আরে
মশাই, নদীয়ার
ঘটনা নিয়ে আপনি খামোখা রাতের ঘুম নষ্ট করতে যাবেন কেন? দেগঙ্গা
থেকে ক্যানিং, পাঁচলা থেকে
নৈহাটি - এরকম ঘটনা তো কতই ঘটছে। সব সাজানো ঘটনা। আরে বাবা, সেরকম
সিরিয়াস কিছু হলে কি আনন্দবাজার বা টাইমসের বাঘা বাঘা সাংবাদিকরা চুপ করে থাকতো? তবে
একটা ব্যাপার কি, দুস্টুলোকেরা বলে ওরা নাকি সাংবাদিক নয়, প্রেশ্যা।
যে ভাল দড় দেয়, তার কোলেই ঢলে পরে। এই যেমন ২০১৩ সালে ক্যানিং-এ আহমেদ হাসান ইমরানের নেতৃত্বে
হিন্দুদের দুটো গ্রাম পুড়িয়ে দেবার খবর আনন্দবাজার একবছর ধরে চেপে
রেখে তারপর প্রকাশ করলো। কারণ তখন দিদির সরকারের সঙ্গে তার মধুচন্দ্রিমা চলছিল। আবার
আবার উস্তিতে যখন মোল্লারা হিন্দুদের বাজার লুট করলো তখন আনন্দবাজার কি লিখলো? ২০০০
দুষ্কৃতী নাকি এই কাজ করেছে। লক্ষ্য করুন শব্দটা –দুষ্কৃতী, মুসলিম নয়। কখনও শুনেছেন ২০০০ দুষ্কৃতী একযোগে আক্রমন করে? এই
জন্যেই এরা প্রেশ্যা। গত ২২শে এপ্রিল দক্ষিন ২৪ পরগনার মল্লিকপুরে ২০০০ হিন্দুকে
গ্রামছাড়া করলো মুসলিমরা, কোন কাগজে সেই খবর দেখেছেন? আর দেখবেনই বা কেন, আপনি তো
কাগজ পড়েন আইপিএলে কি হল সেটা জানতে আর সাথে মুকুল রায় শেষ অবধি কোন দলে থাকবে
সেটা জানতে। তাই নদীয়ায় মুসলমানদের হাতে ৩ জন হিন্দু খুন হলেও আপনার কিছু যায়
আসেনা। তবে আপনার কিছু এসে না গেলেও আপনার মেয়ের কিন্তু এসে যাবে। যখন তাকে বোরখা
পরে তিনজন সতীন আর পাঁচটা বাচ্চা নিয়ে ঘরে বন্দী থাকতে হবে বা আপনার ছেলেকে ছুন্নত
করে, মাথায় টুপি পরে দিনে পাঁচবার নামাজ পরতে হবে। অবশ্য তাতে আপনার কি এসে যায়,
আপনি তো সেকুলার।
No comments:
Post a Comment