Thursday, November 15, 2018

সময়

ভারতকেশরী, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় একটা কথা বলেছিলেন, "অতীতকে গ্রহণ করো যুগানুকূল করে আর বিদেশী সংস্কৃতিকে গ্রহণ করো দেশানুকূল করে"।

অতীত আমাদের কাছে প্রেরণা, শিক্ষা কিন্তু অতীত যদি বর্তমানকে সর্বদা নিয়ন্ত্রণ করে যায় তাহলে ভবিষ্যত অনিশ্চিত হতে বাধ্য। হিন্দু সমাজ বরাবরই গতিশীল। হ্যাঁ, টুলো পন্ডিতরা কিছু সময়ের জন্যে তার গতিপথ রোধ করতে পারলেও, গতিশীলতাকে ধ্বংস করতে পারেনি আর তাই হিন্দু সমাজ বিভিন্ন যুগে সংস্কারিত হয়েছে বুদ্ধ, নানক, রামমোহন, বিদ্যাসাগর, নারায়ণ গুরু বা আম্বেদকরের মত ব্যক্তিদের নিরলস প্রচেষ্টায়।

উল্টোদিকে, মুসলিম সমাজের মধ্যে সেই গতিশীলতারই অভাব। ফলে এখনও তারা ১৪০০ বছর আগের স্মৃতি আকড়ে বসে আছে। সুদূর আরবে, জলের অভাবে শুধু হাতের তালু ও পায়ের পাতা ভিজিয়ে প্রার্থনা করা হত বলে নদীমাতৃক এই দেশে এখনও তারা সেই অভ্যাস চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশী সংস্কৃতিকে অনুকরণ করতে গিয়ে তারা নিজেদের সংস্কারিত করতে পারেনি অথচ খোদ আরবে এখন মসজিদ ভেঙে রাস্তা, হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে।

আরব জানে যে তার নিজের দেশের লোকসংখ্যা দিয়ে পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তাই তারা বিভিন্ন দেশে আরবীদের ক্লোন তৈরি রাখছে যারা থাকবে অন্য দেশে কিন্তু আনুগত্য থাকবে আরবের প্রতি। আর এই কাজে আরবের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল ইসলাম।

ইসলামের কারণেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী মুসলিমরা সেদেশের সংস্কৃতির সাথে একাত্ম হতে পারছেনা। আর একাত্ম না হতে পারার জন্যেই সবসময় তাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীণতা কাজ করে। আর সেটাকেই কাজে লাগায় আরবীয় সংস্কৃতি। খনিজ তেলের কল্যাণে আরবের অর্থের অভাব নেই আর সেই অর্থের একটা বড় অংশই ব্যয় করা হচ্ছে অমুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলিমদের মধ্যে নিরাপত্তাহীণতার বোধ তৈরি করার কাজে।

আজ উত্তরপ্রদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের কোন মুসলিম জেহাদের নামে দেশ বিরোধী কোন কাজে লিপ্ত হয়ে, নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে নিহত হলে আরবের কিছু যায় আসেনা কিন্তু তার মা বা স্ত্রী কি একইরকম নির্লিপ্ত থাকতে পারে? তার অনুপস্থিতি কি তার পরিবারের উপর প্রভাব ফেলেনা? অবশ্যই  ফেলে কিন্তু সেটা যাতে প্রকাশ না পায় তাই আরবের টাকায় সেই মৃত্যুকে গরিমান্বিত করার চেষ্টা করা হয় শহীদের মর্যাদা দিয়ে কিন্তু যে দেশের মাটিতে তাদের জন্ম হচ্ছে, তারা বড় হচ্ছে, এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মও জন্ম নেবে সেই দেশের ক্ষতি করলে লাভটা কার হবে? এই প্রশ্ন যাতে তাদের মনে না আসে তাই প্রতি শুক্রবার করে চলে মগজ ধোলাই যাতে মুসলিমদের বসবাসকারী দেশের প্রতি নয়, আরবের প্রতি আনুগত্য বজায় থাকে।

No comments:

Post a Comment