Saturday, February 29, 2020

নতুন রূপ


আজ দিল্লীর দাঙ্গা নিয়ে মিডিয়াগুলির একাংশ যেভাবে নির্লজ্জ আর একপেশে সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেত যদি মোদী সরকার ২০১৬ সালে NDTV-র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারতো। দেশবিরোধী কাজে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও মোদী তখন NDTV-র বিরুদ্ধে এগোতে পারেননি। এক পা এগিয়েও, দুই পা পিছিয়ে আসতে হয়েছিল। শাস্তি নিয়ে সমঝোতা করে, শাস্তি প্রক্রিয়াটাই বাতিল করে দেয়া হয়েছিল।

আর এই রকম একাধিক ঘটনা কেন ঘটেছিল সেটা আমার অনেক পুরনো একটা পোস্টেই (https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10156231022014865&id=620989864) লিখেছি। হ্যাঁ, সেই সময়, দিল্লীর রাজনীতিতে নবাগত মোদী, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছিলেন। আর তার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল জেটলীর মত নেতাদের প্রতি তাঁর নির্ভরতা। জেটলী ছিলেন নেহরু ভাবধারার সেই নেতা যিনি সবার সাথেই রসেবশে থাকতে পছন্দ করতেন। এই কারণেই তিনি মোদী সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপালনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে, NDTV-র আইনি পরামর্শদাতা, সুহেল শেঠের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অরুণ জেটলী, প্রমোদ মহাজন, সুষমা স্বরাজ প্রমুখ নেতারা বাজপেয়ী আমলের নেতা যাদের সঙ্গে মোদী-শাহর রাজনীতি অচল।

আজ মোদী২ সরকারে জেটলী বা সুষমার মতন নেতারা নেই আর তাদের না থাকার ফল সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে স্পষ্ট। লক্ষ্য করে দেখুন, আজ কেজরিওয়াল সরকার কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা চালানোর অনুমতি দিচ্ছেন, দিল্লীর দাঙ্গা সম্পর্কে মমতা ব্যানার্জী সংযম দেখাচ্ছেন, এগুলি কিসের প্রতীক? এগুলো কি প্রমাণ করেনা যে দেশের স্বার্থ জড়িত এমন ঘটনা গুলিতে মোদী সরকার বিরোধীদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন?

বাজারে মমতা ব্যানার্জীর যা ইমেজ, তার প্রেক্ষিতে এই নীরবতা অনেক কিছুই বুঝিয়ে দেয়। আর সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গেই যদি দ্বিতীয় শাহিনবাগ হয় তাহলে আমি অবাক হবনা। বিশ্বস্ত সূত্রের মতে, ফুরফুরা থেকে প্রচুর ইন্ধন যোগানো হচ্ছে যাতে এই রাজ্যের পরিস্থিতিও দিল্লীর মত করা যায় কিন্তু মোদীর সমর্থনে বলীয়ান মমতা ব্যানার্জী কোন সাপকেই ফণা তুলতে দেবেননা বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে।

হ্যাঁ, আমি এখনও বিশ্বাস করি যে এই রাজ্যের প্রশাসন জেহাদি আগ্রাসনকে দমন করতে যথেষ্ট সক্ষম যদিনা তাদের উপর রাজনৈতিক চাপ থাকে। আত্মদীপ শুধু তাদের বিবেকের ডাকে সাড়া দেয়ার আবেদন রেখে যাবে।

No comments:

Post a Comment