দেখবেন - স্বামীজী জন্মদিন পালনের জন্য চাঁদা আসছে জেহাদীদের কাছ থেকে। তারপর ডাকা হবে নিজেদের নেতাদের। যে নেতারা সারা বছর ওই ক্রিমিনালদেরকে থানায় প্রোটেকশন দেন। তাঁদেরকে হিন্দুপ্রেমী দেখানোর জন্যই তো এত আয়োজন! 

হিন্দু জনতা সারা বছর মার খাবে। তার বাড়ি দোকান লুট হবে, পুড়বে। তার মন্দির ভাঙবে। তার মেয়েদের গায়ে নোংরা হাত পড়বে। প্রশাসন থেকে কোনোরকম নিরাপত্তা পাবে না। তারপর স্বামী বিবেকানন্দ জন্মদিন ১২-ই জানুয়ারী পালন দেখে তারা সান্ত্বনা পাবে। খুশী হতে পারবে কিনা বলতে পারছি না। সেই উদ্দেশ্যেই তো এত আয়োজন।

সাবধান। সাবধান! সাবধান! 

হিন্দু ভাইরা, আপনারা অনেক ঘা খেয়ে নিরাপত্তার যে দেওয়াল গড়ে তুলছেন  - তা যেন নীচু করবেন না।

No comments:

Post a Comment