Thursday, April 8, 2021

লক্ষ্য

গতকাল রাতে ফেসবুকের এক বামপন্থী বন্ধু ইনবক্সে জোটকে সমর্থন করার আহ্বান জানালেন। আমি আমার অক্ষমতা ব্যক্ত করায় তিনি বললেন যে এবার আমি জোটকে সমর্থন দিয়ে তৃণমূলকে হটালে এরপর তিনি নিজে, অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আমার সাথে কাজ করবেন। অর্থাৎ তার ধারনা আমি বিজেপির সমর্থক।

এদিকে বিজেপির কিছু ফেসবুক সমর্থকের ধারনা যে আমি তৃণমূলের সমর্থক আর তাই মোদীর কাজের খুঁত ধরি। ফেসবুক সমর্থক কথাটা ইচ্ছে করেই ব্যবহার করলাম কারন এই সমর্থকদের যাবতীয় কার্যকলাপ ফেসবুকে, নিজেদের গণ্ডির মধ্যে একে অপরের পিঠ চুলকানোতেই সীমাবদ্ধ। 

বাকি রইল তৃণমূল। এদের তো বদ্ধমূল ধারনা যে আমি বিজেপির হয়ে কাজ করি। এদের অঙ্ক হল হিন্দু জাগরণের যে কাজ আমি করছি সেটার অটোমেটিক রাজনৈতিক ফলশ্রুতি হল বিজেপির ভোট।

এমতাবস্থায় একটা জিনিস স্পষ্ট করে দেয়া দরকার যে আমার রাজনৈতিক আনুগত্য কোন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি নেই- না তৃণমূল না বিজেপি। সিপিএম হওয়ার তো প্রশ্নই নেই। নির্বাচনের সময় নাগরিক হিসাবে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করি তবে সেটা কখনই কোন নেতা বা নেত্রীর কথার উপর ভিত্তি করে নয়, কাজের উপর ভিত্তি করে।

তাই বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী বন্ধুদের পরিস্কার করে জানিয়ে দিতে চাই যে আমার প্রাথমিক লক্ষ্য হলো রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে, সাহসী হিন্দুদের নিয়ে, ছলে-বলে-কৌশলে, পশ্চিমবঙ্গকে জেহাদি আক্রমণ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা। এই কাজে, দলমতনির্বিশেষে, হিন্দুদের একতাবদ্ধ হবে। আগে সব হিন্দু একতাবদ্ধ হবে, তারপর লড়াই হবে, এরকম অলীক ধারণায় আমি বিশ্বাসী নই। কারণ ইতিহাস সাক্ষী যে সবাই কখনও একজোট হয়না, হতে পারেনা। আজ মাস্টার'দা বা ভগৎ সিং যদি সবার একজোট হওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকতেন, তাহলে দেশ স্বাধীন হতনা। এমতাবস্থায় একটি বিশেষ দলের হয়ে প্রচার করে অন্যান্য দলের হিন্দুদের দূরে সরিয়ে দিলে সেটা লক্ষ্যপূরণের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।

দেশভাগ হোক বা কাশ্মীর থেকে হিন্দু বিতাড়ন, কালিয়াচক হোক বা তেহট্ট, ইতিহাস সাক্ষী যে রাজনীতি করে সেই সর্বনাশ রোখা যায়নি। তাই, আবার রাজনীতির পাকেচক্রে জড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গর ভবিষ্যৎকে নিয়ে জুয়া খেলতে চাইনা। রাজনেতারা তাদের কাজ করুন আর আমরা আমাদের কাজ করে চলবো।

No comments:

Post a Comment