এরপর, বিহারের নির্বাচনে বিজেপি খুব খারাপভাবে পরাজিত হলে, এই রকম সংগঠনের উপযোগিতা পুনরায় উপলব্ধি করেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ, এবং তারই ফলশ্রুতিতে শর্বাণী ফাউন্ডেশনকে রূপান্তরিত করা হয় অ্যাসোসিয়েশন অফ বিলিয়ন মাইন্ডস (ABM) নামক একটা NGO তে, যার দায়িত্ব পান দীপক প্যাটেল এবং হিমাংশু সিং।
ABM এর মূল দায়িত্ব পর্দার পিছনে বিজেপির পক্ষে জমি তৈরী করা। বর্তমানে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে যেভাবে স্ট্র্যাটেজি তৈরী করছেন, অমিত শাহর তত্ত্বাবধানে সেই একই কাজ করে ABM। পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২০২১ সালের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে, ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে এই সংগঠন। মোদীর সঙ্গে যতদিন 'সেটিং' ঠিকঠাক চলবে ততদিন বিজেপি এই রাজ্যের জন্যে না ঝাঁপালেও, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যাতে বিজেপিকে বিপাকে না পড়তে হয় সেই লক্ষ্যে নীরবে জমি তৈরীর কাজ করে চলেছে এই সংগঠন।
মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড, দিল্লী হাতছাড়া হওয়ার পরে, পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে মোদী ও শাহ কতটা আগ্রহী সেটার উত্তর সময়ের গর্ভে তবে জনশ্রুতি অনুযায়ী, এই রাজ্যে ABM এর কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন এই রাজ্যেরই একজন জনপ্রিয় হিন্দুত্ববাদী নেতা। জনশ্রুতি যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে আগামী ভোটে বিজেপি এই রাজ্যে হিন্দুত্বের ইস্যুতে মেরুকরণের মাধ্যমে নির্বাচনে গেলে আমি অবাক হবনা। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত যে আগামী বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে প্রশান্ত কিশোর ও অমিত শাহর স্ট্র্যাটেজির লড়াই। কে কতটা জনমতকে প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত করতে পারেন, সেটার উপরেই বিধানসভার ফলাফল নির্ভর করবে।
https://m.huffingtonpost.in/entry/how-modi-shah-turned-a-women-s-rights-ngo-into-a-secret-election-propaganda-machine_in_5ca5962ce4b05acba4dc1819?ncid=other_whatsapp_catgqis0hqm&utm_campaign=share_whatsapp
No comments:
Post a Comment