Sunday, July 5, 2020

শ্রী তপন ঘোষ ও বঙ্গসমাজ

তপনদা করোনা আক্রান্ত হয়ে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর, এখন যারা তপনদার কথা ও কাজের কথা ভেবে আক্ষেপ করছেন তাদের জন্যে গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজা করলাম। তপনদা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের জন্যে কি করেছে সেটার মূল্যায়ন তার সমসাময়িক হিন্দু সমাজ করতে পারেনি আর সেটা সমাজের দুর্ভাগ্য, তপনদার নয়। তপনদা কর্মযোগী, নদীর স্রোতের মত বয়েই যাবেন কিন্তু আশঙ্কা করছি যে তাকে চিনতে না পারার মূল্য দেয়ার জন্যে হিন্দু সমাজ প্রস্তুত তো?

বড্ড দেরী করে ফেলেছেন। এটা শুধু আপনার দোষ নয়। এটা আমাদের জাতির দোষ। জাতিটা বড্ড বুড়ো হয়ে গেছে। পুড়লে সাধু উড়লে ছাই, তবে সাধুর গুন গাই। কিন্তু তখন আর গুন গেয়ে কি হবে? সেই সাধু তো আর কিছু করতে পারবে না। আমেরিকার হিন্দুরা ২০০৬ সালে তপনদাকে চিহ্নিত (identify) করেছিল। স্বীকৃতি দিয়েছিল। বিপুলভাবে সাহায্য করেছিল। তাকে তিনবার আমেরিকায় নিয়ে গেছে। ওরাই দাদার একবার নেপাল, একবার লন্ডন যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এমনকি ইজরায়েলও যে গেছেন সেটাও ওদেরই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায়।

আপনারা একটু নিজেদের সঙ্গে ওদের তুলনা করে দেখুন। ওরা জানতে পারল, বুঝতে পারল, আপনারা এত কাছে থেকেও পারলেন না কেন? ওই স্থবিরতা। স্থিতি জাধ্য। Inertia. এটাই তমোগুনের চিহ্ন। হিন্দুরা নির্বোধের মতো একে সত্ত্বগুণ ভাবে। স্বামীজি বলেছিলেন, সারা দেশে রজোগুণের বন্যা বইয়ে দে। খুব কম হয়েছে। 

যাই হোক, বড্ড দেরী হয়ে গেছে। যদি এ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন, তাহলে সবাইকে বলে যান, উঠতি সূর্যকে নমস্কার করতে। ডুবন্ত সূর্যকে নয়। আর যৌবনকে স্বীকৃতি দিতে ও ভরসা করতে। সাদা মাথাকে নয়।

No comments:

Post a Comment