Thursday, February 10, 2022

জেহাদি পরিকল্পনা ও আপনার ভবিষ্যৎ

বিগত পাঁচ বছরে মাত্র ৬১০ জন কাশ্মীরী হিন্দু নিজেদের সম্পত্তি ফেরত পেয়েছেন। কাগজে সম্পত্তি ফেরত পেলেও, এদের মধ্যে কতজন, নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে সুনিশ্চিত হয়ে, বাস্তবে সেই সম্পত্তিতে বসবাস করছেন সেই তথ্য প্রকাশিত হয়নি। তবে পাঁচ বছরে ৬১০ জন মানে প্রতি বছর গড়ে ১২০ জন মানে মাসে মাত্র ১০ জন।


ভাবুন, কেন্দ্রে গত সাড়ে সাত বছর ধরে নরেন্দ্র মোদী সরকার, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী, সারা দেশে জাতীয়তাবাদের জোয়ার অথচ তারপরেও দিল্লী নিরাপত্তা দিতে পারেনি কাশ্মীরের বিতাড়িত হিন্দুদের। এখন পরিকল্পনা হচ্ছে যে তাদেরকে ট্রান্সিট ক্যাম্পে রাখার ঠিক যেমন হিটলারের আমলে ইহুদিদের ঘেটো বানিয়ে রাখা হতো। কাশ্মীরের মূল ধারায় তারা কোনদিনই যুক্ত হতে পারবেনা যতদিন না কেন্দ্র সরকার, বাজপেয়ী প্রণীত ইন্সানিয়ৎ, জমহুরিয়াৎ আর কাশ্মীরিয়ৎ, যা আদতে ইসলামিয়তের মায়া থেকে বেরিয়ে, উপত্যকার জনবিন্যাসের ভারসাম্য ঘটাবেন।


দিল্লীর নাকের ডগায় থাকা কাশ্মীরে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে ভারত সরকার ব্যর্থ হয়েছে তারা সুদূর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে পারবে বলে এখনও বিশ্বাস করেন? জনসংখ্যার বিন্যাস বদল হওয়ার সাথে সাথেই পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম এগিয়ে চলেছে কাশ্মীর হওয়ার পথে আর কর্ণাটক, কেরালা রাজ্যগুলি এগিয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ বা আসাম হওয়ার পথে। আজ থেকে দশ-পনেরো বছর আগেও, বারাসাত, বসিরহাট সহ রাজ্যের অন্যান্য সীমান্ত সন্নিহিত অঞ্চলে গিয়ে আপনি ক'জনকে বোরখা, হিজাব, লুঙ্গি বা টুপি পরে রাস্তায় চলতে দেখতেন? আজ সেই যায়গাগুলিতেই আবার গিয়ে দেখুন, বাজী রাখছি, মনে হবে বাংলাদেশে এসে গেছেন। এটাই ইসলামের বিস্তারের স্বাভাবিক নিয়ম। সংখ্যাবৃদ্ধির সাথে সাথেই নিজেদের আলাদা আইডেন্টিটি প্রকাশ হতে থাকে, দাবী বাড়তে থাকে।


কর্ণাটকের বোরখা বিতর্কও একই পরিকল্পনার অঙ্গ। ২০০১ সালের জনগণনাতে দক্ষিণ কর্ণাটকে, যে এলাকার একটি কলেজে ইদানীং বোরখা বিতর্ক শুরু হয়েছে, মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৪,১৮,৯০৪ জন অর্থাৎ ২২.০৭ শতাংশ আর ২০১১ সালেই সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৫,০১,৮৯৬ জন অর্থাৎ ২৪.০২ শতাংশে। ২০২১ এর গণনা প্রকাশিত হলে দেখবেন সেটা হয়তো ২৬ শতাংশ পেড়িয়ে গেছে আর তাই এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে বোরখার দাবী ঠিক যেভাবে তেহট্টের বিদ্যালয়ে, নবী দিবস পালনের দাবীতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল সরস্বতী পূজা। মহরমের জন্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খন্ডে স্থগিত করে দেয়া হয়েছিল দুর্গাপূজার বিসর্জন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে পশ্চিমবঙ্গে বিসর্জন বন্ধ করেছিল দিদি'র সরকার, ঝাড়খন্ডে বন্ধ করেছিল বিজেপি সরকার আর পাটনা'তে একই কাজ করেছিল বিজেপির শরীক, নীতিশ কুমারের সরকার।


এতকিছুর পরেও যদি আপনি আগত দিনের ছবি দেখতে না পারেন এবং রাজনৈতিক দল বা তাদের নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের উপরে ভরসা করেই নিজের ভাগ্য সঁপে দেন তাহলে আপনার চিন্তাশক্তি ও বাস্তববোধের উপর প্রশ্নচিহ্ন উঠতে বাধ্য। আপনার পরিবার ও সম্পত্তি রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব একান্তই আপনার। ফায়ার ব্রিগেড আছে বলে বাড়িতে যদি অগ্নিনির্বাপণের কোন ব্যবস্থা না রাখেন তাহলে ক্ষতিটা আগুন বা সরকারের নয়, আপনারই হবে আর দায়টা আপনাকেই নিতে হবে।

No comments:

Post a Comment