২০১৭ সালের বাজেটে ইলেক্টরাল বন্ড প্রস্তাব করার মাত্র চার দিন আগে, ২৮শে জানুয়ারি, মহামান্য কেন্দ্র সরকার উপলব্ধি করেন যে ব্যাঙ্কের দ্বারা বিক্রি হওয়া বন্ডের মাধ্যমে বেনামী অনুদান গ্রহণ করতে হলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইনে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন এবং তারপরেই অর্থমন্ত্রকের থেকে শনিবার একটা নোট পাঠানো হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে। ঐ দিনই বেলা ১-৪৫ মিনিটে পাঁচ লাইনের একটা ইমেইল পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে যেখানে তাদেরকে "খুব তাড়াতাড়ি জবাব" দিতে বলা হয়।
৩০শে জানুয়ারি, সোমবার, ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জবাব দেয়া হয় আর সেখানে বলা হয় যে ইলেক্টরাল বন্ড এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইনে পরিবর্তন খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। তারা বলেন যে এই সিদ্ধান্তের ফলে অর্থ পাচারের (money laundering) পরিমান বাড়বে এবং ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা নোটের গুরুত্ব হ্রাস পাবে যা ব্যাঙ্কের কার্যাবলীর মূল ধারার পরিপন্থী। নিজেদের মন্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানায় যে প্রস্তাবিত ইলেক্টরাল বন্ড বাস্তবে 'বিয়ারার বন্ডে' পরিণত হবে এবং অস্বচ্ছ ব্যবস্থার জন্ম দেবে যেখানে মালিকানা চিহ্নিত করা মোটেই সহজ হবেনা। ব্যাঙ্ক বলে, "Bearer instruments have the potential to become currency and if seized in sizeable quantities can undermine faith in banknotes issued by RBI. The bonds are bearer bonds and are transferable by delivery. Hence who finally and actually contributes the bond to the political party will not be known”।
এই সংশোধনী পাশ হওয়ার আগে, দেশের কর্পোরেট গ্রুপগুলিকে, তাদের বার্ষিক হিসাবে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে দেয়া অনুদানের হিসাব দেখাতে হত এবং সেই অনুদান কখনোই তাদের বিগত তিন বছরের গড় মুনাফার ৭.৫ শতাংশের বেশী হতে পারতনা। তাছাড়াও বিদেশী কোন কোম্পানিও ভারতের কোন রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিতে পারতনা। কিন্তু মোদী সরকারের এই আইন পরিবর্তনের পর এখন দেশীয় কোম্পানি, বিদেশী কোম্পানি এমনকি বাস্তবে অস্তিত্ব বিহীন বেনামী কোম্পানিগুলোও যত ইচ্ছা বন্ড কিনতে পারে এবং তাদের পছন্দসই দলে অনুদান দিতে পারে। আগের পোস্টেই লিখেছি যে আর্থিক বিষয়ক দপ্তরের সেক্রেটারির নোটের ভিত্তিতে, এই বন্ডের ক্রেতা ও গ্রহিতার পরিচয় ব্যাঙ্ক গোপন রাখবে এবং রাজনৈতিক দলগুলিও সেই লেনদেনের কোন হিসাব রাখতে হবেনা।
কংগ্রেসের দুর্নীতির সাথে বিজেপির দুর্নীতির তফাৎ একটাই - কংগ্রেস দুর্নীতি করে আইন ভেঙে আর বিজেপি দুর্নীতিকে আইনানুগ করার জন্যে, আইনটাকেই বদলে নেয়।
৩০শে জানুয়ারি, সোমবার, ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জবাব দেয়া হয় আর সেখানে বলা হয় যে ইলেক্টরাল বন্ড এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইনে পরিবর্তন খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। তারা বলেন যে এই সিদ্ধান্তের ফলে অর্থ পাচারের (money laundering) পরিমান বাড়বে এবং ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা নোটের গুরুত্ব হ্রাস পাবে যা ব্যাঙ্কের কার্যাবলীর মূল ধারার পরিপন্থী। নিজেদের মন্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানায় যে প্রস্তাবিত ইলেক্টরাল বন্ড বাস্তবে 'বিয়ারার বন্ডে' পরিণত হবে এবং অস্বচ্ছ ব্যবস্থার জন্ম দেবে যেখানে মালিকানা চিহ্নিত করা মোটেই সহজ হবেনা। ব্যাঙ্ক বলে, "Bearer instruments have the potential to become currency and if seized in sizeable quantities can undermine faith in banknotes issued by RBI. The bonds are bearer bonds and are transferable by delivery. Hence who finally and actually contributes the bond to the political party will not be known”।
সাধারণ অবস্থায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এরকম কড়া উত্তর সরকারকে বিষয়টা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য করতো কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে মনস্থির করে নিয়েছিলেন আর তাই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বক্তব্য ঐ দিনই খারিজ করে দেন রেভেনিউ সেক্রেটারি, হাসমুখ আদিয়া। তাঁর নোটে তিনি বলেন যে, "It apppears to me that the RBI has not understood the proposed mechanism of having pre-paid instruments for the purpose of keeping the identity of the donor secret, while ensuring the donation is made only out of fully tax paid money of a person" এবং সেটা পাঠিয়ে দেন আর্থিক বিষয়ক দপ্তরের সেক্রেটারি, তপন রায় এবং অর্থমন্ত্রী, অরুণ জেটলীকে। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চিঠি পাওয়ার পর, তাদের কর্মদিবসের প্রথম দিনেই সেটার উত্তর দেন তবুও হাসমুখ আদিয়া তার নোটে লেখেন যে, "This advice has come quite late at a time when the Finance Bill is already printed. We may, therefore, go ahead with our proposal"। এরপর ঐ দিনই নোটে সই করেন তপন রায় এবং অরুণ জেটলী।
এই সংশোধনী পাশ হওয়ার আগে, দেশের কর্পোরেট গ্রুপগুলিকে, তাদের বার্ষিক হিসাবে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে দেয়া অনুদানের হিসাব দেখাতে হত এবং সেই অনুদান কখনোই তাদের বিগত তিন বছরের গড় মুনাফার ৭.৫ শতাংশের বেশী হতে পারতনা। তাছাড়াও বিদেশী কোন কোম্পানিও ভারতের কোন রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিতে পারতনা। কিন্তু মোদী সরকারের এই আইন পরিবর্তনের পর এখন দেশীয় কোম্পানি, বিদেশী কোম্পানি এমনকি বাস্তবে অস্তিত্ব বিহীন বেনামী কোম্পানিগুলোও যত ইচ্ছা বন্ড কিনতে পারে এবং তাদের পছন্দসই দলে অনুদান দিতে পারে। আগের পোস্টেই লিখেছি যে আর্থিক বিষয়ক দপ্তরের সেক্রেটারির নোটের ভিত্তিতে, এই বন্ডের ক্রেতা ও গ্রহিতার পরিচয় ব্যাঙ্ক গোপন রাখবে এবং রাজনৈতিক দলগুলিও সেই লেনদেনের কোন হিসাব রাখতে হবেনা।
কংগ্রেসের দুর্নীতির সাথে বিজেপির দুর্নীতির তফাৎ একটাই - কংগ্রেস দুর্নীতি করে আইন ভেঙে আর বিজেপি দুর্নীতিকে আইনানুগ করার জন্যে, আইনটাকেই বদলে নেয়।
No comments:
Post a Comment