Monday, February 14, 2022

ভারতীয় না ভারতের?

আগেও বলেছি আর আবারও বলছি যে ভারতে বসবাসকারী হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে মিলনের ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা হল অসভ্য আরবী সংস্কৃতি ও মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ যা তাদেরকে বসবাসকারী দেশ ও সেখানকার সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বদলে সেটাকে অপমানিত করার ও ধ্বংস করার শিক্ষা দেয়।


ভারতের মুসলমানরা যদি এদেশে আগত অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মত ভারতের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে তাদের পৃথক ধর্মাচরণ কখনই তাদের সাথে হিন্দুদের বৈরীতার সম্পর্ক তৈরি করবেনা। সনাতন ধর্মের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী, গৌতম বুদ্ধকে যদি হিন্দুরা বিষ্ণুর দশাবতারের একজন হিসাবে মেনে নিতে পারে তাহলে আমি, প্রসূন মৈত্র, গ্যারান্টি দিচ্ছি হিন্দুদের তেত্রিশ কোটি দেবদেবীর সাথে মহম্মদকেও জুড়ে নিতে হিন্দুদের বিন্দুমাত্র আপত্তি থাকবেনা।


কিন্তু সেক্ষেত্রে একমাত্র শর্ত হলো এদেশের সনাতন ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে চলা। ব্যাপারটা এমন কিছু কঠিনও নয় কারণ বিশ্বের বৃহত্তম মুসলমান জনসংখ্যার দেশ, ইন্দোনেশিয়াতে আজও সনাতন সংস্কৃতিকে উপযুক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। তাদের উপাসনা পদ্ধতির ভিন্নতা কখনোই সংস্কৃতির পথে বাধা হয়ে যায়নি। ভারতে এই প্রথার একমাত্র বাধা হলো আরবি সাম্রাজ্যবাদ। অর্থের জোরে তারা ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের, ভারতীয় মুসলমানের বদলে ভারতের মুসলমান বানিয়ে রেখেছে।


ব্যাপারটা যদি একটু গোলমেলে লাগে তাহলে বোঝার জন্যে RSS-এর উদ্যোগে গড়ে ওঠা রাষ্ট্রীয় মুসলিম মঞ্চ আর মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের উদাহরণ দেখুন। যতক্ষণ প্রাথমিক শব্দ রাষ্ট্রীয় ছিল ততক্ষণ এই সংগঠনের উদ্যোক্তারা বসে বসে মাছি মেরেছেন আর নাম বদলে মুসলিম-এ প্রাথমিকতা দেয়ার পরেই সংগঠনের ব্যপ্তি ঘটেছে। এটা আলাদা প্রশ্ন যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের নামের মধ্যে হিন্দু শব্দ না থাকা সত্ত্বেও কেন আলাদা মুসলিম মঞ্চ তৈরী করতে হলো আর তৈরী করে কি বার্তা দেয়া হলো। একই যুক্তি কম্যুনিস্টদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যারা চিরকাল ভারতের of India) কম্যুনিস্ট পার্টি রয়ে গেল, কখনোই ভারতীয় (Indian) কম্যুনিস্ট পার্টি হতে পারলো না।

No comments:

Post a Comment