🔴 ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
🟡 ভারতে দু'জন মহিলা, প্রতিভা দেবীসিং পাটিল ও দ্রৌপদী মূর্মু দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন।
🟢 ভারতের ২৪ জন মহিলা বিভিন্ন রাজ্য/কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের রাজ্যপাল/লেঃ গভর্নর পদে আসীন ছিলেন অথবা আছেন।
🔵 ভারতে ১৬ জন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হয়েছেন -
১. সুচেতা কৃপালনী (উঃ প্রঃ)
২. শশিকলা কাকোদকর (গোয়া)
৩. আনয়ারা তৈমুর (আসাম)
৪. নন্দিনী সতপথী (ওড়িশা)
৫. মেহবুবা মুফতি (জঃ ও কাঃ)
৬. শীলা দীক্ষিত (দিল্লি)
৭. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (পঃ বঃ)
৮. মায়াবতী (উঃ প্রঃ)
৯. রাজিন্দর কৌর ভাট্টাল (পাঞ্জাব)
১০. জানকী রামচন্দ্রন (তাঃ নাঃ)
১১. সুষমা স্বরাজ (দিল্লি)
১২. রাবরী দেবী (বিহার)
১৩. বসুন্ধরা রাজে (রাজস্থান)
১৪. জয়ললিতা (তাঃ নাঃ)
১৫. উমা ভারতী (মঃ প্রঃ)
১৬. অনাদিবেন প্যাটেল (গুজরাট)
🟠 ভারতে ১০০ জনেরও বেশী মহিলা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ, বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক ও বিধান পরিষদে আসীন আছেন বা ছিলেন।
প্রায় এক দশক ক্ষমতাসীন থাকার পর হঠাৎ একদিন মনে হলো যে রাজনীতিতে মহিলাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে আর পেশ করা হলো 'নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম' বা মহিলা সংরক্ষণ আইন। শুধু পেশ হওয়া নয়, নতুন আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত প্রথা ভেঙে, সেই বিল সিলেক্ট কমিটিতে না গিয়ে পাশও হয়ে গেল আর সেটাও কোন সংশোধনী ছাড়াই কারণ কোনও দলই লাভের গুড় ছাড়তে বা বিরাট সংখ্যক মহিলা ভোটারদের কাছে অপ্রিয় হতে রাজী নয়।
সংবিধানের এত বড় একটা সংশোধন হয়ে গেল কিসের ভিত্তিতে? এই সংশোধনী পেশ করার আগে সরকার কি রাজনীতিতে মহিলাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে কোন সার্ভে করিয়েছিল? ভারত ছাড়া পৃথিবীর আর কোন দেশে কি রাজনীতিতে মহিলাদের এত ব্যপক অংশগ্রহণ দেখা যায়? দু'টি প্রশ্নেরই উত্তর হলো - "না"। আধুনিক গণতন্ত্রের পীঠস্থান বলে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত কোন মহিলাকে নিজেদের রাষ্ট্রপ্রধান বলে নির্বাচন করতে পারেনি কিন্তু ভারত সেটা হেলায় একাধিকবার করেছে আর তার একমাত্র কারণ হলো ভারত হিন্দুবহুল দেশ।
হ্যাঁ, কেবলমাত্র হিন্দুবহুল দেশ বলেই রাজনীতিতে মহিলাদের এই অংশগ্রহণ দেশবাসী খোলা মনে মেনে নিয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে বহুগুণ বেশী মহিলারা রাজনীতিতে সক্রিয় ও প্রশংসনীয় ভূমিকা নিয়েছেন। কারণ হিন্দুদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সংস্কার মানুষের লিঙ্গের ভিত্তিতে বিচার করতে শেখায়না। কিন্তু দেশবাসীর এত সদর্থক মানসিকতার পরেও, প্রায় এক দশক শাসন করার পর, শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নরেন্দ্র মোদী সরকার যখন "রাজনীতিতে মহিলাদের সাথে বৈষম্য"র অজুহাত দিয়ে আইনে বদল করেন তখন সেটাকে হিন্দুদের উদার মানসিকতার প্রতি অপমান ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না।
No comments:
Post a Comment