বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি, বুঝে নিক দুর্বৃত্ত!
হ্যাঁ, বাংলার মানুষ সেটা বুঝে নিয়েছে বলেই ২৩টা আসনে লড়াই করে ২১টা আসনেই জামানত জব্দ হয়েছে সিপিএমের। যারা এককালে মনে করতো যে সিপিএম সাম্রাজ্যের সূর্য কখনও অস্ত যেতে পারেনা আজ তাদেরই এই ভোট-ভিখিরির দশা।
এই কারণেই সিপিএমের নেতা-কর্মীরা মমতা ব্যানার্জীর উপর চরম ক্ষুব্ধ। নন্দনে স্কচে চুমুক দিয়ে 'সংস্কৃতি চর্চা' করা আঁতেলরা কখনও ভাবতে পারেনি যে আটপৌরে শাড়ি ও হাওয়াই চটি পরা কেউ তাদের শুধু ক্ষমতা থেকে ছুঁড়েই ফেলবেনা, বঙ্গ রাজনীতিতেও অপাংতেয় করে দেবে। এই কারণেই মমতার প্রতি তাদের রাগ, ঘৃণা ও বিদ্বেষ শুধু রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগতও বটে।
তবে গত এক যুগে তারা এটাও বুঝেছে দমনের রাজনীতিতে মমতা ব্যানার্জী তাদের গুরু আর তাকে সরানোর ক্ষমতা তাদের নেই। তাই অধিকাংশ বামই তলায় পুটকি লাগিয়ে রাম হয়েছে যাতে বিজেপি'কে দিয়ে মমতাকে সরানো যায়। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক কিন্তু বাস্তব যে বর্তমানে রাজ্য বিজেপির তথাকথিত ইন্টেলেকচুয়াল গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ সেই বাম থেকে রাম হওয়াদেরই হাতে। এরা মমতা ব্যানার্জী'র বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও মজার কথা হচ্ছে এদের অধিকাংশেরই বুদো ভটচাযের নাম শুনলে এখনও চোখের কোনটা চিকচিক করে আর বুকের বাম দিকটা চিনচিন করে।
মমতা ব্যানার্জী 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'-এর মতন কোন জনপ্রিয় প্রকল্পে ভর দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে গেলে এরা জনগণের চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে দেয় কারণ জনগণ তাদের প্রাক্তন গুরুঠাকুরদের জামানত জব্দ করে দিয়েছে কিন্তু 'শাদী শগুন' বা 'লাডলি বহেনা' নিয়ে টুঁশব্দ করেনা পাছে এখনকার বাঁধা বাবুদের গোঁসা হয়। এদের মমতা বিদ্বেষ রাজ্য বিজেপি'কেও বিপথে চালিত করছে আর তাদের প্রভাবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেয়ার জন্যে জনগণকে 'ভিক্ষাজীবী' জাতীয় কথা বলে নিজেদের জনগণ থেকে আরও দূরে সরিয়ে নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি।