সাল ২০০৮, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্যে ৭৫% বৃত্তি ঘোষণা করলেন মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গুজরাটের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের তোষণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন হিন্দু হৃদয় সম্রাট। কেন্দ্রের এই তোষণমূলক সিদ্ধান্ত গুজরাটে চলবে না, সিদ্ধান্ত নিলেন মোদী।
কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার না মানায়, আদম চাকি নামে ভুজের এক কংগ্রেসি কর্মী গুজরাট হাইকোর্টে দায়ের করলেন জন স্বার্থ মামলা। গুজরাটের তৎকালীন মোদী সরকার, কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক এবং জনগণের মধ্যে, ধর্মের ভিত্তিতে, বিভেদ করার চক্রান্ত বলে, সেই জন স্বার্থ মামলার বিরোধিতা করেন।
গুজরাট হাইকোর্টের দু'টি ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলায় দুইরকম রায় দেন। এবং ২০১৩ সালে ৫ জন বিচারক দ্বারা গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেন যে কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক ধারাকে লঙ্ঘন করেনি। গুজরাট সরকার হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টে।
তারপর ৬ বছরে সবরমতী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। গুজরাটের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে ছিল। অবশেষে গত ১৭ই অক্টোবর, সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলাকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দেন কারণ কেন্দ্রের মোদী সরকার ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘুদের প্রদেয় বৃত্তির পরিমান ৭৫% থেকে বাড়িয়ে ১০০% করে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার দ্বারা সংখ্যালঘুদের জন্যে ৭৫% বৃত্তিকে অসাংবিধানিক এবং জনগণের মধ্যে, ধর্মের ভিত্তিতে, বিভেদ করার চক্রান্ত বলে অবিহিত করা মোদী নিজে প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেটা ১০০% করে দিয়েছেন। এখন অবশ্য সেটা আর অসাংবিধানিক এবং জনগণের মধ্যে, ধর্মের ভিত্তিতে, বিভেদ করার চক্রান্ত নয়, বরং 'সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাসের' অঙ্গ।
আগেই বলেছিলাম যে হিন্দু ছেলেরা সুন্নত আর মেয়েরা খৎনা করিয়ে নিন, NRC থেকে বৃত্তি - সবকিছুতেই বাড়তি অধিকার পেয়ে যাবেন।
https://timesofindia.indiatimes.com/india/centre-to-fully-fund-minority-scholarships/articleshow/71860501.cms
কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার না মানায়, আদম চাকি নামে ভুজের এক কংগ্রেসি কর্মী গুজরাট হাইকোর্টে দায়ের করলেন জন স্বার্থ মামলা। গুজরাটের তৎকালীন মোদী সরকার, কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক এবং জনগণের মধ্যে, ধর্মের ভিত্তিতে, বিভেদ করার চক্রান্ত বলে, সেই জন স্বার্থ মামলার বিরোধিতা করেন।
গুজরাট হাইকোর্টের দু'টি ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলায় দুইরকম রায় দেন। এবং ২০১৩ সালে ৫ জন বিচারক দ্বারা গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেন যে কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক ধারাকে লঙ্ঘন করেনি। গুজরাট সরকার হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টে।
তারপর ৬ বছরে সবরমতী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। গুজরাটের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে ছিল। অবশেষে গত ১৭ই অক্টোবর, সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলাকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দেন কারণ কেন্দ্রের মোদী সরকার ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘুদের প্রদেয় বৃত্তির পরিমান ৭৫% থেকে বাড়িয়ে ১০০% করে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার দ্বারা সংখ্যালঘুদের জন্যে ৭৫% বৃত্তিকে অসাংবিধানিক এবং জনগণের মধ্যে, ধর্মের ভিত্তিতে, বিভেদ করার চক্রান্ত বলে অবিহিত করা মোদী নিজে প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেটা ১০০% করে দিয়েছেন। এখন অবশ্য সেটা আর অসাংবিধানিক এবং জনগণের মধ্যে, ধর্মের ভিত্তিতে, বিভেদ করার চক্রান্ত নয়, বরং 'সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাসের' অঙ্গ।
আগেই বলেছিলাম যে হিন্দু ছেলেরা সুন্নত আর মেয়েরা খৎনা করিয়ে নিন, NRC থেকে বৃত্তি - সবকিছুতেই বাড়তি অধিকার পেয়ে যাবেন।
https://timesofindia.indiatimes.com/india/centre-to-fully-fund-minority-scholarships/articleshow/71860501.cms
No comments:
Post a Comment