পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে আমার মনে হয়না যে মোদী, ২০২১ সালের নির্বাচনে, মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ইচ্ছুক বা প্রস্তুত। আর মোদীর সাথে দিল্লীতে শেষ বৈঠকের পর মমতাও সেটা বুঝে গেছেন।
কথাটা দলদাসদের কাছে অপ্রিয় হলেও, আমার মতে, বাস্তবে মমতার ক্ষমতায় থাকাই মোদীর কাছে সুবিধাজনক। এর অনেকগুলো কারণ আছে- ১) দেশের সব রাজ্যকে এক রঙে রাঙিয়ে তুললে সেটা বিদেশে ভারতের গণতন্ত্র সম্পর্কে মোটেই ভাল বিজ্ঞাপন হবেনা। ২) বাংলা আর কেরল হচ্ছে বিজেপির কাছে পাঞ্চিং ব্যাগের মত। এই দুই রাজ্যে হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচার ভাঙিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক লাভ। এই কারণেই উত্তর প্রদেশে কমলেশ তিওয়ারির মত হাইপ্রোফাইল হত্যা নিয়ে বিজেপির আইটি সেল নীরব থাকে আর জাঙ্গিপুর হত্যা নিয়ে সরব হয়। ৩) বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এমন শোচনীয় পর্যায়ে পৌছে গেছে যে সেটার পুনরুদ্ধার স্বল্পমেয়াদে সম্ভব নয় অথচ বিজেপি ক্ষমতায় আসলে, জনগণের প্রত্যাশার দায়ভার তাদেরকে বহন করতে হবে। ৪) পশ্চিমবঙ্গে দলের মুখ হিসাবে যোগ্য নেতার অভাব। ৫) ক্ষমতা থেকে সরে গেলে তৃণমূল দলটাই বিলুপ্ত হয়ে যাবে আর তখন তাদের হৃত যায়গা পুনরুদ্ধার করবে সিপিএম। যে কোন দিনে, মোদীর কাছে, প্রতিপক্ষ হিসাবে, কম্যুনিস্টদের থেকে মমতা অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য।
এই কারণে, এই রাজ্য থেকে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে মোদী যতটা উদ্যোগী ছিলেন, যেহেতু সেটা সরাসরি তাঁর সরকারের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতো, বিধানসভা নিয়ে অতটা উদ্যোগী হবেননা। কিন্তু এরপরেও দুটো 'কিন্তু' রয়ে যায়। প্রথম 'কিন্তু' হলেন, অমিত শাহ। মোদী অমিত শাহর মতামতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন আর শাহ যদি রাজনৈতিক অঙ্ক কষে, পশ্চিমবঙ্গ জয়ে দলের লাভ দেখেন, তাহলে মোদী নিঃসন্দেহে তার পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন। অমিত শাহর পরেই যে নামটা আসবে সেটা হলো রাজ্যসভা সাংসদ, স্বপন দাসগুপ্ত। দিল্লীতে মোদীর পড়শী এবং রাজনীতিতে নতুন চাণক্য স্বপন বাবুর মতামতও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
কথাটা দলদাসদের কাছে অপ্রিয় হলেও, আমার মতে, বাস্তবে মমতার ক্ষমতায় থাকাই মোদীর কাছে সুবিধাজনক। এর অনেকগুলো কারণ আছে- ১) দেশের সব রাজ্যকে এক রঙে রাঙিয়ে তুললে সেটা বিদেশে ভারতের গণতন্ত্র সম্পর্কে মোটেই ভাল বিজ্ঞাপন হবেনা। ২) বাংলা আর কেরল হচ্ছে বিজেপির কাছে পাঞ্চিং ব্যাগের মত। এই দুই রাজ্যে হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচার ভাঙিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক লাভ। এই কারণেই উত্তর প্রদেশে কমলেশ তিওয়ারির মত হাইপ্রোফাইল হত্যা নিয়ে বিজেপির আইটি সেল নীরব থাকে আর জাঙ্গিপুর হত্যা নিয়ে সরব হয়। ৩) বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এমন শোচনীয় পর্যায়ে পৌছে গেছে যে সেটার পুনরুদ্ধার স্বল্পমেয়াদে সম্ভব নয় অথচ বিজেপি ক্ষমতায় আসলে, জনগণের প্রত্যাশার দায়ভার তাদেরকে বহন করতে হবে। ৪) পশ্চিমবঙ্গে দলের মুখ হিসাবে যোগ্য নেতার অভাব। ৫) ক্ষমতা থেকে সরে গেলে তৃণমূল দলটাই বিলুপ্ত হয়ে যাবে আর তখন তাদের হৃত যায়গা পুনরুদ্ধার করবে সিপিএম। যে কোন দিনে, মোদীর কাছে, প্রতিপক্ষ হিসাবে, কম্যুনিস্টদের থেকে মমতা অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য।
এই কারণে, এই রাজ্য থেকে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে মোদী যতটা উদ্যোগী ছিলেন, যেহেতু সেটা সরাসরি তাঁর সরকারের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতো, বিধানসভা নিয়ে অতটা উদ্যোগী হবেননা। কিন্তু এরপরেও দুটো 'কিন্তু' রয়ে যায়। প্রথম 'কিন্তু' হলেন, অমিত শাহ। মোদী অমিত শাহর মতামতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন আর শাহ যদি রাজনৈতিক অঙ্ক কষে, পশ্চিমবঙ্গ জয়ে দলের লাভ দেখেন, তাহলে মোদী নিঃসন্দেহে তার পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন। অমিত শাহর পরেই যে নামটা আসবে সেটা হলো রাজ্যসভা সাংসদ, স্বপন দাসগুপ্ত। দিল্লীতে মোদীর পড়শী এবং রাজনীতিতে নতুন চাণক্য স্বপন বাবুর মতামতও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
দ্বিতীয় 'কিন্তু' হল এই রাজ্যের জনগণের মনোভাব। ২০২১ এর নির্বাচন যদি অবাধ নির্বাচন হয়, তাহলে বিজেপি চাক বা নাই চাক, তৃণমূলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোট বিজেপির বাক্সে গিয়ে, তাদেরকেই জয়মাল্য পরাতে পারে। সেক্ষেত্রে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিকল্প পরিস্থিতি নিয়ে পুনরায় পর্যালোচনা করতে হবে।
No comments:
Post a Comment