গত ১২ই ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে, এই ফেসবুকেই লিখেছিলাম যে দিল্লীর রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ থাকার ফলে নরেন্দ্র মোদীকে কিভাবে অরুণ জেটলীর মত নেতাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে ছিলেন। সেই পোস্টের লিঙ্কও দিয়ে দিলাম আগ্রহীরা লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। (https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10156231022014865&id=620989864)। সেদিনই বলেছিলাম যে অরুণ জেটলী, সুষমা স্বরাজ বা রাজনাথ সিং দের সরকারে নেয়াটা মোদীর ইচ্ছা নয়, বাধ্যবাধকতা। রাজধানীর রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার কারণে বিজেপির এই প্রবীণ নেতানেত্রীরা প্রত্যেকেই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদের উপযুক্ত বলে মনে করতেন, কিন্তু দেশের লোকের, তাদের উপর, সেই বিশ্বাস ছিলনা।
পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে, দিল্লীর রাজনীতিতে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর, আজ দেখুন জেটলী ও স্বরাজ - দু'জনেই সরকারের বাইরে। উত্তর প্রদেশের রাজনীতির সুবাদে রাজনাথ সিংকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব দেয়া হলেও, Appointments Committee of the Cabinet এবং Cabinet Committee on Political Affairs এর মত গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে তিনি ব্রাত্য। আরেকজন প্রবীন নেতা, নীতিন গডকরি ও CCS এর মত গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে জায়গা পাননি। মোট আটটা কমিটির প্রত্যেকটাতেই একটা নাম Common- অমিত শাহ - মোদীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত সঙ্গী।
২০১৪ সালের মোদী, দিল্লীর পুরনো নেতাদের প্রভাব ও রাজনীতির সাথে অপরিচিত হলেও, ২০১৯ এর মোদী অনেকটাই পরিণত। সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাকে বাড়তি মনোবল যুগিয়েছে। তাই আগামীদিনে রাজনাথ বা গডকড়িদের প্রভাব কমতে থাকবে আর বাড়বে সীতারামন, পীযুষ গোয়েল আর জয়শঙ্করদের প্রভাব। নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন শাহ আর দোভাল। শাহ যদি যুগপৎ দল আর মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলান, যদি বিজেপির সংবিধান অনুসারে সেটা সম্ভব নয়, তাহলে আমি অবাক হবনা কারণ এই কাজে, আজকের দিনে মোদীর কাছে শাহ-র চেয়ে ভাল কেউ নেই। বাকি রইল সংবিধানের কথা, মোদীর পক্ষে সেটা বদলানো কোন বড় ইস্যু নয়। After all, মানুষের জন্যে আইন, আইনের জন্যে মানুষ নয়।
পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে, দিল্লীর রাজনীতিতে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর, আজ দেখুন জেটলী ও স্বরাজ - দু'জনেই সরকারের বাইরে। উত্তর প্রদেশের রাজনীতির সুবাদে রাজনাথ সিংকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব দেয়া হলেও, Appointments Committee of the Cabinet এবং Cabinet Committee on Political Affairs এর মত গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে তিনি ব্রাত্য। আরেকজন প্রবীন নেতা, নীতিন গডকরি ও CCS এর মত গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে জায়গা পাননি। মোট আটটা কমিটির প্রত্যেকটাতেই একটা নাম Common- অমিত শাহ - মোদীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত সঙ্গী।
২০১৪ সালের মোদী, দিল্লীর পুরনো নেতাদের প্রভাব ও রাজনীতির সাথে অপরিচিত হলেও, ২০১৯ এর মোদী অনেকটাই পরিণত। সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাকে বাড়তি মনোবল যুগিয়েছে। তাই আগামীদিনে রাজনাথ বা গডকড়িদের প্রভাব কমতে থাকবে আর বাড়বে সীতারামন, পীযুষ গোয়েল আর জয়শঙ্করদের প্রভাব। নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন শাহ আর দোভাল। শাহ যদি যুগপৎ দল আর মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলান, যদি বিজেপির সংবিধান অনুসারে সেটা সম্ভব নয়, তাহলে আমি অবাক হবনা কারণ এই কাজে, আজকের দিনে মোদীর কাছে শাহ-র চেয়ে ভাল কেউ নেই। বাকি রইল সংবিধানের কথা, মোদীর পক্ষে সেটা বদলানো কোন বড় ইস্যু নয়। After all, মানুষের জন্যে আইন, আইনের জন্যে মানুষ নয়।
No comments:
Post a Comment