Sunday, February 28, 2021

জাভেদ শামিমের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি

জাভেদ শামিম "পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অফিসার"? হাসাইলে মোরে আনন্দবাজার। হ্যাঁ, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পদলেহন যদি পরিচ্ছন্নতা ও নিরপেক্ষতার সূচক হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তিনি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অফিসার কিন্তু বাস্তবটা হল যে জাভেদ শামিম, হুমায়ুন কবীর বা নজরুল ইসলামরা কখনও নিরপেক্ষ হতে পারেননা। তাদের ধার্মিক শিক্ষা নিরপেক্ষ হতে দেয়না। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পরে, হিন্দু সংহতির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছিল জাভেদ শামিমের নেতৃত্বে মমতা ব্যানার্জীর প্রশাসন।

২০১২ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী, রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে হিন্দু সংহতিকে চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালনের অনুমতি দিয়েও শেষ মুহূর্তে সেটা বাতিল করে দেয় কলকাতা কর্পোরেশন ও কলকাতা পুলিশ। প্রশাসনের এই খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করা হয় এবং বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জী সভার অনুমতি দেন কিন্তু তারপরেও কলকাতা পুলিশের তদানীন্তন যুগ্ম কমিশনার (সদর), জাভেদ শামিমের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ। আদালতের আদেশের পরেও এলাকা জুড়ে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা যাতে সমাবেশ না হতে পারে। বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জীর রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যায় সরকার এবং সেখানেও চরম তিরস্কৃত হয় তারা। এরপরেও জাভেদ শামিম তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে, নিজের পদের চরম অপব্যবহার করে, সভায় আগত হিন্দু সংহতির কর্মীদের ধমকাতে থাকেন। তার এই ন্যক্কারজনক কাজের বিরুদ্ধে পুনরায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু সংহতি এবং বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস আদেশ দেন যে ঐ অনুষ্ঠান যাতে সুষ্ঠভাবে হতে পারে সেটা কর্পোরেশন, যুগ্ম কমিশনার (সদর), মুচিপাড়া থানা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের নিশ্চিত করতে হবে। এরপর আর শামিম বাবুর কিছু করার থাকেনা, অনুষ্ঠান হতে দিতেই হয় কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতেই তপন'দাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপরেও কেউ যদি জাভেদ শামিমকে "পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির" বা নিরপেক্ষ অফিসার বলে সার্টিফিকেট দেয় তাহলে বলতেই হয় যে, "আস্তে কন কত্তা, ঘুড়ায় হাসবো"। জাভেদ শামিম হোক বা হুমায়ুন কবীর বা নজরুল ইসলাম - এদের একমাত্র আনুগত্য তাদের কৌমের স্বার্থরক্ষার প্রতি আর সেই কাজে তারা প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগায় আর আমরা বোকার মত, বিশদে না জেনেই, মিডিয়ার দেয়া সার্টিফিকেটের উপর বিশ্বাস করে ফেলি। ভুলে যাই যে দিনের শেষে মিডিয়াও একটা ধান্ধা যার লক্ষ্য মুনাফা লোটা।

No comments:

Post a Comment